সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বন্দী কলম ১ (ধারাবাহিক)

মাঝ রাতে কেউ দরজায় নক করলে সাধারনত সবাই বিরক্ত হয়।আর মাঝ রাতও কি এমন মাঝ রাত যখন নিশাচর শেষ প্রানীটি ও ঘুমিয়ে যায়। শুধু দুইধরনের জীবেরা সজাগ থাকে। ১।প্রভুকে স্মরন কারী ২।চোর ঠক’’ঠক’' কে? আমরা আমরা কারা? থানার লোক। ও আচ্ছা বলেই আমি দরজা খুলে দেই। ওরা আমাকে জিজ্ঞেস করছে মান্নান নামের কাউকে চিনি কিনা।এই এলাকায় বাসা।প্রচন্ড ঘুমে আমার সাড়া মাথা এলোমেলো। ভিতরে চিন্তা গুলো কোথাও বসার যায়গা খুজে পাচ্ছেনা। তাই এক যোগে নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে।এলোমেলো ভাবে চিন্তা করে কোথাও মান্নান নামে কাউকে খুজে পেলাম না। আমার বাসায় ঢুকার আগে ওরা আমার পাশের বাসায় খোঁজ নিয়েছিলো।সেই লোক আবার ইসলামী ব্যাংকে ভাল চাকুরী করেন। অনেক ভাল একটা মানুষ।আমি আনিস কাকা বলে ডাকতাম।উনি ভাবলেন আমি হয়তো মান্নান কে আবিষ্কার করতে পারবো তাই তিনি আমাদের বাসা দেখিয়ে বললেন এই বাসায় একটা ছেলে আছে ও হয়তো বলতে পারবে।তারা আর কি করবে এই মাঝরাতে ই তাদের মান্নান কে চাইই।দিনের বেলায় নিশ্চিত সে একজন ভয়ংকর জীবে পরিনত হয়।আর মাঝরাতে সে আর সবার মত সাড়ে তিন হাতের একটা সাধারন মানুষ।যাকে মন চাইলে ই চিমটি দেয়া যাবে।আবার দড়ি দিয়ে বেধে নিয়ে

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু?? জীবনকি এভাবেই তোমাকে বহমান স্রোতধারায় ভাসিয়ে নিজ়ে যাবে?? আজ কোনো কঠিন শব্দ গুচ্ছ আমাকে আক্রমন করেনা... আমি নিজেই আপন ব্যাথায় আহত... বুকের কোথাও খেজুর কাঁটার খোঁচার মতো তীক্ষ্ণ ব্যাথা ধীরে প্রশস্ত অবয়ব নেয়... নিয়ে নেয় একাই পর্যদুস্ত... পরাজিত হয়ে গেলে তুমি?? তুমি না বিজয় শেখাও??? তুমি না আকাশকে পকেটে পুরে মেঘের হাওয়াই মিঠাই আপন মুখে আপন সুখে সুখ মেলাও!! দেখবে কোথায় আকাশ লুকায় কান্না ঝড়ায় পাহাড় গায়ে নয়তো কোথাও বিষন্নতাও ডুকরে কাঁদে মাঝির নায়ে একটু ধারে জীবন পারে কোন বেহালা বাদক বসে... ভেজায় তাহার আপন সুরে এক অবেলার দূঃখ রসে? উত্থান পতনের ক্রমাগত আঘাতে বেসামাল জীবন তোমার... আমিও ভাবি... হয়তো বেশী দিন নেই, আমার দুখের পাপড়ি ভাঙ্গার... অনেক সুখেই কাটছে আমার দিন প্রতিক্ষন সন্ধ্যা লগন... একজনাকেই সব শপেছি... প্রার্থনাতে তাই জপেছি... অনেক কষ্ট আর বেদনা নিয়ে তুমি পালিয়ে যাবে?? তিনিকি এর চেয়েও বেশী কষ্ট কাউকে দেননি?? পরীক্ষা করেননি?? হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??

আত্মার ক্রন্দন

কতো আকাশে এখনো ভোর আসেনি... আমার এখানে আজ ভোর এসেছে তাই আমি সুকরিয়া আদায় করি... তবু কোথাও এক আকাশ দূঃখ নিয়ে বসবাস আমার আমিটার সাথে। ও অনেক বেয়াড়া... দুঃখ এলে আর টিকতে পারেনা... একদম একা হয়ে যায়। তখন আমাকেও সঙ্গে নিতে চায়না। আমি বসে থাকি আন্ধকারকে সাথী করেঃ সময়ের অবসন্ন আশংকায় ভীত দুটি পা আগামির সংকল্পে দ্বীধা দ্বন্দে ভোগে কাঁপে বিষন্ন বিকেলের আশংকায়... বুক ভরা আশংকা... একাকীত্ত্বের। কোনো এক দিনে অনেক অনেক দূরে যখন একা আমি... আমার কথা কে ভাববে? এখন সবাই ভাবে... কতজন আপন করে পায় আবার পেতে চায়। কত ব্যাস্ততা জীবনের কোলাহলে... অনেক বছর পরে কোনোদিন... কারো হৃদয়ের শিশিরে ঝিলিকের তালে ... অথবা নীরবে ডাহুকের ডাকে ঝিলের শাপলার তলে যেখানে মৃদু তরঙ্গে পানি টলমল... অথবা হৈচৈ ভরা লোকারন্যের কোনো অডিটোরিয়ামে লাখোমানুষের ভীরের পল্টন... অথবা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিষ্টিটিউট... ধিরে ত্যাগ করি আমি... একদিন যদি ছেড়ে যেতেই হয় তবে এখনো কেনো?? কিসের আশায় আমি জড়ায়ে থাকি এই সব?? মিছে এই মায়ায় পরে আত্মার ক্রন্দন শুনে ক্লান্ত আমি... অথবা কখনোই ক্লান্ত হইনা... শুধু চুপ হয়ে যাই বহুদিন পরে পরে। যাবোই যখন তোমাদের হৃদয়ের উষ

মে দিবস এবং আমাদের বোধোদয়ের প্রত্যাশা

যখন পথের পাশে শিশু সন্তান শুয়ে পা নেড়ে নেড়ে একলা নিজের সাথে নিজেই খেলা করে ধুলো আর বালিতে গড়াগড়ি দিয়ে, তখন মায়ের সন্ধান করতে গিয়ে চোখ চলে যায় ইটের ঢিবির উপর হাতের আঙ্গুলগুলোতে চাকার ভেতরের টিউবের রাবারের আবরণ লাগিয়ে কালো পাথরের উপর আস্ত ইটগুলোকে খন্ডিত করতে থাকা কংকালসার মহিলার দিকে। এই মা ও শিশু যেন চিৎকার করে সবাইকে মনে করিয়ে দেয় মে দিবসের আবেদন আর আন্দোলনের কথা। ১ মে। অবিরাম অমানবিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার শ্রম থেকে কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনার আকাংখা তখন প্রতিটা শ্রমিকের দাবী। এই আকাংখাই একদল শ্রমিককে ১৮৮৬ সালে শিকাগোয় নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলিত করে। ৮ ঘণ্টাই হোক কাজের সময়। এই ছিলো তাদের চাওয়া। তারা সময় বেঁধে দিয়েছিলো ১ মে এর মধ্যে তাদের দাবি মেনে নিতে হবে। কিন্তু কারখানার মালিকরা তা মেনে নেয়নি। ৪ মে ১৮৮৬ সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। “অগাস্ট স্পীজ” নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ

আম জনতা কাঠাল হলো

নেতার তরে খেতার তলে টেকার থলে সাজাইনি বেকার বলে মেকার হতে চেপ্টা বগল বাঁজাইনি তাইতো নাখোশ তিনি অন্যদিকে বন্য কিকে বিরোধীদের কেউ হলে এক থাপরে ব্যাক ফাপরে ফেল্ তাকে আজ ঢেউ জলে এই বেটাকে চিনি আম জনতা কাঠাল হলো ত্যাগী নেতা মাকাল ফলও আমরা কি ভাই করবাম? থার্ড কিলাশে পাশ করেও আইনজীবি হয় ঠাশ করেও কোন বিপদে পরবাম?