সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ৬

অন্যকে আমি যেভাবে চালাতে চাই সেই ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অন্যের ইচ্ছার দ্বারা আমাকেও পরিচালিত হতে হয়। এখন সমস্যাটা হচ্ছে যখন আমি চলাতে যাই সব ঠিক... কিন্তু আমার উপর পণ্ডিতি করলে মানা যাবেনা... এটা আমি সহ অনেকের মধ্যেই আছে। এতে করে কখনো কখনো অনেক বেশী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমি হয়তো এমন বিষয় আছে যে বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ। সে বিষয়ে অন্তত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দেখতে পারি বিষয়টা কেমন হয়।


সহনশীলতা ভেবেছিলাম আমার ই বুঝি খুব বেশী। কিন্তু কখনো কখনো মনে হলো নাহ আসলে আমার যা আছে তা নেহায়াত ই অনেক কম। আমার চারপাশের মানুষের কাছে হয়তো আমি এতোটা সহনশীল কিন্তু আমার চেয়েও বেশী সহনশীলতা সমৃদ্ধ মানুষের কাছে গেলে নিজেকে বড়ই ক্ষুদ্র মনে হয়।

এবার এই ক্ষুদ্র হওয়ার বিষয়ে কিছু বলবো বলে মনস্থির করলাম। আমি আসলে মানুষ হিসেবে কতটুকু শক্তির অধিকারী? কতটুকু বিরত্ত্ব আমি দেখাতে পারি? কতটুকু মহান? এই সব কিছু নির্ণয় করে দেয় আমি আসলে কতটা ক্ষুদ্র। নিজের শক্তিকে যদি পৃথিবীর সকল শক্তির একটি ধরা হয় তাহলেই বুঝা যায় মানুষের কাছে পিপড়ের শক্তি অবস্থান যেখানে সমগ্র বিশ্বের সকল শক্তির সামনে আমার বা মানুষের শক্তি এর চেয়েও কতগুন যে কম হবে তা এই মূহুর্তে গননা করতে পারছিনা।

অথচ এই সামান্য শক্তি নিয়ে আমার কতো গর্ব অহংকার। মাটিতে পা ই ফেলা যায় না। আসলেই ভেবে দেখা দরকার আমি কতটা ক্ষুদ্র।
(চলবে)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুদুর চোখে সমুদ্র

প্রায় প্রতিদিনের মতই আজো ত্রস্তপায় সন্ধ্যারা ভীত ক্লান্ত গার্মেন্ট শ্রমিক হাছিনার ব্যাথায় কাতর হাটুর উপর ভর করে পৃথিবীর বুকে নেমে এলো। পৃথিবীর কি আসলে বুক আছে? উহু!! তাতো থাকার কথা নয়। সবটাই পিঠ। বলা উচিৎ পৃথিবীর পিঠে নেমে এলো। সাধারনত আমরা পিঠটাকে আবার কোল বলতে পছন্দ করি। সাহিত্যিক একটা ভাব নিয়ে বলা যায় ক্লান্তিকর বিরক্তভরা অন্ধকার তার গাঢ় নীল রঙএ লাশের গায় জড়ানো শেষ কাপড়গুলোর মত পৃথিবীর কোলকে আবৃত কছে। এইসব উলটাপালটা ভাবতে ভাবতে জানালা দিয়ে রাত্রীর ভয়াবহ আগমনে পলায়নপর সূর্যের শেষ উঁকিঝুকি দেখে জীবন সায়াহ্নে অলস দিনগুলো কাটাচ্ছে মাহমুদ। ধিরে পরিচিত সব বিদায় নিচ্ছে। কিছুদিন হলো ঘাসফরিং উড়ে গেছে, তার আগে বৃষ্টিরদাগ ধুয়ে মুছে গেছে পৃথিবীর কোল থেকে। বিদ্রোহী প্রাণ নিভু নিভু করে খুব নিচু স্বরে তার নাতনীর সাহায্যে মোবাইলে বিড়বিড় করে অস্পষ্ট স্বরে। ওদিকে নষ্টালজিকের চুল পেঁকে বুড়ো। তারিক, শিহান সবার বুঝি সন্ধ্যা ঘনালো। একসময় এই রঙ্গীন জগতের সব রঙই চোখে ধুসর হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু তখন আসলে কোন চশমা লাগিয়েও জগতের রঙ গুলোকে ফ্যাকাশে হওয়া থেকে নিস্তার দেয়া যায় না। ওটাই আসলে ধারিত্রীর র

নামাজি কাজ ফেলিয়া

আজ নামাজি কাজ ফেলিয়া ছুটিছে দেখ সিজদাতে, এমনি করে জগত ভরে হোক জমায়েত রোজ রাতে। খোদার ঘরে দরুদ পরে হাজার হাজার মুসলমান; দোর খোলা দিল পথ ভোলা দিল সবমিলে আজ উজাড় প্রাণ। হয় মুসাফির বছর ভুলে আজ কেবলি ঝুকলো শির। কেমন করে আঙ্গুল তোল? তুমিই কে বা মহান পীর? খোদার কাছে কাঁদল অবুঝ কাঁদল পাপী, কদরদান। কান্নাটা তো আসল ছিল, হোক না সে খুব অচলপ্রাণ! এইচ আল বান্না © 2017

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু?? জীবনকি এভাবেই তোমাকে বহমান স্রোতধারায় ভাসিয়ে নিজ়ে যাবে?? আজ কোনো কঠিন শব্দ গুচ্ছ আমাকে আক্রমন করেনা... আমি নিজেই আপন ব্যাথায় আহত... বুকের কোথাও খেজুর কাঁটার খোঁচার মতো তীক্ষ্ণ ব্যাথা ধীরে প্রশস্ত অবয়ব নেয়... নিয়ে নেয় একাই পর্যদুস্ত... পরাজিত হয়ে গেলে তুমি?? তুমি না বিজয় শেখাও??? তুমি না আকাশকে পকেটে পুরে মেঘের হাওয়াই মিঠাই আপন মুখে আপন সুখে সুখ মেলাও!! দেখবে কোথায় আকাশ লুকায় কান্না ঝড়ায় পাহাড় গায়ে নয়তো কোথাও বিষন্নতাও ডুকরে কাঁদে মাঝির নায়ে একটু ধারে জীবন পারে কোন বেহালা বাদক বসে... ভেজায় তাহার আপন সুরে এক অবেলার দূঃখ রসে? উত্থান পতনের ক্রমাগত আঘাতে বেসামাল জীবন তোমার... আমিও ভাবি... হয়তো বেশী দিন নেই, আমার দুখের পাপড়ি ভাঙ্গার... অনেক সুখেই কাটছে আমার দিন প্রতিক্ষন সন্ধ্যা লগন... একজনাকেই সব শপেছি... প্রার্থনাতে তাই জপেছি... অনেক কষ্ট আর বেদনা নিয়ে তুমি পালিয়ে যাবে?? তিনিকি এর চেয়েও বেশী কষ্ট কাউকে দেননি?? পরীক্ষা করেননি?? হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??