সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে)৩

শুক্রবারে দিনটা বেশ তেজদিপ্ত হয়। এটা হচ্ছে অবচেতন মনের একটা ধারনা। এখন যদি খুঁজতে যাই যে এই অবচেতন মনটা আবার কে? কোত্থেকে আগমন? ক্যামনেই বা আমার মতের সাথে ভিন্ন মত পোষন করে?? সেই ক্ষমতাই বা পেলো কোথায়?
http://www.mde-art.com/art-blog/wp-content/uploads/2008/07/abstract-art-face-05.jpg
অবচেতনের উপর বিশাল বিশাল মোটা বই আছে। কত আজগুবি আর হাবিজাবি কথা লেখা আছে... অনেক রহস্যময় বিষয়েরও উল্লেখ আছে যার সমাধান মানুষ আজকের দুনিয়ায় ও দিতে পারেনাই... ভবিষয়তে কতোটাই পারে সে ব্যাপারেও ভয়াল সন্দেহের বলি রেখা আমাকে অতিক্রম করে চলে যায়নি।

কারন বিজ্ঞান আলোচনা করে দেখা জিনিষ নিয়ে। একসময় সাইকোলোজী প্রাচিন ফিলোসফির এক মহা মূল্যবান শাখা ছিলো। ফিলোসফি ই যখন আসছে আসুন একটু নড়ে চড়ে বসি। কারন এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে মাথার চুলগুলো নারীহরি হয়ে যায় তা টের পাওয়া প্রায় দূঃস্বাধ্য ই বলা চলে।

ততকালিন সময়ে থেলেস পানি বিষয়ক ভাবনা দেয়ার ও ৫৫০ বছর পর আমাদের ইসা আসলেন। এর পর তো ফিলোসফি আর তার নিজের স্বয়ংক্রিয় ধারা বজায় রাখতে পারেনি। ডগমাটিক আবরনে হাড়িয়ে যায় ফ্রি থিংকিঙ্গের সকল উপায় উপকরন। বেঁচারা ফিলোসফির আগমন অবশ্য মানুষ নামক অবাক এই বুদ্ধিমান জন্তুটির অসন্তুষ্ট থাকার প্রবনতা থেকে। কেননা খেয়ে পরে ঘুমিয়ে আর বাচ্চা বিয়োয়ে এদের রুচি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এর পর ভাবা শুরু করলো যে আসলে কে আমি? কেন? কিভাবে? আমার চারিপাশে এসব কি? কেনো? কিভাবে?

মোট কথা আমি আমরা ও পারিপার্ষিকতার জানার আগ্রহ থেকেই ফিলোসফির জন্ম হয়েছিলো। মেটাফিজিক্সের একটি শাখা হচ্ছে অন্টোলজি। সেকালে অন্টোলজিতেই ছিলো জীববিজ্ঞান ও সাইকোলজিক্যাল যত জ্ঞান।

তখন মানুষ ভাবতো... আমার মধ্যে কি এমন আছে যেটা থাকলে আমি কাজ করি?? আর না থাকলেই দেহ তা পঁচে গলে শেষ হয়ে যায়? তাহলে সেটার একটা ব্যাখ্য দাঁড় করানো জরুরি। সেতাই হলো সৌল বা আত্মা। আত্মার যত কথকতা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলো সাইকোলজিকাল মহা বিদ্যা।

কিন্তু বিজ্ঞান যখন ফিলোসফির গ্রাস থেকে ছুটে এসে নিজের তৈরী প্লাটফর্মে শুয়ে পরার চেষ্টা শুরু করেছে তখন তো মহা ফ্যাসাদে পরে যান রথী মহারথীরা।

এমন বিষয় নিয়ে বসছে যেটা দেখা যায় না। কি মুশকিল...!! দেখাও যায় না ছোঁয়া ও যায় না। কারন বিজ্ঞানের খাতায় নাম লেখাতে হলে তো তাকে দেখতে হবে... না দেখা জিনিশে মানুষ আজ বিশ্বাস করলেও তৎকালীন বিজ্ঞানীরা বোধ হয় একটু গোঁয়ার ছিলেন। তেমন গোঁয়ার অবশ্য আজকেও কিছু আছে... শেষ পর্যন্ত তারা ঐক্যামতে আসলেন যে এটা আসলে কিছুই না... এটা হচ্ছে আমাদের আচার আচড়ন সম্পর্কিত বিদ্যা হওয়ার দাবী রাখে... সেই দিন থেকে সাইকোলজি আত্মাবিদ্যা হওয়ার বদলে হয়ে উঠলো মনোবিদ্যা।


এখন বলেন... যে ব্যাটা নিজের মধ্যে যে জিনিশ থাকার কারনে নাচে খায় গায়... সেই জিনিশটাকেই আবিষ্কার করতে পারেনাই... সেই ব্যাটা আবার এই অদৃশ্য বস্তুর স্রষ্টাকে দেখার হিম্মত করে... আজিব!! (চলবে কিন্তু কইলাম)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুদুর চোখে সমুদ্র

প্রায় প্রতিদিনের মতই আজো ত্রস্তপায় সন্ধ্যারা ভীত ক্লান্ত গার্মেন্ট শ্রমিক হাছিনার ব্যাথায় কাতর হাটুর উপর ভর করে পৃথিবীর বুকে নেমে এলো। পৃথিবীর কি আসলে বুক আছে? উহু!! তাতো থাকার কথা নয়। সবটাই পিঠ। বলা উচিৎ পৃথিবীর পিঠে নেমে এলো। সাধারনত আমরা পিঠটাকে আবার কোল বলতে পছন্দ করি। সাহিত্যিক একটা ভাব নিয়ে বলা যায় ক্লান্তিকর বিরক্তভরা অন্ধকার তার গাঢ় নীল রঙএ লাশের গায় জড়ানো শেষ কাপড়গুলোর মত পৃথিবীর কোলকে আবৃত কছে। এইসব উলটাপালটা ভাবতে ভাবতে জানালা দিয়ে রাত্রীর ভয়াবহ আগমনে পলায়নপর সূর্যের শেষ উঁকিঝুকি দেখে জীবন সায়াহ্নে অলস দিনগুলো কাটাচ্ছে মাহমুদ। ধিরে পরিচিত সব বিদায় নিচ্ছে। কিছুদিন হলো ঘাসফরিং উড়ে গেছে, তার আগে বৃষ্টিরদাগ ধুয়ে মুছে গেছে পৃথিবীর কোল থেকে। বিদ্রোহী প্রাণ নিভু নিভু করে খুব নিচু স্বরে তার নাতনীর সাহায্যে মোবাইলে বিড়বিড় করে অস্পষ্ট স্বরে। ওদিকে নষ্টালজিকের চুল পেঁকে বুড়ো। তারিক, শিহান সবার বুঝি সন্ধ্যা ঘনালো। একসময় এই রঙ্গীন জগতের সব রঙই চোখে ধুসর হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু তখন আসলে কোন চশমা লাগিয়েও জগতের রঙ গুলোকে ফ্যাকাশে হওয়া থেকে নিস্তার দেয়া যায় না। ওটাই আসলে ধারিত্রীর র

নামাজি কাজ ফেলিয়া

আজ নামাজি কাজ ফেলিয়া ছুটিছে দেখ সিজদাতে, এমনি করে জগত ভরে হোক জমায়েত রোজ রাতে। খোদার ঘরে দরুদ পরে হাজার হাজার মুসলমান; দোর খোলা দিল পথ ভোলা দিল সবমিলে আজ উজাড় প্রাণ। হয় মুসাফির বছর ভুলে আজ কেবলি ঝুকলো শির। কেমন করে আঙ্গুল তোল? তুমিই কে বা মহান পীর? খোদার কাছে কাঁদল অবুঝ কাঁদল পাপী, কদরদান। কান্নাটা তো আসল ছিল, হোক না সে খুব অচলপ্রাণ! এইচ আল বান্না © 2017

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু?? জীবনকি এভাবেই তোমাকে বহমান স্রোতধারায় ভাসিয়ে নিজ়ে যাবে?? আজ কোনো কঠিন শব্দ গুচ্ছ আমাকে আক্রমন করেনা... আমি নিজেই আপন ব্যাথায় আহত... বুকের কোথাও খেজুর কাঁটার খোঁচার মতো তীক্ষ্ণ ব্যাথা ধীরে প্রশস্ত অবয়ব নেয়... নিয়ে নেয় একাই পর্যদুস্ত... পরাজিত হয়ে গেলে তুমি?? তুমি না বিজয় শেখাও??? তুমি না আকাশকে পকেটে পুরে মেঘের হাওয়াই মিঠাই আপন মুখে আপন সুখে সুখ মেলাও!! দেখবে কোথায় আকাশ লুকায় কান্না ঝড়ায় পাহাড় গায়ে নয়তো কোথাও বিষন্নতাও ডুকরে কাঁদে মাঝির নায়ে একটু ধারে জীবন পারে কোন বেহালা বাদক বসে... ভেজায় তাহার আপন সুরে এক অবেলার দূঃখ রসে? উত্থান পতনের ক্রমাগত আঘাতে বেসামাল জীবন তোমার... আমিও ভাবি... হয়তো বেশী দিন নেই, আমার দুখের পাপড়ি ভাঙ্গার... অনেক সুখেই কাটছে আমার দিন প্রতিক্ষন সন্ধ্যা লগন... একজনাকেই সব শপেছি... প্রার্থনাতে তাই জপেছি... অনেক কষ্ট আর বেদনা নিয়ে তুমি পালিয়ে যাবে?? তিনিকি এর চেয়েও বেশী কষ্ট কাউকে দেননি?? পরীক্ষা করেননি?? হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??