সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জীবিতেরা সব চলে এসেছিলো মৃত্যু থেকে পালিয়ে, কিন্তু মৃতেরা?

আমার রুমে ২টা তেলাপোকাকে আমি প্রায় সময়ই একই সাথে ঘুরাঘুরি করতে দেখি। একটা যদি বিছানায় তো অন্যটা বালিশে, একটা যদি বইয়ে আরেকটা খাতায়, একটা ফ্লোরে আরেকটা দেয়ালে, একটা এলসিডিতে আর অন্যটা তখন মাউসের আশে পাশে ঘুরাঘুরি করছে-মনে হয় সঙ্গী আর সঙ্গিনী। আমরা বর্তমান মানুষরা এর বেশী কিছু ভাবতে শিখিনি। ওরা আমাকে বেশ ভালোবাসে। রুমের দরজা খুলে দিলে বেরিয়ে যায় আবার ফিরে আসে- ফিরে আসে। সন্ধ্যায় বসে লিখছি এমন সময় আমার হাতের আঙ্গুলে একটা তার সরু শুর দিয়ে শুরশুরি দিলো। আমি তাকালেই ঘুরে চলে যায়। ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে চোখ ঘসে ঘসে ওয়াশরুমের পথে যেতে যেতে হঠাৎ আবিষ্কার করি আমি ঠিক উলটো করিডোরে হাটি, ঘুরে ফিরি আবার ওপথে। হাতে পায় চোখে অজুর কোমল স্পর্শে আমি যেনো সকালের আকাশ চুইয়ে পড়া সুবহের শিশির। পায় জ্বলা অনুভব করে দেখি ওরা আমার পায়ের আঙ্গুলের ডগার নরম চামড়া খেয়ে ফেলেছে। আমি বেশ উপভোগ করি। ইয়াল্লাহ!! বা হাতের বুড়ো আঙ্গুলের চামাড়াও লাল হয়ে আছে। ওদেরকে বিদেয় করে দেবো ভাবি। আবার ভাবি ওরা আমার কতটুকুই বা ক্ষতী করলো? আমরা মানব জাতি এর চেয়ে কত বেশী ক্ষতিকরদের সাথে বন্ধুত্ত্ব করি- আবার উপকারীদের সাথে কর

আমার স্বপ্ন গুলো কই?

স্বপ্ন আঁকার সংকল্পে আজকে বেকার কালকে বেকার পরশুতেও হয়নি আকার যায় ফুরিয়ে জীবন চাকার তেল আর দেখবো কত খেল? ফেরিওলার স্বপ্ন কিনে উড়াই কেবল রাত্রী দিনে। জানি না আজ স্বপ্ন বিনে কেমনে বেঁচে রই- জানিশ কি কেউ তোরা? আমার স্বপ্ন গুলো কই?

পথ চলার বেদনা

ধিরে শরীরটা বাতিল হয়ে যাওয়া টেলিভিশনের মত খুলে খুলে যাচ্ছে মনের ডানায় আর ঝাপটানোর জোর খুঁজে পাইনা, কেমন বিহন্ন রোদন। বসন্তের ছোবলে বিক্ষত ভ্রমরের ব্যাকুল বিষন্নতা বুকে বাতাসের অহংকার মরা ঘাসে ঘাসপোঁকাদের করুন বিলাপে ব্যথিত পৃথিবীর শেষ বাঁচার আকুতি এই সব বুকে নিয়ে পথ চলার বেদনা তুমি কি বুঝবে কোনোদিন? না বুঝলে কি করে অদৃশ্য বেদনার পাহারের দেখা মিলবে বস্তুবাদী নয়নে? একাই একটি ঝিঝি পোঁকা ডেকে যায় পাহাড়ী পথের ধারে সরু রাস্তার ধারে- পৃথিবী ঘুরছেই অবিরাম আপন কক্ষপথে আপন গতিতে আপন সময়ে তবু আমাদের দিনগুলো আর ফিরবেনা যতোই গভীর হোক কান্না আর ফেরানো যাবেনা সময়ের জল উল্টো পথে পেছনের ক্ষয়ে যাওয়া অতীতে।

রাত্রী, বৃষ্টি ও আমি

জানালার থাই পেরিয়ে আমার কানে ওর আহবান আসতে বেশ সময় লেগে গেলো। কিন্তু যখনই টের পেলাম ও এসেছে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। সোজা ছাদে গিয়ে ঠান্ডা ভেজা দোলনায় বসে পড়লাম। আকাশ থেকে নেমে ব্যাকুল করা স্পর্শে আমাকে শিহরিত করে দিলো। ধিরে ভিজতে লাগলাম। ক্যামন যেনো একটা ভালোলাগা। আসলে বলার মতো উপযুক্ত কোনো শব্দ আমার ভান্ডারে উপস্থিত নেই মনে হয়। কি আর করার তবুও লিখতে যখন বসেছি উপলব্ধির কাছাকাছি তো অন্তত নিয়ে যেতে হবে। আকাশের আদর খুব ধিরে এসে পড়ছে মাথায়, গায়, হাতে, পায়। রাতের রঙ মাখিয়ে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো। হঠাৎ প্রচন্ড কান্না পেলো। কেনো জানিনা। অনেকেই বলে কাঁদা নাকি মেয়েদের স্বভাব। মানুষ কি আসলে ছেলে? নাকি মেয়ে? ভেতরে যে জিনিষটা আছে ওটাকে আমার মনে হয় কেবলি মানুষ। নারী নয় পুরুষও নয়। কেনোনা রুহ বা আত্মা পুরুষ বা নারী হওয়ার কোনো যোগ্যতা রাখেনা। কেবল মাত্র শারীরিক প্রয়োজনে এটা নারী বা পুরুষ। সাইকোলোজি ফিলোসোফি থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার কারনও হচ্ছে কেবলমাত্র আত্মার কোনো দৃশ্যমান অস্তত্ত্ব না থাকা। যার কোনো দৃশ্যমান অস্তিত্ত্ব নেই সে কি করে পুরুষ অথবা নারী হয়? এজন্য কারো আচরনকে কোনো নির্ধারিত কিছুর

এখন আমি লঞ্চের বারান্দায়- নদীর ভেজা বাতাস আমার সঙ্গী

লঞ্চের এই লৌহ প্রান্তরে প্রাণের কোলাহলে মুখরিত একটি ছোট্ট কেবিনে আমি আর আমরা আমাদের তৈজস নিয়ে আস্তানা সাজাই একটি রাতের জন্য। ছোট দুটি খাট সাদা ধবধবে চাদরে জড়ানো। একটা কাঠের টেবিল- দুটি ব্যাবহৃত ফ্রেশ পানির বোতলে রাখা পান করার পানি। দুটো গ্লাস। আমরা চাইলেও হয়তো অনেক কিছু জানতে পারিনা। মানুষ অনেক সিমাবদ্ধ শক্তি নিয়েই নিজেকে অনেক শক্তিধর একটি প্রাণী মনে করে। কিন্তু সে নিজেও জানে সে আসলে কোনো শক্তি ই রাখেনা। কেবল বৃথা আস্ফালনে কাঁপায় পৃথিবীর সকল প্রান্তর। একই কেবিনে তিনটা লেপটপ থাকায় দরজায় আর জানালায় উৎসুক দর্শকের কোনোই অভাব হলোনা। জানালায় নারী শিশু মুখ উঁকি দিচ্ছে বার বার। দরজায় মধ্য বয়ষ্ক ভদরলোক ও লুঙ্গি শক্ত করে বাধতে গিয়ে হালকা চোখে শরু পাতায় দেখে উঁকি দিয়ে-- কি করছে? কি দেখছে ছেলেগুলো? আমাদের অহংকার আমাদেরকে কতটা উচ্চতায় নিতে পারে জানিনা তবে নিচের দিকে যে ভয়াবহ গতীতে আমরা পতিত হচ্ছি তার স্পিড জানতে আজ আর কোনো মিটারের প্রয়োজন হয়না। প্রবাহমান খরস্রোতা মেঘনার মতো আমরাও ঢেলে দেই নিজেদের সকল বুদ্ধি বিবেক। বারান্দায় অনেক বাতাস থাকলেও শহর মুখো মানুষগুলোর প্রচন্ড আনাগোনায় বসার কো

বৃষ্টি তুমি বড্ড অদ্ভুত সুন্দর

বৃষ্টি হলেই কেমন যেনো অদ্ভুত একটা অনুভুতি টের পাই বুকের ভেতর। আচ্ছা মনটা কি বুকে থাকে? নাকি মাথায়?? থাক এটা নিয়ে আর একদিন ভাবা যাবে। ও -- আমি কিন্তু কখনোই ছাতা মাথায় দেইনা। লেপটপটাকে কভার করার জন্য একটা ওয়াটার প্রুফ ব্যগে পুরে কাঁধে করে নেমে যাই। ভিজতে ভিজতে শহরের সেই সব মানুষদের মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করি যারা মনচাইলেও বৃষ্টি থেকে নিজেদেরকে আড়াল করতে পারেনা। ওরা বসে থাকে অভার ব্রিজের নিচে। কিন্তু ওখানেও বৃষ্ট তার গড়িয়ে পড়া পানিতে ওদেরকে ভিজিয়ে দেয়। যাদের চোখের জল বৃষ্টির পানিতে মিশে এই মাটিকে আর উর্বর হতে সাহায্য করে। যখন চুলগুলো মাথায় লেপ্টে যায়- চুলের আগায় টুপ টুপ করে পানির ফোঁটাগুলো পড়তে থাকে- আর কানে ইয়ার ফোনে বাঁজতে থাকে শ্রীকান্তের -আমার সাড়াটা দিন মেঘলা আকাশ বৃষ্টি- কিংবা- তাওসিফের- বৃষ্টি ঝরে যায় দুচোখে গোপনে- শুনতে শুনতে অনেক দূরে কোথায় হারিয়ে যাই। এটা কিন্তু মোটেও বাড়িয়ে বলছিনা। এমনিতে আমি তেমন একটা বাহিরে যাইনা। কিন্তু বৃষ্টি হলে আমি সারাক্ষণ পথে পথে ঘুড়ে বেড়াই। আমার তেমন একটা জ্বরটর হয়না আলহামদুলিল্লাহ। সেদিন একজন বুড়ো ভিক্ষুককে দেখলাম মসজিদের সামনে বসে তার দূর্বল

তবে ফিরে এসো

একটা কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম এখানে বসেই পৃথিবীর অগনন বছরের পর ও হয়তো এ প্রচেষ্টার এতোটুকু কমতি হবেনা। মাথায় অশুত্থের ছায়া, কাঁধে পাতাফালি রোদ তোমাদের সাথেই কথা হয়- ভুলে যাই কত কিছু- ভুলে যেতে হয় বলেই। ভুলে যেতে হয় তোমাদের- তোমরা যারা ছিলে কুয়াশার চাঁদরের মতো ছিলে শিশিরের মতো অদ্ভুত গন্ধে অবিচ্ছিন্ন ভাবে আমার আত্মায়। নদীর মতো আবহমান তোমাদের তোমরা- আমাকে কেবলি ব্যাথার মতো সুন্দর কিছু সুখ দিয়েছিলে। আমিও হয়তো চেটেপুটে তৃপ্তি তুলেছি- তবুও অতৃপ্তিরা খেলা করে সে খেলার শেষ হয়তো নীরব হয়েগেলে পরেই কেবল সমাপ্ত। শুধু গল্প অসমাপ্ত রয়ে যায়-স্কুলগামী সন্তানদের পায়ের শব্দে- অথবা দুপুরের তপ্ত রোদে ব্যাকুল আকুল সময়ের পথ চেয়ে। যদি কোনো দিন ক্লান্ত হও তোমরা- তবে ফিরে এসো দেখবে তখনো আমি খুটুর খাটুর করে এখনো একটি কবিতা লেখার প্রচেষ্টায় মিষ্টি হেসে ভুলিয়ে দেবো সকল ক্লান্তি- তোমাদের দোদ্যূলমান এপার ওপার অস্থির ছুটে চলা বুক থেকে যতো দুঃখ আছে – হয়তো ভুলিয়ে দেবো। ১২টা ৪৫ মিনিট ০৯/০৯/১০

বেশ একটা ভালো লাগা নিয়েই মায়ের কোলে ফিরে এলাম

এখন রাত ১২টা বেঁজে ৮ মিনিট। এখানে অনেক বাতাস।গতকাল চুলগুলোয় শ্যম্পু করায় বেশ উড়ছে। সারা লঞ্চ ভর্তি মানুষ। সবাই ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছে। বাড়ী জিনিশটা অনেক অদ্ভুত। মনে হয় কোথায় যেনো একটা মায়া আর মজবুত একটা শেকল বাঁধা। আমি ও যাচ্ছি। কাঁধে বিশাল ব্যাগ ঝুলিয়ে যখন টার্মিনালে প্রবেশ করছিলাম পুরো এড়িয়াটা তখন লোকে লোকারন্য। তবে সরকারকে ধন্যবাদ এত্তো চমতকার করে টার্মিনালটাকে সাজানোর সুযোগ দিয়েছে রবিকে। আর রবি ও বেশ অনিন্দ্য করে সাজিয়েছে পুরো টার্মিনালটা। অবাক হয়ে চকচকে টাইলসের মেঝে আর দেয়াল দেখে ভুলেই গিয়েছিলাম এখানে একসময় তেল চিটচিটে ইটের দেয়াল ছিলো। দেয়ালের স্থানে স্থানে শুকনো ভেজা থুথুর দাগ বসা সেখানে হেলান দেয়া ভবঘুরেগুলো ঢুলুঢুলু চোখে তাকিয়ে থাকতো। তার বদলে সাদা সফেদ স্মার্ট পোশাকের নৌ সেনাদেরকে দেখে বেশ পুলকিত হই। অসাহায় মুখগুলো দেখা থেকে বেঁচে গেলাম বোধহয়। মনে হয়ে যায় আমি অনেক দিন পড়ে এই আঙ্গীনায় পা রেখেছি। রিক্সা গাড়ী থেকে না নামতেই কুলিদের টানা হেঁচড়া মনে হয় যেনো বোঁচকা নয় আমার হাত পা কাঁধে করে তুলে দৌড় দেবে- এসবও অনুপস্থিত। বেশ একটা ভালো লাগা নিয়েই মায়ের কোলে ফিরে এলাম।

বস্তির দরজায় নক করে জানতে চেয়েছিলাম আমাকে এক টুকরো সুখ দেবেন?

অনেক পুরোনো একটি স্বপ্ন ছিলো- কিছুটা এরকম--- যাকাত দেয়ার জন্য ধনীরা বস্তির দরজায় লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে। অথবা দ্বারে দ্বারে গিয়ে জিজ্ঞেস করছে লাগবেনি--গো যাকাত? ভেতর থেকে আওয়াজ আসছে নাহ!! আমরা পেয়েছি!! এবারের মতো মাফ করো!! কি অবাস্তব বা আকাশ কুসুম? মোটেও নয়। এমন মানুষগুলো দিকে দিকে তৈরী হচ্ছে। সেই দিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন রাতের আবরনে ছদ্মবেশে আমাদের তরুন তরুনীরা দূঃখী মানুষের খোঁজে বের হবে। আর কতকাল সোনালী অতীত পড়ে কাঁদবে? এখন আর অতীত নিয়ে স্বপ্ন দেখার সময় নেই। লক্ষ অবহেলিত প্রাণের অপেক্ষায় জেগে উঠেছে সাহসের ফুলকিরা। তাদের কিছু কথাই আজ বলবো। এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময়ই চোখে পরে বিশাল দালানের ঠিক নিচেই একটি প্লটে কিছু মানুষ তাদের ব্যাস্ততা বুকে ছোট্ট ছোট্ট ছাউনিতে জীবন কাটায়। একজোড়া ধুসর চোখকে অনুসরন করে এগিয়ে যাই। উঁকি দিয়ে দেখি। ধোয়া ওঠা চুলোয় কিশোরী রান্না চরাচ্ছে। আমাকে দেখে লাজে মুখ ঢাকলো। কি রান্না হচ্ছে গো আজ? কদু দিয়া পুইশাঁক দিয়া। বলতে বলতে কাটা পুইশাঁকের থালাটিকে হাতে তুলে ঢেলে দিলো তিন খুঁটির চুলোয় বসানো খেলনা পাতিলের মতো ক্ষুদ্র একটি পাতিলে। পাশের ফ্ল্যাটে (খুপরিতে যা আয়

সাগরে চুবিয়ে এক টুকরো মেঘ খেতে দেবে আমায়?

আজ যেতে যেতে বহুদুর আরো দুরের সাথে দেখা হয়ে যায় যায় সিমানায় আকাশের গায় কালো কালো চোখে চায়-- নিরাকার কিছু আকারের খোঁজে বেহুদা জীবনে পারাপার সময় ভেঙ্গে সমুদ্র খুঁজে সর্বনাশের হাহাকার। একাকার এই সন্ধ্যার বুকে অন্ধের সুখে হাতরাই নিজের ব্যাকুল পাথর চেঁপে কষ্টের বুকে কাঁতরাই। বয়সের প্রাপ্ততার ভয়াবহ কম্পন অসহ্য প্রাপ্তি। সাগরে চুবিয়ে এক টুকরো মেঘ খেতে দেবে আমায়?

আমি হাত রেখে একজন বিদায়ী পথের শূন্য অভিযাত্রীর হাতে

বাজার করতে যাওয়াটা ভয়াবহ একটা ঝামেলা তাই না? আপনার কি মনে হয়? তাও যদি হয় বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর এক গোড়ালী কাঁদার মধ্যে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। বেশ ফুরফুরে মনে জুতোর তলায় কালো আঠালো কাঁদার আন্তরিকতা সাথে নিয়ে কাঁচা বাজারে প্রবেশ বৃত্ত সাহেবের। মানে এই আমিটা যখন বাজারে ঢুকলাম চার বছর আগের সেই নিয়মিত পসরা সাজানো সব্জিওয়ালাদেরকে দেখছিলামনা। খুজে যাচ্ছিলাম ঢুকার পথেই দক্ষিন পার্শের পানির টেপটার ঠিক ২ হাত সামনে যে শেষ গোধুলির মানুষটা বসতো তাঁকে। নেই-- তবে জায়গা টা শুন্য নয়। যুবক বয়সী একই চেহারার আরেকজন সেই একই ডালা নিয়ে বসে আছে। সেই চেনা হাসি যা তার বাবার মুখে ছিলো। কালের পরিক্রমায় কোথায় হারিয়ে গেলো সেই চেনা মুখ। ডান পার্শের নও জোয়ান ছেলেটি বেশ পরিপক্ক হয়েছে বলেই মনে হলো। আমাকে বলেঃ আসসালামু আলাইকুম। কবে আইছেন? তার শব্জিতে পানি ছিটানো ভেজা হাতে হ্যান্ডশেক করতে আমার হাত এগিয়ে দিয়েই বলি গতকাল আইছি। আপনি কেমন আছেন? বাড়িতে সবাই ভালোতো? আত্মতৃপ্তির একটা চোখবোজা দেখে মনে হলো লোকটা ভাবছে যাক- ভোলেনাই আমাগোরে- আইজকাইল তো সবাই ভুইলা যায়। জ্বি আছে সবাই ভালা। আপনের বাড়িতে আছে