শুক্রবারে দিনটা বেশ তেজদিপ্ত হয়। এটা হচ্ছে অবচেতন মনের একটা ধারনা। এখন যদি খুঁজতে যাই যে এই অবচেতন মনটা আবার কে? কোত্থেকে আগমন? ক্যামনেই বা আমার মতের সাথে ভিন্ন মত পোষন করে?? সেই ক্ষমতাই বা পেলো কোথায়?
অবচেতনের উপর বিশাল বিশাল মোটা বই আছে। কত আজগুবি আর হাবিজাবি কথা লেখা আছে... অনেক রহস্যময় বিষয়েরও উল্লেখ আছে যার সমাধান মানুষ আজকের দুনিয়ায় ও দিতে পারেনাই... ভবিষয়তে কতোটাই পারে সে ব্যাপারেও ভয়াল সন্দেহের বলি রেখা আমাকে অতিক্রম করে চলে যায়নি।
কারন বিজ্ঞান আলোচনা করে দেখা জিনিষ নিয়ে। একসময় সাইকোলোজী প্রাচিন ফিলোসফির এক মহা মূল্যবান শাখা ছিলো। ফিলোসফি ই যখন আসছে আসুন একটু নড়ে চড়ে বসি। কারন এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে মাথার চুলগুলো নারীহরি হয়ে যায় তা টের পাওয়া প্রায় দূঃস্বাধ্য ই বলা চলে।
ততকালিন সময়ে থেলেস পানি বিষয়ক ভাবনা দেয়ার ও ৫৫০ বছর পর আমাদের ইসা আসলেন। এর পর তো ফিলোসফি আর তার নিজের স্বয়ংক্রিয় ধারা বজায় রাখতে পারেনি। ডগমাটিক আবরনে হাড়িয়ে যায় ফ্রি থিংকিঙ্গের সকল উপায় উপকরন। বেঁচারা ফিলোসফির আগমন অবশ্য মানুষ নামক অবাক এই বুদ্ধিমান জন্তুটির অসন্তুষ্ট থাকার প্রবনতা থেকে। কেননা খেয়ে পরে ঘুমিয়ে আর বাচ্চা বিয়োয়ে এদের রুচি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এর পর ভাবা শুরু করলো যে আসলে কে আমি? কেন? কিভাবে? আমার চারিপাশে এসব কি? কেনো? কিভাবে?
মোট কথা আমি আমরা ও পারিপার্ষিকতার জানার আগ্রহ থেকেই ফিলোসফির জন্ম হয়েছিলো। মেটাফিজিক্সের একটি শাখা হচ্ছে অন্টোলজি। সেকালে অন্টোলজিতেই ছিলো জীববিজ্ঞান ও সাইকোলজিক্যাল যত জ্ঞান।
তখন মানুষ ভাবতো... আমার মধ্যে কি এমন আছে যেটা থাকলে আমি কাজ করি?? আর না থাকলেই দেহ তা পঁচে গলে শেষ হয়ে যায়? তাহলে সেটার একটা ব্যাখ্য দাঁড় করানো জরুরি। সেতাই হলো সৌল বা আত্মা। আত্মার যত কথকতা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলো সাইকোলজিকাল মহা বিদ্যা।
কিন্তু বিজ্ঞান যখন ফিলোসফির গ্রাস থেকে ছুটে এসে নিজের তৈরী প্লাটফর্মে শুয়ে পরার চেষ্টা শুরু করেছে তখন তো মহা ফ্যাসাদে পরে যান রথী মহারথীরা।
এমন বিষয় নিয়ে বসছে যেটা দেখা যায় না। কি মুশকিল...!! দেখাও যায় না ছোঁয়া ও যায় না। কারন বিজ্ঞানের খাতায় নাম লেখাতে হলে তো তাকে দেখতে হবে... না দেখা জিনিশে মানুষ আজ বিশ্বাস করলেও তৎকালীন বিজ্ঞানীরা বোধ হয় একটু গোঁয়ার ছিলেন। তেমন গোঁয়ার অবশ্য আজকেও কিছু আছে... শেষ পর্যন্ত তারা ঐক্যামতে আসলেন যে এটা আসলে কিছুই না... এটা হচ্ছে আমাদের আচার আচড়ন সম্পর্কিত বিদ্যা হওয়ার দাবী রাখে... সেই দিন থেকে সাইকোলজি আত্মাবিদ্যা হওয়ার বদলে হয়ে উঠলো মনোবিদ্যা।
এখন বলেন... যে ব্যাটা নিজের মধ্যে যে জিনিশ থাকার কারনে নাচে খায় গায়... সেই জিনিশটাকেই আবিষ্কার করতে পারেনাই... সেই ব্যাটা আবার এই অদৃশ্য বস্তুর স্রষ্টাকে দেখার হিম্মত করে... আজিব!! (চলবে কিন্তু কইলাম)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন