সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2010 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৃষ্টি শীত? কুছ পরওয়া নেহী। ভিজবো আজ

বাহিরে আকাশ অনেকটা মেঘলা। কছুটা গুমোট ভাবে তাকিয়ে আছে পৃথিবীর পতিত জীবনের ধারক মানুষগুলোর দিকে। আজ ক্যামন হবে? ভিখারি বুড়ো পথে বেরুতে পারছেনা। ঠান্ডাটা জোঁকের মতো শুষে খাবে জীবনীশক্তির অবশিষ্টাংশ। হাতের কুঁকড়ে যাওয়া চামড়াগুলো ভেঁজা টিস্যু পেপারের মতো পাতলা আর থুরথুরে জড়াজীর্ণ হয়ে যাবে। মাথার খুলিটার কিছুটা নিচে যে মগজ আছে তাতে শীতলতা ভয়াবহ কোনো মরন ব্যারাম নিয়ে থামিয়ে দিবে নিভু নিভু করা শেষ প্রদীপালো। তাই বের হতে পারছেনা। তাহলে কি খাবে সাড়াটাদিন? পেটের পরজীবিরা কিছু না পেয়ে নাড়িভুড়ি খেয়ে চেটেপিটে তৃপ্তির ডেকুর তুলবে। এজমার টানে শাব্দিক নিঃশ্বাসের রিক্সাওয়ালা আজ কাজে যেতে পারবেনা। চার বর্গফুটের ভেঁজা আবাসনের এক কোনায় চুপ করে বসে থেকে ঝুপড়ির ফুটো হয়ে যাওয়া ছাউনির পথে গড়িয়ে ঢোকা বৃষ্টির পানির স্রোতে দুচোখের অব্যাক্ত বিন্যাসে মনোআলাপন কিংবা দূঃখ কথন। পুরোনো চিটচিট পঁচা কাঁঠের মতো সুবাস বেরুতে থাকা কাঁথাটাই এই শীতে সম্বল। দু বছরের পিচ্চি বাচ্চাটার আধো আধো বুলিতে বৌয়ের ফেরার পথে তাকিয়ে— হালিম ভাই ওদিকে ব্যাস্ত সংকেতের বিজয় উদজাপন আর স্মারক নিয়ে। আমার এ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা

শীতের ডানা

বেশ কিছুদিন হলো- ভালোই ঠান্ডা পড়ছে। সবাই ওয়াড্রবে নেপথালিন না কি জেনো বলে গোল গোল সাদা সাদা ওগুলোর গন্ধমাখা মোটা কাপড়গুলো বের করছে। আম্মুও নিশ্চই এতোদিনে খাটের নিচের ট্রাংটায় ভরে রাখা কম্বল আর লেপগুলোকে টেনে বের করেছেন। অনেক যখন ছোট ছিলাম তখন শীতকালটাকে মনে হতো উৎসবের কাল। নানুবাড়ি যাওয়া ঈদ আর বার্ষিক পরিক্ষা শেষে ছুটি কাটানো মানেই শীত শীত দিন। বোনের কানে যে সোনালী কালারের দুল ঠিক ঐ রঙের রোদ পিঠে গাঁয়ের বুড়ো মানুষদেরকে তাদের ক্ষয়ে যাওয়া মেরুদন্ডের উচু হয়ে থাকা হাড়গুলো নিয়ে বসে থাকতে দেখতাম। ভোর মানেই যেনো সবার মধ্যে একটা জাগরণী প্রবাহ। পিচ্চিপাচ্চা সব হাতে হোগলা (বিছান) নিয়ে মক্তবে ছুটে যেতো। হুজুর সুর করে সব দোয়া শেখাতেন যা একদম পাথরে খোদাইয়ের মতো মৃত্যুবধী কলজেতে লেগে থাকতো। মাটিতে ভেজা শিশিরমাখা পাতাগুলো পরে থাকতো। খালাদের চকচকে রমনীয় ত্বকে ভোরের আলো মাখিয়ে উঠোন ঝাড়ু দেয়ার শব্দ এখনো কানে বাজে। রোদটাও ছিলো ঝকঝকে নতুন। চারিদিকে প্রাণের মহা আয়োজনে পুরো গ্রামটা যেনো ঝংকৃত হতো। খালাতো দস্যি ভাইদের সাথে ধানের ক্ষেতে গিয়ে আইলের আড়ে কিংবা প্রতি দু ক্ষেতের মাঝের উঁচু ঘাসে ভরা

হলুদের গন্ধ ছিলো নাকে লাগার মত

মাথাটা ভিষণ জ্যাম হয়ে আছে বুঝেছিস কিছু? নাকি হাবাগোবার মতো ফ্যাল করে এখনো সময়ের ডানা ছিঁড়ে কয়েকটা পালক দে- তোর গলায় পড়িয়ে দি। পাখিগুলো এখানে এখনো উঁটের কূঁজের মতো ডানা গুটিয়ে গুম মেরে বসে বসে ধান খুটে খাওয়া শালিকদের সাথে গল্প রত। কত দিন পর আজ এই বুকে মাথা রেখে কথা বলছি-- জানিস?? সেই যে বহুদিন আগের রোদ জ্বলা এক দুপুর ক্লান্তি নিয়ে মাটির চুলোয় ছোট্ট পাতিলে সংসার সংসার খেলেছিলাম। ওখানে কেউ বউ ছিলোনা... ছিলোনা শাশুড়ী কিংবা শশুড় তবু একদল রাঁধতো আরেকদল বাগানে হেঁটে হেঁটে পাতা ছিঁড়ে বাজার করার মিছে অভিনয় করতাম। মায়ের চালের ড্রাম থেকে চাল চুরি করে, ডাল চুরি করে সাথে পেঁয়াজ, তেল, হলুদ মরিচ। রোদের সাথে এক বসাতেই রান্না খারাপ হতোনা। তবে হলুদের গন্ধ ছিলো নাকে লাগার মত। কি খেতাম জানিনা-- জানিনা-- আজো কি খাই-- কি দেখি-- চোখের পর্দায় ধিরে ধুসর আবরণ পড়ে যাচ্ছে তোরা কেউ টের পাস?? হয়তো কাল হয়েছে অনেক- তোদের কোলে বাচ্চা এসেছে- আচল ধরে টানাটানি করার মতো- বুড়িয়ে গেছিস বোধহয়- অনেকটা দাদীর মতো- এইসব ছেড়ে কত দূর পথে আজো হেটে যাওয়ারাই কেবল সঙ্গী। ঝিঝিদের ডাকে একটানা ছায়াছবি ভাসে- চোখ খুলেও বন্ধ করে

জীবিতেরা সব চলে এসেছিলো মৃত্যু থেকে পালিয়ে, কিন্তু মৃতেরা?

আমার রুমে ২টা তেলাপোকাকে আমি প্রায় সময়ই একই সাথে ঘুরাঘুরি করতে দেখি। একটা যদি বিছানায় তো অন্যটা বালিশে, একটা যদি বইয়ে আরেকটা খাতায়, একটা ফ্লোরে আরেকটা দেয়ালে, একটা এলসিডিতে আর অন্যটা তখন মাউসের আশে পাশে ঘুরাঘুরি করছে-মনে হয় সঙ্গী আর সঙ্গিনী। আমরা বর্তমান মানুষরা এর বেশী কিছু ভাবতে শিখিনি। ওরা আমাকে বেশ ভালোবাসে। রুমের দরজা খুলে দিলে বেরিয়ে যায় আবার ফিরে আসে- ফিরে আসে। সন্ধ্যায় বসে লিখছি এমন সময় আমার হাতের আঙ্গুলে একটা তার সরু শুর দিয়ে শুরশুরি দিলো। আমি তাকালেই ঘুরে চলে যায়। ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে চোখ ঘসে ঘসে ওয়াশরুমের পথে যেতে যেতে হঠাৎ আবিষ্কার করি আমি ঠিক উলটো করিডোরে হাটি, ঘুরে ফিরি আবার ওপথে। হাতে পায় চোখে অজুর কোমল স্পর্শে আমি যেনো সকালের আকাশ চুইয়ে পড়া সুবহের শিশির। পায় জ্বলা অনুভব করে দেখি ওরা আমার পায়ের আঙ্গুলের ডগার নরম চামড়া খেয়ে ফেলেছে। আমি বেশ উপভোগ করি। ইয়াল্লাহ!! বা হাতের বুড়ো আঙ্গুলের চামাড়াও লাল হয়ে আছে। ওদেরকে বিদেয় করে দেবো ভাবি। আবার ভাবি ওরা আমার কতটুকুই বা ক্ষতী করলো? আমরা মানব জাতি এর চেয়ে কত বেশী ক্ষতিকরদের সাথে বন্ধুত্ত্ব করি- আবার উপকারীদের সাথে কর

আমার স্বপ্ন গুলো কই?

স্বপ্ন আঁকার সংকল্পে আজকে বেকার কালকে বেকার পরশুতেও হয়নি আকার যায় ফুরিয়ে জীবন চাকার তেল আর দেখবো কত খেল? ফেরিওলার স্বপ্ন কিনে উড়াই কেবল রাত্রী দিনে। জানি না আজ স্বপ্ন বিনে কেমনে বেঁচে রই- জানিশ কি কেউ তোরা? আমার স্বপ্ন গুলো কই?

পথ চলার বেদনা

ধিরে শরীরটা বাতিল হয়ে যাওয়া টেলিভিশনের মত খুলে খুলে যাচ্ছে মনের ডানায় আর ঝাপটানোর জোর খুঁজে পাইনা, কেমন বিহন্ন রোদন। বসন্তের ছোবলে বিক্ষত ভ্রমরের ব্যাকুল বিষন্নতা বুকে বাতাসের অহংকার মরা ঘাসে ঘাসপোঁকাদের করুন বিলাপে ব্যথিত পৃথিবীর শেষ বাঁচার আকুতি এই সব বুকে নিয়ে পথ চলার বেদনা তুমি কি বুঝবে কোনোদিন? না বুঝলে কি করে অদৃশ্য বেদনার পাহারের দেখা মিলবে বস্তুবাদী নয়নে? একাই একটি ঝিঝি পোঁকা ডেকে যায় পাহাড়ী পথের ধারে সরু রাস্তার ধারে- পৃথিবী ঘুরছেই অবিরাম আপন কক্ষপথে আপন গতিতে আপন সময়ে তবু আমাদের দিনগুলো আর ফিরবেনা যতোই গভীর হোক কান্না আর ফেরানো যাবেনা সময়ের জল উল্টো পথে পেছনের ক্ষয়ে যাওয়া অতীতে।

রাত্রী, বৃষ্টি ও আমি

জানালার থাই পেরিয়ে আমার কানে ওর আহবান আসতে বেশ সময় লেগে গেলো। কিন্তু যখনই টের পেলাম ও এসেছে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। সোজা ছাদে গিয়ে ঠান্ডা ভেজা দোলনায় বসে পড়লাম। আকাশ থেকে নেমে ব্যাকুল করা স্পর্শে আমাকে শিহরিত করে দিলো। ধিরে ভিজতে লাগলাম। ক্যামন যেনো একটা ভালোলাগা। আসলে বলার মতো উপযুক্ত কোনো শব্দ আমার ভান্ডারে উপস্থিত নেই মনে হয়। কি আর করার তবুও লিখতে যখন বসেছি উপলব্ধির কাছাকাছি তো অন্তত নিয়ে যেতে হবে। আকাশের আদর খুব ধিরে এসে পড়ছে মাথায়, গায়, হাতে, পায়। রাতের রঙ মাখিয়ে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো। হঠাৎ প্রচন্ড কান্না পেলো। কেনো জানিনা। অনেকেই বলে কাঁদা নাকি মেয়েদের স্বভাব। মানুষ কি আসলে ছেলে? নাকি মেয়ে? ভেতরে যে জিনিষটা আছে ওটাকে আমার মনে হয় কেবলি মানুষ। নারী নয় পুরুষও নয়। কেনোনা রুহ বা আত্মা পুরুষ বা নারী হওয়ার কোনো যোগ্যতা রাখেনা। কেবল মাত্র শারীরিক প্রয়োজনে এটা নারী বা পুরুষ। সাইকোলোজি ফিলোসোফি থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার কারনও হচ্ছে কেবলমাত্র আত্মার কোনো দৃশ্যমান অস্তত্ত্ব না থাকা। যার কোনো দৃশ্যমান অস্তিত্ত্ব নেই সে কি করে পুরুষ অথবা নারী হয়? এজন্য কারো আচরনকে কোনো নির্ধারিত কিছুর

এখন আমি লঞ্চের বারান্দায়- নদীর ভেজা বাতাস আমার সঙ্গী

লঞ্চের এই লৌহ প্রান্তরে প্রাণের কোলাহলে মুখরিত একটি ছোট্ট কেবিনে আমি আর আমরা আমাদের তৈজস নিয়ে আস্তানা সাজাই একটি রাতের জন্য। ছোট দুটি খাট সাদা ধবধবে চাদরে জড়ানো। একটা কাঠের টেবিল- দুটি ব্যাবহৃত ফ্রেশ পানির বোতলে রাখা পান করার পানি। দুটো গ্লাস। আমরা চাইলেও হয়তো অনেক কিছু জানতে পারিনা। মানুষ অনেক সিমাবদ্ধ শক্তি নিয়েই নিজেকে অনেক শক্তিধর একটি প্রাণী মনে করে। কিন্তু সে নিজেও জানে সে আসলে কোনো শক্তি ই রাখেনা। কেবল বৃথা আস্ফালনে কাঁপায় পৃথিবীর সকল প্রান্তর। একই কেবিনে তিনটা লেপটপ থাকায় দরজায় আর জানালায় উৎসুক দর্শকের কোনোই অভাব হলোনা। জানালায় নারী শিশু মুখ উঁকি দিচ্ছে বার বার। দরজায় মধ্য বয়ষ্ক ভদরলোক ও লুঙ্গি শক্ত করে বাধতে গিয়ে হালকা চোখে শরু পাতায় দেখে উঁকি দিয়ে-- কি করছে? কি দেখছে ছেলেগুলো? আমাদের অহংকার আমাদেরকে কতটা উচ্চতায় নিতে পারে জানিনা তবে নিচের দিকে যে ভয়াবহ গতীতে আমরা পতিত হচ্ছি তার স্পিড জানতে আজ আর কোনো মিটারের প্রয়োজন হয়না। প্রবাহমান খরস্রোতা মেঘনার মতো আমরাও ঢেলে দেই নিজেদের সকল বুদ্ধি বিবেক। বারান্দায় অনেক বাতাস থাকলেও শহর মুখো মানুষগুলোর প্রচন্ড আনাগোনায় বসার কো

বৃষ্টি তুমি বড্ড অদ্ভুত সুন্দর

বৃষ্টি হলেই কেমন যেনো অদ্ভুত একটা অনুভুতি টের পাই বুকের ভেতর। আচ্ছা মনটা কি বুকে থাকে? নাকি মাথায়?? থাক এটা নিয়ে আর একদিন ভাবা যাবে। ও -- আমি কিন্তু কখনোই ছাতা মাথায় দেইনা। লেপটপটাকে কভার করার জন্য একটা ওয়াটার প্রুফ ব্যগে পুরে কাঁধে করে নেমে যাই। ভিজতে ভিজতে শহরের সেই সব মানুষদের মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করি যারা মনচাইলেও বৃষ্টি থেকে নিজেদেরকে আড়াল করতে পারেনা। ওরা বসে থাকে অভার ব্রিজের নিচে। কিন্তু ওখানেও বৃষ্ট তার গড়িয়ে পড়া পানিতে ওদেরকে ভিজিয়ে দেয়। যাদের চোখের জল বৃষ্টির পানিতে মিশে এই মাটিকে আর উর্বর হতে সাহায্য করে। যখন চুলগুলো মাথায় লেপ্টে যায়- চুলের আগায় টুপ টুপ করে পানির ফোঁটাগুলো পড়তে থাকে- আর কানে ইয়ার ফোনে বাঁজতে থাকে শ্রীকান্তের -আমার সাড়াটা দিন মেঘলা আকাশ বৃষ্টি- কিংবা- তাওসিফের- বৃষ্টি ঝরে যায় দুচোখে গোপনে- শুনতে শুনতে অনেক দূরে কোথায় হারিয়ে যাই। এটা কিন্তু মোটেও বাড়িয়ে বলছিনা। এমনিতে আমি তেমন একটা বাহিরে যাইনা। কিন্তু বৃষ্টি হলে আমি সারাক্ষণ পথে পথে ঘুড়ে বেড়াই। আমার তেমন একটা জ্বরটর হয়না আলহামদুলিল্লাহ। সেদিন একজন বুড়ো ভিক্ষুককে দেখলাম মসজিদের সামনে বসে তার দূর্বল

তবে ফিরে এসো

একটা কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম এখানে বসেই পৃথিবীর অগনন বছরের পর ও হয়তো এ প্রচেষ্টার এতোটুকু কমতি হবেনা। মাথায় অশুত্থের ছায়া, কাঁধে পাতাফালি রোদ তোমাদের সাথেই কথা হয়- ভুলে যাই কত কিছু- ভুলে যেতে হয় বলেই। ভুলে যেতে হয় তোমাদের- তোমরা যারা ছিলে কুয়াশার চাঁদরের মতো ছিলে শিশিরের মতো অদ্ভুত গন্ধে অবিচ্ছিন্ন ভাবে আমার আত্মায়। নদীর মতো আবহমান তোমাদের তোমরা- আমাকে কেবলি ব্যাথার মতো সুন্দর কিছু সুখ দিয়েছিলে। আমিও হয়তো চেটেপুটে তৃপ্তি তুলেছি- তবুও অতৃপ্তিরা খেলা করে সে খেলার শেষ হয়তো নীরব হয়েগেলে পরেই কেবল সমাপ্ত। শুধু গল্প অসমাপ্ত রয়ে যায়-স্কুলগামী সন্তানদের পায়ের শব্দে- অথবা দুপুরের তপ্ত রোদে ব্যাকুল আকুল সময়ের পথ চেয়ে। যদি কোনো দিন ক্লান্ত হও তোমরা- তবে ফিরে এসো দেখবে তখনো আমি খুটুর খাটুর করে এখনো একটি কবিতা লেখার প্রচেষ্টায় মিষ্টি হেসে ভুলিয়ে দেবো সকল ক্লান্তি- তোমাদের দোদ্যূলমান এপার ওপার অস্থির ছুটে চলা বুক থেকে যতো দুঃখ আছে – হয়তো ভুলিয়ে দেবো। ১২টা ৪৫ মিনিট ০৯/০৯/১০

বেশ একটা ভালো লাগা নিয়েই মায়ের কোলে ফিরে এলাম

এখন রাত ১২টা বেঁজে ৮ মিনিট। এখানে অনেক বাতাস।গতকাল চুলগুলোয় শ্যম্পু করায় বেশ উড়ছে। সারা লঞ্চ ভর্তি মানুষ। সবাই ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছে। বাড়ী জিনিশটা অনেক অদ্ভুত। মনে হয় কোথায় যেনো একটা মায়া আর মজবুত একটা শেকল বাঁধা। আমি ও যাচ্ছি। কাঁধে বিশাল ব্যাগ ঝুলিয়ে যখন টার্মিনালে প্রবেশ করছিলাম পুরো এড়িয়াটা তখন লোকে লোকারন্য। তবে সরকারকে ধন্যবাদ এত্তো চমতকার করে টার্মিনালটাকে সাজানোর সুযোগ দিয়েছে রবিকে। আর রবি ও বেশ অনিন্দ্য করে সাজিয়েছে পুরো টার্মিনালটা। অবাক হয়ে চকচকে টাইলসের মেঝে আর দেয়াল দেখে ভুলেই গিয়েছিলাম এখানে একসময় তেল চিটচিটে ইটের দেয়াল ছিলো। দেয়ালের স্থানে স্থানে শুকনো ভেজা থুথুর দাগ বসা সেখানে হেলান দেয়া ভবঘুরেগুলো ঢুলুঢুলু চোখে তাকিয়ে থাকতো। তার বদলে সাদা সফেদ স্মার্ট পোশাকের নৌ সেনাদেরকে দেখে বেশ পুলকিত হই। অসাহায় মুখগুলো দেখা থেকে বেঁচে গেলাম বোধহয়। মনে হয়ে যায় আমি অনেক দিন পড়ে এই আঙ্গীনায় পা রেখেছি। রিক্সা গাড়ী থেকে না নামতেই কুলিদের টানা হেঁচড়া মনে হয় যেনো বোঁচকা নয় আমার হাত পা কাঁধে করে তুলে দৌড় দেবে- এসবও অনুপস্থিত। বেশ একটা ভালো লাগা নিয়েই মায়ের কোলে ফিরে এলাম।

বস্তির দরজায় নক করে জানতে চেয়েছিলাম আমাকে এক টুকরো সুখ দেবেন?

অনেক পুরোনো একটি স্বপ্ন ছিলো- কিছুটা এরকম--- যাকাত দেয়ার জন্য ধনীরা বস্তির দরজায় লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে। অথবা দ্বারে দ্বারে গিয়ে জিজ্ঞেস করছে লাগবেনি--গো যাকাত? ভেতর থেকে আওয়াজ আসছে নাহ!! আমরা পেয়েছি!! এবারের মতো মাফ করো!! কি অবাস্তব বা আকাশ কুসুম? মোটেও নয়। এমন মানুষগুলো দিকে দিকে তৈরী হচ্ছে। সেই দিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন রাতের আবরনে ছদ্মবেশে আমাদের তরুন তরুনীরা দূঃখী মানুষের খোঁজে বের হবে। আর কতকাল সোনালী অতীত পড়ে কাঁদবে? এখন আর অতীত নিয়ে স্বপ্ন দেখার সময় নেই। লক্ষ অবহেলিত প্রাণের অপেক্ষায় জেগে উঠেছে সাহসের ফুলকিরা। তাদের কিছু কথাই আজ বলবো। এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময়ই চোখে পরে বিশাল দালানের ঠিক নিচেই একটি প্লটে কিছু মানুষ তাদের ব্যাস্ততা বুকে ছোট্ট ছোট্ট ছাউনিতে জীবন কাটায়। একজোড়া ধুসর চোখকে অনুসরন করে এগিয়ে যাই। উঁকি দিয়ে দেখি। ধোয়া ওঠা চুলোয় কিশোরী রান্না চরাচ্ছে। আমাকে দেখে লাজে মুখ ঢাকলো। কি রান্না হচ্ছে গো আজ? কদু দিয়া পুইশাঁক দিয়া। বলতে বলতে কাটা পুইশাঁকের থালাটিকে হাতে তুলে ঢেলে দিলো তিন খুঁটির চুলোয় বসানো খেলনা পাতিলের মতো ক্ষুদ্র একটি পাতিলে। পাশের ফ্ল্যাটে (খুপরিতে যা আয়

সাগরে চুবিয়ে এক টুকরো মেঘ খেতে দেবে আমায়?

আজ যেতে যেতে বহুদুর আরো দুরের সাথে দেখা হয়ে যায় যায় সিমানায় আকাশের গায় কালো কালো চোখে চায়-- নিরাকার কিছু আকারের খোঁজে বেহুদা জীবনে পারাপার সময় ভেঙ্গে সমুদ্র খুঁজে সর্বনাশের হাহাকার। একাকার এই সন্ধ্যার বুকে অন্ধের সুখে হাতরাই নিজের ব্যাকুল পাথর চেঁপে কষ্টের বুকে কাঁতরাই। বয়সের প্রাপ্ততার ভয়াবহ কম্পন অসহ্য প্রাপ্তি। সাগরে চুবিয়ে এক টুকরো মেঘ খেতে দেবে আমায়?

আমি হাত রেখে একজন বিদায়ী পথের শূন্য অভিযাত্রীর হাতে

বাজার করতে যাওয়াটা ভয়াবহ একটা ঝামেলা তাই না? আপনার কি মনে হয়? তাও যদি হয় বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর এক গোড়ালী কাঁদার মধ্যে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। বেশ ফুরফুরে মনে জুতোর তলায় কালো আঠালো কাঁদার আন্তরিকতা সাথে নিয়ে কাঁচা বাজারে প্রবেশ বৃত্ত সাহেবের। মানে এই আমিটা যখন বাজারে ঢুকলাম চার বছর আগের সেই নিয়মিত পসরা সাজানো সব্জিওয়ালাদেরকে দেখছিলামনা। খুজে যাচ্ছিলাম ঢুকার পথেই দক্ষিন পার্শের পানির টেপটার ঠিক ২ হাত সামনে যে শেষ গোধুলির মানুষটা বসতো তাঁকে। নেই-- তবে জায়গা টা শুন্য নয়। যুবক বয়সী একই চেহারার আরেকজন সেই একই ডালা নিয়ে বসে আছে। সেই চেনা হাসি যা তার বাবার মুখে ছিলো। কালের পরিক্রমায় কোথায় হারিয়ে গেলো সেই চেনা মুখ। ডান পার্শের নও জোয়ান ছেলেটি বেশ পরিপক্ক হয়েছে বলেই মনে হলো। আমাকে বলেঃ আসসালামু আলাইকুম। কবে আইছেন? তার শব্জিতে পানি ছিটানো ভেজা হাতে হ্যান্ডশেক করতে আমার হাত এগিয়ে দিয়েই বলি গতকাল আইছি। আপনি কেমন আছেন? বাড়িতে সবাই ভালোতো? আত্মতৃপ্তির একটা চোখবোজা দেখে মনে হলো লোকটা ভাবছে যাক- ভোলেনাই আমাগোরে- আইজকাইল তো সবাই ভুইলা যায়। জ্বি আছে সবাই ভালা। আপনের বাড়িতে আছে

একটি লাশ। তবে কোনো কুকুরের নয়। দুজন মানব মানবীর ফসল- একটি ফুটফুটে মানব সন্তান

আমি যখন রস্তার মাঝ বরাবর রোড ডিভাইডারকে বামে রেখে হেটে আসছিলাম ওরা বললো আজও ওরা আসবে। দূর থেকে ব্যাস্ত ঈদের ক্রেতারা সুখ কেনে ঘরে ফেরার আগে এমন একটি দৃশ্য দেখে আর একবার ঘুরে তাকায়। রিক্সাওয়ালা কাঁধে ফেলা গামছা হাতে নিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে তাকিয়ে থাকে----আমি অবচেতনে টের পাই অনেকগুলো চোখ আমাকে অনুসরন করছে। আমার সম্মুখে সেই দিঘল রাঙ্গা কেশ। সামনের দাতগুলোতে পানের শক্ত রঙ। ঠোট লাল। মুগ্ধ মনে সত্যিকারের একটা অঞ্চল। যেখানে আমাদের মতো কোনো কৃত্তিমতা নেই- নেই মুখোশ। চিকন চিকন শলাকার ন্যায় অপুষ্ট হাতগুলোতে পৃথিবী আগলানোর মতো অসীম জোর। গতকাল ওরা আমার আঙ্গীনায় এসেছিলো। আমি না থাকলে হয়তো শাহানামা ভাই (গেইটম্যান) ওদেরকে তাড়িয়ে দিতো। কিন্তু আমি থাকায় আড় চোখে বার কয়েক আমার মনের অবস্থা বুঝার চেষ্টা করে ওদের মায়ায় জড়িয়ে পরেন। উচ্ছল প্রাণগুলো এসেই হাবুডুবু খেলা শুরু করলো। আরে--- ভুলে গেলাম। আমার এখানে একটা খেলনা আছে কি নাম যেনো। ধুত্তুরি। মনে পড়ছেনা। ঐযে একজন এক পাশে আরেকজন অন্যপাশে। এপাশ উচু হলে ওপাশ নিচু হয়—ওপ

ছিলো এবং যা থাকবে

আমাদের অনেক দিন ছিলো সবুজের ভিরে গেছো পকাদের খোলসে কতো কিচিরমিচির কতো আকাশের এক বুক নীল ছিলো। গাঁয়ের নয়ন পানি টলমল অনেক বিশাল বিল ছিলো। ছিলো দিন গোনা কিছু শালিক ময়না স্বপন অথবা গোপন ব্যথা কিংবা কাঠের ঠোকরার ঠোটে জীবনের গান সুখ, দুঃখ- কথা অবিরাম কখনোবা মাথার উপর দিয়ে আকাশ জাহাজ অবোধ সুবোধ দিন ক্ষণগুলো বিউগল বাঁজায় বাঁজায় আবার কোন ব্যথাতূর বেদন চেতন কাঁদন জ্বলায়। কিছুই জানিনা এইটুকু জানি, দিন বেলা শেষে রাত্রী আবেশে আবেগে ভূভাগে প্রাণপন লড়ী। তোমাতে আমাতে আর কোনোদিন দেখা বুঝি ফের হবেনা গো নীরব কবির নীরব শক্তি বেশী দিন বুঝি রবেনা গো । সকাল ১০টা ২৮/০৭/ ২০১০

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ১১ আমি

লাল বৃত্ত নিজেই কিছুদিন বৃত্ত বন্দী ছিলো। যার ফলে চিন্তার খোলসে নতুন কোনো আস্তরন পরার সুজোগ হয়ে উঠেনি। এখনো অনেকটা সেই অবস্থার আবর্তে ঘুর্ণায়মান। কি হলো বুঝলামনা। তবে টের পাচ্ছি কেউ কারো প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে। নিজেকে মনে হয় জাহান্নামের কোনো কীট। অনেক ঘেন্না করা কোনো বস্তু। যেন ঘৃন্য কোনো পাড়ার নেড়ী কুকুরদের সাথে বসে ওদের চামড়া উঠে যাওয়া বিশ্রী পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়া বিষন্ন কোনো ভ্যাগাবণ্ড। যার সকল কাজেই সমাজের নাক সিঁটকানো। গায় চাঁপানো হাজার বছরের পাপে মোড়ানো কালো চাদর। পায় ছেঁড়া কেডস। গোড়ালীতে ঘাঁ হয়ে লাল দগ দগ করছে। হাতে কালো অথবা খয়েরী হয়ে যাওয়া বড় বড় নখের অস্তিত্ত। তখন জন মানুষের ভিরে রাস্তায় সবার সামনে নিজেকে এমনই কোনো একটা কিছু মনে হচ্ছিলো যখন কানে তপ্ত লাভার গলে পড়া টের পাচ্ছিলাম। এখনো নিজের দিকে তাকিয়ে খুঁজে ফিরি- আমি কি এমনই আসলে? আমি নিজেকে ভুল করা অথবা ভুলে যাওয়া একটা মানুষ মনে করতে বেশি পছন্দ করি। আমি কোনো ফেরেশতা নই। তবু ভয় পাই। আমি মানুষ নই...আমি ঐ হলুদ দাতের লোকটাই কিনা!!

যা থামলেই শেষ (একারনে চলবে)১০ ভাতের হোটেল

বাহ! কি চমৎকার। ওভার ব্রীজে উঠতে গিয়ে দেখি এক ভদ্রছেলে সুন্দর সিঁড়ির হাতলের উপর পা তুলে বসে হেসে হেসে ফোনে কথা বলেই চলছে। আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে? কাজে কামে থাকবেনা কথা শুধু কবে। সেই ছেলেদের জোয়ারে ভাসছে যে দেশ। রাত্রীর এই প্রাথমিক অংশটা সকালের মতোই ব্যাস্ত। সবাই সাড়াদিনের কর্ম সমাপ্ত করে দ্রুত পায় আপন নিবাসে পৌছুতে মরিয়া। সেখানে অপেক্ষা করছে আপন প্রিয়ার চকিত চাহনি। সন্তান বুঝি লুকিয়ে। দরজা খুলে ঢুকলেই অজানা আবস্থান থেকে বলে উঠবে আব্বু আমি কোথায় বলতো? নাহ্‌! হয়তো ভুল বললাম। পেপারে তাকালে বিশ্বস্ততায় পরিপূর্ণ অভাবের রূপ দেখে আহত হই। থাক যা হয় হোক। চাইনিজ প্রযুক্তির মেইড ইন জিঞ্জিরা চার্জার লাইটগুলোর পসরা সাজিয়ে ব্রীজের উপর বসে আছে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী। কয়েকটি নেইল কাটার আছে বেশ সুন্দর সুন্দর। অনেক ছোট এবং কিউট। বহুদিন হলো নখের সাথে আমার লেনদেন হয়না। বিশটাকায় একটা পকেটে পুরলাম। ওপারে নেমে হোটেলগুলোর সামনে রাস্তায় জমে থাকা কালো কালো পিচ্ছিল কাঁদা জুতোর তলায় জড়িয়ে গিয়ে বসলাম ঝুপরিতে। বাহিরে বৃষ্টির ফের আগমনি সংকেত। বাতাসে ভেজা গন্ধ। কাঠের চেয়ার আর টেবিলগুলো খদ্দেরের অপেক্ষা

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে)৯ (ভাবনার পোষ্টমর্টম)

অনেক ভাবনা করে দেখলাম ভেবে কোনো লাভ নাই। তাই ভাবনা ছাড়াই যা মাথায় আসে তা লিখতে বসে গেলাম। কথা হচ্ছিলো মানব সভ্যতার অবনতির বিষয়ে। যুগে যুগে বহু মানুষ এই পতন ঠেকাতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিষয়গুলো এমন ভাবে পরিবর্তনশীল যে গুটিকতক মানুষ ছাড়া বাকি সবাই ই পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। আর সঠিক ভাবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছেনা আমাদের চিরন্তন নৈতিক বিষয়গুলো। বদলে যাচ্ছে সময়ের ধারাবাহিকতায় সকল কর্মকান্ডের পূর্ব সংজ্ঞা। তাহলে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে কি লাভ? কই? কেউ কি পেরেছে পতন রোধ করতে? হয়তো নির্ধারিত কিছু মানুষ সেই সব রিফর্মারদের অনুসরন করেছে। কিন্তু একসময় তারাও পরিবর্তিত হয়ে গেছে। আসলে এই গতিটি পতন কিনা সেটা নিয়েও অনেকে ভাবনার পাটি বিছিয়ে বসেছেন... নাকি এটা কেবলই গতি। একটা রিক্সা দশনম্বর থেকে তেরো নম্বর যাবেই। এটা তার স্বাভাবিক গতি। বিলুপ্ত হয়েছে পেগান দর্শন। বিফলে গিয়েছে বনি ইসরাইলিয় সভ্যতা। টিকে থাকেনি মিশরীয় সংস্কৃতি। মুসলমানদের অবহেলায় মুসলিম দর্শনেরও পতন হয়েছে অনেকদিন আগে। সমাজতান্ত্রের বিবর্ণ কান্না এখনো রাশিয়ার পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হয়।এখন মুসলমানদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন ও সকল প্রকার

যা থামলেই শেষ ( এ কারনে চলবে) ৮ (জুয়া)

খবরদার!! জুয়া খেলবেননা কিন্তু বলে দিলাম। কেউ আপনাকে নিয়ে খেলুক আর না খেলুক আপনি কিন্তু খেলবেননা। কেননা এটা যেমন আপনাকে শতভাগ জিতিয়ে দিতে পারে অনেক অনেক সাফল্য দিয়ে তেমনি ভাবে হারিয়ে দেয়ার ও সম্ভাবনা শতভাগ। তবে আপনি আপনাতেই যে জুয়ার ময়দানে নেমেছেন এটা বেশ নিশ্চিত আমার কাছে। আমাকে নিয়েও কেউ খেলছে এটা আমি ভালো করেই জানি। আমি সেই মাঠে ফুটবলের মতো খেলে যাই জীবনের গোল নিয়ে। বিশ্বকাপ নিয়ে বিরাট জুয়ার আসর বসে বিশ্বের নামিদামী শহরগুলোতে। তেমনি আমার বা আপনার জীবনটাতেও এমন একটি ছায়া পরিলক্ষিত হয়। মানুষের একটা বদ অভ্যাস হলো সে সকল সময়ই স্রষ্টার কাছা কাছি পৌছুতে চায়। নাহ ভালোবাসায় নয়। তার ঐদ্ধ্যত্য, শক্তি ও সামর্থের দিক দিয়ে। কখনো কখনো নিজেকেই স্রষ্টা দাবি করে বসে। বুদ্ধি লোপ পেতে এবং ফিরে পেতে এদের মুহুর্তের বেশী সময় লাগেনা। আবার কেউ কেউ শত বছরেও পথ প্রাপ্ত হয়না। যাকগে, ফিরে আসি জুয়ার আসরে। সন্তান জন্ম দেয়াটা হচ্ছে একটা মানব জীবনের প্রথম অভিষেক জুয়ার আসরে। কেননা এখানেও সন্তানের জীবনের সমৃদ্ধি ও ধ্বংস দুটোই সমান ভাবে খেলা করে পিতা মাতার চোখে। একটু অসাবধান চালই ঐ সম্ভাবনাকে সাফল্যের সাথ

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ৭

হাসি নামক একটা আজব ভঙ্গি আমাদেরকে করতে হয় বা নিজেদের অনুভুতির ধাক্কায় ই আমরা করে থাকি এটা আসলেই হাসি কিনা এই নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দের যথেষ্ট অবকাশ আমার রয়েছে। এতো অবকাশ যে কোথায় পাই! মানুষের তো অবকাশেরই অবকাশ নেই। আবার হাসি নিয়ে গবেষনার সময় কোথায়? এই মেটেরিয়ালিষ্টিক লাইফের একজন সুযোগ্য ধারক হিসেবে আমরা জ্যামিতিক হারে যান্ত্রীক হয়ে যাচ্ছি। নিজেরা নিজেদেরকে মানুষ বলে দাবী করলেও রাতে ঘুমানোর আগে একলা শুয়ে শুয়ে মনটার লাগাম ছেড়ে দিলে ও একাই ভেবে যায় সে আসলে মানুষ কিনা। নাকি পুরোপুরি অমানুষ? নাকি মানুষ অমানুষের মাঝে অন্য কোনো কিছু? যদি মানুষ হই তাহলে ... অননুমোদিত পাশবিক কাজের কথা নাহয় বাদ ই দিলাম... অনুমোদিত পশু সংক্রান্ত কাজ গুলো কেনো করে যাই? কেনো অন্যান্য পশুর মতোই জৈবীক সন্তরনে অতিক্রান্ত করি মানবীক এই জীবনটাকে? তার মানে কি? আমি একটা অনুমোদিত পশু যে নিজেকে মানুষ বলে দাবী করলেও সেই দাবীর সত্যতায় নিজেই ভীত? হেসে যাই কত সুন্দর করে। কিন্তু কতটুকু সত্য এই হাসি? মুখটাকে দু দিকে টেনে সাদা চমকানো দাতগুলো বেড় করে চোখের পাপড়ীগুলোকে একটু চেপে ধরলে মুখের যে অবস্থটা হয় তাকেই সাধারনত হাসি ব

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ৬

অন্যকে আমি যেভাবে চালাতে চাই সেই ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অন্যের ইচ্ছার দ্বারা আমাকেও পরিচালিত হতে হয়। এখন সমস্যাটা হচ্ছে যখন আমি চলাতে যাই সব ঠিক... কিন্তু আমার উপর পণ্ডিতি করলে মানা যাবেনা... এটা আমি সহ অনেকের মধ্যেই আছে। এতে করে কখনো কখনো অনেক বেশী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমি হয়তো এমন বিষয় আছে যে বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ। সে বিষয়ে অন্তত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দেখতে পারি বিষয়টা কেমন হয়। সহনশীলতা ভেবেছিলাম আমার ই বুঝি খুব বেশী। কিন্তু কখনো কখনো মনে হলো নাহ আসলে আমার যা আছে তা নেহায়াত ই অনেক কম। আমার চারপাশের মানুষের কাছে হয়তো আমি এতোটা সহনশীল কিন্তু আমার চেয়েও বেশী সহনশীলতা সমৃদ্ধ মানুষের কাছে গেলে নিজেকে বড়ই ক্ষুদ্র মনে হয়। এবার এই ক্ষুদ্র হওয়ার বিষয়ে কিছু বলবো বলে মনস্থির করলাম। আমি আসলে মানুষ হিসেবে কতটুকু শক্তির অধিকারী? কতটুকু বিরত্ত্ব আমি দেখাতে পারি? কতটুকু মহান? এই সব কিছু নির্ণয় করে দেয় আমি আসলে কতটা ক্ষুদ্র। নিজের শক্তিকে যদি পৃথিবীর সকল শক্তির একটি ধরা হয় তাহলেই বুঝা যায় মানুষের কাছে পিপড়ের শক্তি অবস্থান যেখানে সমগ্র বিশ্বের সকল শক্তির সামনে আমার বা মানুষের শক্তি

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ৫

মানষ নিয়েই তো লিখে চলছি। এখনো শেষ হয়নি। আপনার কি মনে হয় শেষ হবে? না হওয়ার ই সম্ভাবনার ভয় আছে। যাকগে ... আসুন শুরু করি... উন্নত এই প্রজাতির প্রাণীরা নিজেদের মাথা খাটাতে পারে বলেই এক এক জন আলাদা করে নিজের কথা ভাবে... ভাবে সামষ্টিক ভাবনা গুলো ও।তবু কখনো কখনো এই সব ভাবনায় থাকে বিস্তর ফারাক। পার্থক্য থাকে মতে ও পথে। এক এক জনের এক এক মতাদর্শ। এরপরও মিলে মিশে থাকার একটা আদিম প্রবনতা এদের মধ্যে অতিমাত্রায় কাজ করে ... এজন্যই হয়তো ডায়নোসরের মতো এরা বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। মাঝে মাঝে মনে হয় ভীন গ্রহের প্রানীরা যদি মানুষ নিয়ে গবেষনা করতে নামে তাহলে আমাদের কত লজ্জাজনক অধ্যায় দেখে তারা হাসবে। হাসবে নিজেদেরকে নিজেরা কত সহজে ধ্বংস করার ফন্দি করি সেই প্রকার প্রকরন দেখে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবেই এমন এক প্রকৃতির যে অন্যার সাথে মতের মিল না হলে ১০০ হাত দূরে থাকুন নামক অদৃশ্য সাঈনবোর্ডে চোখ লাগিয়ে চলি। এটা অনেক ভয়ানক একটা দোষ। যে দোষটা কবে আমার আমিটাকে মুক্তি দেবে সেই অপেক্ষায় আছি। কটু কথা কম শোনা হয়নি আজতক। প্রিয় মানুষদের দেয়া কষ্টের বোঝাটা কাঁধে নিয়ে শহরের অলিতে গলিতে হাটি আর ভাবি ... নিশ্চই আমার আচরন ত

জানিনা হবে কিনা ফেরা

আজকে যেখানে আমাকে দেখছো দাঁড়িয়ে আকাশ অথবা নদী অথবা চিলের ডানার তলে কোমল পালক কিংবা নরম আদর মাখা ছোট্ট ঢেউয়ে দুলতে থাকা কচুরিপানার ফুলের মাঝে একটা নৌকো অথবা মমতা মাখানো মাটির কোলে... কাল আমি বহুদুর কোনো শৃংখলে ঘেরা হবেনা জানিনা হবে কিনা ফেরা ফেরা ফের ভুলে থাকা বহুদুর অনেক জীবন পেড়িয়ে এভাবেই এখানে তোমরা সকলে আবার ব্যস্ত কোলাহল বুকে জীবনের পথে পথ ভুলে মন হিসেবে ন্যস্ত। দাড়ি কমা হীন জীবন জগতে ভাগ শেষ কিবা রয়ে গেলো মোর? চেয়েছিতো ভোর খুলেনি যে দোর আর কিবা আমি করতে পারতাম? কিবা ই বা আমার করার ছিলো? দৈনিক আমি সৈনিক হয়ে হেড়েছি কেবলি জিতিনি কোথাও ওপারেই যদি জিত থাকে মোর তাই থাক তবে তাই থাক

সবাই এমন ভাবে

ঘুমহীন রাত্রীরা এভাবেই কিভাবে যেনো চলে যায় অবসন্ন সময়ের দ্বারা কড়াঘাতে নেই কোনো সাড়া নেই কোদাল দিয়ে মাটি এবড়ো থেবড়ো রো সেই বীজ বুননে পারদর্শী শক্ত হাতে অতীত হয়ে যারা। এখানে গুনে চলা তারাগুলো মিটি মিটি সে হাসে অম্ল বদনে গ্রিবা উজ্জলে তবু আঁধারে ঝুলে ফাঁসে হীম হয়ে আসে রাত্রীর উপকূল আর সন্ধ্যারা যত শয়তান নিজে পশ্চিমাদের আরাধনায় আছে ব্রত। তবু রত্রী নিঃশেষ হয় পৃথিবীর হয় ভোরের দেখা মানবতা কূল খুঁজে ফিরে তবু পায়নি আলো রেখা।

এখনো কত বাকি

একটা আকাশ দেখতে গিয়েই ক্লান্ত হলে বন্ধু? এখনো কত বাকি... তবু তোমাদের মিলে আমাদের হয়ে একাই বুঝি থাকি। এই সবুজের হাহাকার আর নীলের বেদনা ক্রন্দন আবারো আমরা আমাদের হয়ে এসোনা এখানে আবার সাজাই সেই বলে যাওয়া অনেক কথার বিস্তর অনুভূতির সমুদ্র খুলে এসো বসে পরি আবার কোমলে বলে জনে জনে আগামী আগলে এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিষন্নতার পর্ণো বুকে এঁকে দেই কিছু চিহ্ন।

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ৪

অদ্ভুত... পুরো জগতটাই অদ্ভুত। আজ একজন ভালোবাসছে তো কালই মুখ গোমরা করে উল্টোদিকে ফিরিয়ে নিচ্ছে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচাল্যে নিত্য কম্পমান এই দোলনা থেকে শিশু পৃথিবী কবে যে বড় হবে সেটাই মনে হয় জগদ্বিখ্যাত মানুষদের ভাবনার একটা বিশাল অঞ্চল দখল করে বসে আছে। ভাবতে ভাবতে সব শেষ হয়... পেঁকে যায় চুল... যৌবন রঙ ফুড়িয়ে বার্ধক্যের ফোকলা দাত জীবনের ক্ষুদ্রতা দেখে হাসে তার বুড়ো হাসি...। নিজের আর প্রিয়ার দুজনেরই বেড়ে যায় চামরার টান টান অহংকারের উপহাস। এক সময়ের উদ্ভ্রান্ত শক্তিধর প্রাণীটাই বয়সের হাতুরীর কাছে অসহায় ভাবে নিজেকে ছেড়ে দিয়ে ক্লান্ত হয়ে বসে পরে। নিষ্ঠুর করাত কেটে চলে জীবনের ঘুনে ধরা ফার্ণীচার। ফেলে আসা দিন খুঁজে পেতে বৃদ্ধার মুখে চেয়ে থাকা... অথবা স্মৃতি উলটে কোথাও কখনো কোন মজার ঘটনা আজো মনে আছে... হাতড়ে হাতড়ে চেটেপুটে যাওয়া অতীতের গন্ধ। সারা জীবনের অবাধ্যতাগুলো ভুলে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা... আর স্রস্টার কোলে মাথা রেখে ঘুমানোর একটু নিশুথি নিঃশ্বাস। এমন করেই হঠাৎ কবে একটা অপরিচিত জগতের ডাক এসে যায়। যারা বিশ্বাসী আছে তারা কিছুটা জানে কেমন হবে... আর যারা অবিশ্বাসী ... পুরোটাই একটা আত

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে)৩

শুক্রবারে দিনটা বেশ তেজদিপ্ত হয়। এটা হচ্ছে অবচেতন মনের একটা ধারনা। এখন যদি খুঁজতে যাই যে এই অবচেতন মনটা আবার কে? কোত্থেকে আগমন? ক্যামনেই বা আমার মতের সাথে ভিন্ন মত পোষন করে?? সেই ক্ষমতাই বা পেলো কোথায়? অবচেতনের উপর বিশাল বিশাল মোটা বই আছে। কত আজগুবি আর হাবিজাবি কথা লেখা আছে... অনেক রহস্যময় বিষয়েরও উল্লেখ আছে যার সমাধান মানুষ আজকের দুনিয়ায় ও দিতে পারেনাই... ভবিষয়তে কতোটাই পারে সে ব্যাপারেও ভয়াল সন্দেহের বলি রেখা আমাকে অতিক্রম করে চলে যায়নি। কারন বিজ্ঞান আলোচনা করে দেখা জিনিষ নিয়ে। একসময় সাইকোলোজী প্রাচিন ফিলোসফির এক মহা মূল্যবান শাখা ছিলো। ফিলোসফি ই যখন আসছে আসুন একটু নড়ে চড়ে বসি। কারন এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে মাথার চুলগুলো নারীহরি হয়ে যায় তা টের পাওয়া প্রায় দূঃস্বাধ্য ই বলা চলে। ততকালিন সময়ে থেলেস পানি বিষয়ক ভাবনা দেয়ার ও ৫৫০ বছর পর আমাদের ইসা আসলেন। এর পর তো ফিলোসফি আর তার নিজের স্বয়ংক্রিয় ধারা বজায় রাখতে পারেনি। ডগমাটিক আবরনে হাড়িয়ে যায় ফ্রি থিংকিঙ্গের সকল উপায় উপকরন। বেঁচারা ফিলোসফির আগমন অবশ্য মানুষ নামক অবাক এই বুদ্ধিমান জন্তুটির অসন্তুষ্ট থাকার প্রবনতা থেকে। কেননা খেয়ে

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে)২

ক্ষত আর বিক্ষত যাই আমি হইনা কেনো সারাক্ষন মাথার নিউরোন গুলো অক্ষত থাকার ভাবনাই ভেবে যায়। এই ভাবনা থেকেই মরিয়া হয়ে দরিয়া পার হওয়ার চিন্তা করি। কি করবো? আমি যে একজন শক্তিমান ভয়াবহ অসহায় মানুষ। যাকে বলা হয়েছে শ্রেষ্ঠ কিন্তু শ্রেষ্ঠত্তের কতটুকু গুন বা বেগুন আছে তা পরিমাপ করাই আজ দূঃস্বাধ্য। পরিমাপ কে করবে? পরিমাপকেও যে ভ্যাজাল লেগে ক্যাচাল হয়ে গেছে। জীবনটার অশরীরি রুপটা দিনে দিনে প্রকট আকার ধারন করে বিকট হতে শুরু করছে। ভাবনার গাড়ি ষ্টেশন খুঁজে পায়না । আমাকে যদি এত কিছু সহ্যই করতে হয় তাহলে অসহ্য হওয়ার মত মহৎ বিষাক্ত রিপু কেন তাড়িয়ে বেড়ায়? আর কেই বা খোঁজ নেয় সভ্যতার আবরণে লুকানো পিশাচের ভিরে? আমরা সবাই পিশাচ। পিশাচ পিশাচিনি একে অপরকে ভালো বেসে যাই। নিজেদের রুপ আয়নায় দেখলে একটা সুন্দর পিশাচ ছাড়া নিজেকে অন্য বনের অধিবাসী বলে মনে হয়না। কেনো হবে? যেই ব্যাটা কদিন পড়েই ইংল্যান্ড যাচ্ছে সর্বোচ্চ ডিগ্রি আনতে সেই ব্যাটার শিক্ষা অথবা নৈতীকতার বাহার দেখে মনে হয় সমাজে সব যদি বিধর্মী হয়ে যেতো তাহলেও হয়তো মুসলিমদের চেয়ে ভালো ভাবে সমাজ বহন করতে পারতো। কারন ঐব্যাটার দোষ তো তখন সাধুবাদের ব্যাবহা

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে)

হাজার বছর ধরে মানুষ বিরামহীন ভাবে খুঁজে যাচ্ছে তার নিজের আগমনের কারন। এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেলো। কারন মানুষ নিজে আবিষ্কার করতে পারলো না কেনো আসলে সে আসলো। কেনো তার আসা... আবার হঠাত করেই চলে যাওয়া। অনিচ্ছাকৃত এই যাওয়া আসার সাথে থাকছে একটা ইচ্ছাকৃত জীবন। আচ্ছা, যদি এতোই ইচ্ছার জীবন হয় তাহলে আমাকে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিতেই হবে এটা কেনো বাধ্য করা হচ্ছে? কেনো আমাকে হলের মধ্যে জোর করে ঢুকিয়ে দেয়া? এবং প্রশ্ন পত্র হাতে তুলে দিয়ে সাদা কাগজে পরীক্ষা দিতে বলা হচ্ছে? মানে আমি দুনিয়ায় আসবো কি আসবো না এব্যাপারে আমার কোনো ইচ্ছাই নেই... আবার আমি যাবো কি যাবোনা তাও ঐচ্ছিক নয়... এমন একটা গোলেমেলে পরীক্ষা ক্ষেত্রে পরিক্ষা দেয়াটা আসলেই কেমন অদ্ভুত। এখন এসে যখন পরেছি ই তাহলে আর কি ইবা করার... যতটা পারা যায় ভালো ফলাফলের প্রত্যাশায় কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ কি করবে? সে এতোটা অসহায় একটা প্রাণী যে তাকে শেখানো হয়েছে মেনে যাও... যা ঘটে মেনে চলো... যা কিছু খারাপ ও ভালো তাকদিরে লেখা সব মেনে চলো। এখন তাকদির বা ভাগ্যকে মেনে নিলেই মানুষ মানুষ হয়ে যাবে... এমনটা ভাবার কি যথা যোগ্য কোনো কারন রয়েছে? যেখানে ভাগ্

অগ্নিকান্ডে মৃতদের নয়; রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ঐ সব পাপীদের তরে যাদের পাপে নিরপরাধীরাও গজবাক্রান্ত হচ্ছে।

পথ দিয়ে হাটতে গেলেই মনে হয় এই তো দম শেষ। পড়লো বুঝি আমার পাপের বোঝাটাই আমার ঘাঁড়ে। আর মর মর করে ভেঙ্গে গেলো পুরো মেরু দন্ডটাই। অবসর প্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ারের মুখে কখনো ধর্ম কথন শুনি নাই। আজ হঠাত শুনে অবাক না হওয়ার উপযুক্ত কোনো উপায় খুজে পেলুম না। বলেন কিনাঃ এই সব কথা কুরানে লিখা আছে। কোরানে বলা আছে যখন কোনো যাতি নিজেদের অহংকার আর লোভের চরম সিমানায় পৌছে যায় তখনই তার ঢিলে করে দেয়া রশিতে টান মারেন তিনি... কথাটা বিশ্বাস না করার উপায় থাকলে বলুন? চারিদিকে শুধু লোভী মানুষের আহাজারী... না না কেউ মরলো বলে না। আর কটা টাকা উপার্জনের লোভ। বেঁধে দেয়া সীমা অতীক্রমের লোভ। রাজউক এর সিমানা অতিক্রম করার যতো মজা সব ই এখন ভোগ করছে এরা। শুনলুম কনকর্ডের টাওয়ার ও নাকি কাঁত হয়ে গেছে। কি লজ্জার কথা। এতো বিখ্যাত নির্মাতা কনকর্ড। থাক। আফসোস আর না ই বা করলাম!! কারখানার রাসায়নীক পদার্থের সাথে মানুষ একই সাথে বসবাস করবে কেনো?? মানুষের আবাসিক এলাকায় এই সব কারখানা থাকবেই বা কেনো? যুক্তি দিয়ে আমাকে একটু বুঝানতো... আমি কানা না। মেনে নেবো। এখন কি করা যায় তা ভাবলাম। ভেবে বুঝলাম করার একটাই আছে। তা হলো দু তিনদিন পরে এই সব মর্মান

বন্দী কলম ১ (ধারাবাহিক)

মাঝ রাতে কেউ দরজায় নক করলে সাধারনত সবাই বিরক্ত হয়।আর মাঝ রাতও কি এমন মাঝ রাত যখন নিশাচর শেষ প্রানীটি ও ঘুমিয়ে যায়। শুধু দুইধরনের জীবেরা সজাগ থাকে। ১।প্রভুকে স্মরন কারী ২।চোর ঠক’’ঠক’' কে? আমরা আমরা কারা? থানার লোক। ও আচ্ছা বলেই আমি দরজা খুলে দেই। ওরা আমাকে জিজ্ঞেস করছে মান্নান নামের কাউকে চিনি কিনা।এই এলাকায় বাসা।প্রচন্ড ঘুমে আমার সাড়া মাথা এলোমেলো। ভিতরে চিন্তা গুলো কোথাও বসার যায়গা খুজে পাচ্ছেনা। তাই এক যোগে নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে।এলোমেলো ভাবে চিন্তা করে কোথাও মান্নান নামে কাউকে খুজে পেলাম না। আমার বাসায় ঢুকার আগে ওরা আমার পাশের বাসায় খোঁজ নিয়েছিলো।সেই লোক আবার ইসলামী ব্যাংকে ভাল চাকুরী করেন। অনেক ভাল একটা মানুষ।আমি আনিস কাকা বলে ডাকতাম।উনি ভাবলেন আমি হয়তো মান্নান কে আবিষ্কার করতে পারবো তাই তিনি আমাদের বাসা দেখিয়ে বললেন এই বাসায় একটা ছেলে আছে ও হয়তো বলতে পারবে।তারা আর কি করবে এই মাঝরাতে ই তাদের মান্নান কে চাইই।দিনের বেলায় নিশ্চিত সে একজন ভয়ংকর জীবে পরিনত হয়।আর মাঝরাতে সে আর সবার মত সাড়ে তিন হাতের একটা সাধারন মানুষ।যাকে মন চাইলে ই চিমটি দেয়া যাবে।আবার দড়ি দিয়ে বেধে নিয়ে

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু?? জীবনকি এভাবেই তোমাকে বহমান স্রোতধারায় ভাসিয়ে নিজ়ে যাবে?? আজ কোনো কঠিন শব্দ গুচ্ছ আমাকে আক্রমন করেনা... আমি নিজেই আপন ব্যাথায় আহত... বুকের কোথাও খেজুর কাঁটার খোঁচার মতো তীক্ষ্ণ ব্যাথা ধীরে প্রশস্ত অবয়ব নেয়... নিয়ে নেয় একাই পর্যদুস্ত... পরাজিত হয়ে গেলে তুমি?? তুমি না বিজয় শেখাও??? তুমি না আকাশকে পকেটে পুরে মেঘের হাওয়াই মিঠাই আপন মুখে আপন সুখে সুখ মেলাও!! দেখবে কোথায় আকাশ লুকায় কান্না ঝড়ায় পাহাড় গায়ে নয়তো কোথাও বিষন্নতাও ডুকরে কাঁদে মাঝির নায়ে একটু ধারে জীবন পারে কোন বেহালা বাদক বসে... ভেজায় তাহার আপন সুরে এক অবেলার দূঃখ রসে? উত্থান পতনের ক্রমাগত আঘাতে বেসামাল জীবন তোমার... আমিও ভাবি... হয়তো বেশী দিন নেই, আমার দুখের পাপড়ি ভাঙ্গার... অনেক সুখেই কাটছে আমার দিন প্রতিক্ষন সন্ধ্যা লগন... একজনাকেই সব শপেছি... প্রার্থনাতে তাই জপেছি... অনেক কষ্ট আর বেদনা নিয়ে তুমি পালিয়ে যাবে?? তিনিকি এর চেয়েও বেশী কষ্ট কাউকে দেননি?? পরীক্ষা করেননি?? হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??

আত্মার ক্রন্দন

কতো আকাশে এখনো ভোর আসেনি... আমার এখানে আজ ভোর এসেছে তাই আমি সুকরিয়া আদায় করি... তবু কোথাও এক আকাশ দূঃখ নিয়ে বসবাস আমার আমিটার সাথে। ও অনেক বেয়াড়া... দুঃখ এলে আর টিকতে পারেনা... একদম একা হয়ে যায়। তখন আমাকেও সঙ্গে নিতে চায়না। আমি বসে থাকি আন্ধকারকে সাথী করেঃ সময়ের অবসন্ন আশংকায় ভীত দুটি পা আগামির সংকল্পে দ্বীধা দ্বন্দে ভোগে কাঁপে বিষন্ন বিকেলের আশংকায়... বুক ভরা আশংকা... একাকীত্ত্বের। কোনো এক দিনে অনেক অনেক দূরে যখন একা আমি... আমার কথা কে ভাববে? এখন সবাই ভাবে... কতজন আপন করে পায় আবার পেতে চায়। কত ব্যাস্ততা জীবনের কোলাহলে... অনেক বছর পরে কোনোদিন... কারো হৃদয়ের শিশিরে ঝিলিকের তালে ... অথবা নীরবে ডাহুকের ডাকে ঝিলের শাপলার তলে যেখানে মৃদু তরঙ্গে পানি টলমল... অথবা হৈচৈ ভরা লোকারন্যের কোনো অডিটোরিয়ামে লাখোমানুষের ভীরের পল্টন... অথবা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিষ্টিটিউট... ধিরে ত্যাগ করি আমি... একদিন যদি ছেড়ে যেতেই হয় তবে এখনো কেনো?? কিসের আশায় আমি জড়ায়ে থাকি এই সব?? মিছে এই মায়ায় পরে আত্মার ক্রন্দন শুনে ক্লান্ত আমি... অথবা কখনোই ক্লান্ত হইনা... শুধু চুপ হয়ে যাই বহুদিন পরে পরে। যাবোই যখন তোমাদের হৃদয়ের উষ

মে দিবস এবং আমাদের বোধোদয়ের প্রত্যাশা

যখন পথের পাশে শিশু সন্তান শুয়ে পা নেড়ে নেড়ে একলা নিজের সাথে নিজেই খেলা করে ধুলো আর বালিতে গড়াগড়ি দিয়ে, তখন মায়ের সন্ধান করতে গিয়ে চোখ চলে যায় ইটের ঢিবির উপর হাতের আঙ্গুলগুলোতে চাকার ভেতরের টিউবের রাবারের আবরণ লাগিয়ে কালো পাথরের উপর আস্ত ইটগুলোকে খন্ডিত করতে থাকা কংকালসার মহিলার দিকে। এই মা ও শিশু যেন চিৎকার করে সবাইকে মনে করিয়ে দেয় মে দিবসের আবেদন আর আন্দোলনের কথা। ১ মে। অবিরাম অমানবিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার শ্রম থেকে কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনার আকাংখা তখন প্রতিটা শ্রমিকের দাবী। এই আকাংখাই একদল শ্রমিককে ১৮৮৬ সালে শিকাগোয় নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলিত করে। ৮ ঘণ্টাই হোক কাজের সময়। এই ছিলো তাদের চাওয়া। তারা সময় বেঁধে দিয়েছিলো ১ মে এর মধ্যে তাদের দাবি মেনে নিতে হবে। কিন্তু কারখানার মালিকরা তা মেনে নেয়নি। ৪ মে ১৮৮৬ সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। “অগাস্ট স্পীজ” নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ

আম জনতা কাঠাল হলো

নেতার তরে খেতার তলে টেকার থলে সাজাইনি বেকার বলে মেকার হতে চেপ্টা বগল বাঁজাইনি তাইতো নাখোশ তিনি অন্যদিকে বন্য কিকে বিরোধীদের কেউ হলে এক থাপরে ব্যাক ফাপরে ফেল্ তাকে আজ ঢেউ জলে এই বেটাকে চিনি আম জনতা কাঠাল হলো ত্যাগী নেতা মাকাল ফলও আমরা কি ভাই করবাম? থার্ড কিলাশে পাশ করেও আইনজীবি হয় ঠাশ করেও কোন বিপদে পরবাম?
এবং কিছু ব্যাথা দিনে দিনে বেড়ে চলে ক্ষুধা- দারীদ্রের অলংকারে নয়া সাজে নববধু যেনো পৃথিবী প্রান্তরে প্রান্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসহায় মরা প্রাণের বিদীর্ণ আহাজারী কেউ শুনার নেই গুনতে গুনতে আর গুনা যায়না বিদগ্ধ লাশের মিছিল; ছেঁড়া পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা বিচুর্ণ অঞ্চল জানান দেয় আরো কিছু পোড়া দুখের কথা । হাজার বছর বুঝি এভাবেই চলেছিলো চলেছিলো সময়ের যন্ত্রণা । আকাশ ভাগ করে খেয়ে নেয় শকুন আর শকুনী চাঁদ চেটেপুটে হায়নার দল । রেখে যায় অপ্রাসাঙ্গিকতার আঁচলে বাঁধা বিবেক, বোধ, করুণা এবং কিছু ব্যাথা । কতটুকু দূখ জমা হলে পরে এক চিলতে হাসি হয়?
শুরু কোথায় তা' বলতে পারছিনা... এজন্য দুঃখিত... তবে শেষ হবেনা এটা সত্য । মানব জীবন এমন একটা অস্পৃশ্য বিষয় যা ধরা ছঁয়ার বাইরে । কেমন অবাক তাই না?? আমি আছি আবার আমি নাই । আমি দেখি আবার আমি দেখিনা । আমি ছুঁই আবার ছুঁইনা । এভাবেই আদম থেকে চলে আসছে । আর সাধারন মানুষের মস্তিষ্ক নামক অদ্ভুত একটি জিনিশ দিনে দিনে উন্নত হয়ে চলছে । সেই সাথে পাল্লা দিয়ে অনুন্নত হচ্ছে মানবীয় গুনাবলী ও অনুভুতির নার্ভ গুলো । আর অবিশ্বাসী মন শুধুই সন্দেহের পাতা ওল্টাতে ব্যাস্ত... এই পাতা ঝড়া দিন বুঝি আর শেষ হবার নয় । আর বুঝি কোনো মালী শুঁকিয়ে যাওয়া গাছের গোঁড়ায় দরদ মাখানো পানি ঢেলে দিতে আসবেনা । তবুও পৃথিবী গড়িয়ে গড়িয়ে হাটে আপন কক্ষপথে...