হাজার বছর ধরে মানুষ বিরামহীন ভাবে খুঁজে যাচ্ছে তার নিজের আগমনের কারন। এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেলো। কারন মানুষ নিজে আবিষ্কার করতে পারলো না কেনো আসলে সে আসলো। কেনো তার আসা... আবার হঠাত করেই চলে যাওয়া। অনিচ্ছাকৃত এই যাওয়া আসার সাথে থাকছে একটা ইচ্ছাকৃত জীবন।
আচ্ছা, যদি এতোই ইচ্ছার জীবন হয় তাহলে আমাকে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিতেই হবে এটা কেনো বাধ্য করা হচ্ছে? কেনো আমাকে হলের মধ্যে জোর করে ঢুকিয়ে দেয়া? এবং প্রশ্ন পত্র হাতে তুলে দিয়ে সাদা কাগজে পরীক্ষা দিতে বলা হচ্ছে? মানে আমি দুনিয়ায় আসবো কি আসবো না এব্যাপারে আমার কোনো ইচ্ছাই নেই... আবার আমি যাবো কি যাবোনা তাও ঐচ্ছিক নয়... এমন একটা গোলেমেলে পরীক্ষা ক্ষেত্রে পরিক্ষা দেয়াটা আসলেই কেমন অদ্ভুত। এখন এসে যখন পরেছি ই তাহলে আর কি ইবা করার... যতটা পারা যায় ভালো ফলাফলের প্রত্যাশায় কাজ করে যাচ্ছি।
মানুষ কি করবে? সে এতোটা অসহায় একটা প্রাণী যে তাকে শেখানো হয়েছে মেনে যাও... যা ঘটে মেনে চলো... যা কিছু খারাপ ও ভালো তাকদিরে লেখা সব মেনে চলো। এখন তাকদির বা ভাগ্যকে মেনে নিলেই মানুষ মানুষ হয়ে যাবে... এমনটা ভাবার কি যথা যোগ্য কোনো কারন রয়েছে? যেখানে ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত হয় আমাদের হাতে... সেখানে ভাগ্যের আর শক্তি থাকলো কোথায়?
ভাগ্য আরেকটা আজিব চিজ!! আজ আমি ভাগ্যকে ঠেলে পিছিয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম তো... কাল আবার ঐ চিজ আমাকে ঠেলে ওর নিজের ইচ্ছামতো ঘটনা দূর্ঘটনা আমার উপর এমন ভাবে চালালো যে এটা মেনে না নিলেই বরং সামনে চলার পথ টাকে বিপদসঙ্গুল অথবা কন্টকাকীর্ণ বলে মনে হয়। অথবা মনে বারবার নিকট অতীতের কোনো দূঃস্বহ স্মৃতির যন্ত্রনায় ক্ষতবিক্ষত হতে হয়। (চলবে)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন