অনেক পুরোনো একটি স্বপ্ন ছিলো- কিছুটা এরকম--- যাকাত দেয়ার জন্য ধনীরা বস্তির দরজায় লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে। অথবা দ্বারে দ্বারে গিয়ে জিজ্ঞেস করছে লাগবেনি--গো যাকাত? ভেতর থেকে আওয়াজ আসছে নাহ!! আমরা পেয়েছি!! এবারের মতো মাফ করো!!
কি অবাস্তব বা আকাশ কুসুম? মোটেও নয়। এমন মানুষগুলো দিকে দিকে তৈরী হচ্ছে। সেই দিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন রাতের আবরনে ছদ্মবেশে আমাদের তরুন তরুনীরা দূঃখী মানুষের খোঁজে বের হবে। আর কতকাল সোনালী অতীত পড়ে কাঁদবে? এখন আর অতীত নিয়ে স্বপ্ন দেখার সময় নেই। লক্ষ অবহেলিত প্রাণের অপেক্ষায় জেগে উঠেছে সাহসের ফুলকিরা। তাদের কিছু কথাই আজ বলবো।
এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময়ই চোখে পরে বিশাল দালানের ঠিক নিচেই একটি প্লটে কিছু মানুষ তাদের ব্যাস্ততা বুকে ছোট্ট ছোট্ট ছাউনিতে জীবন কাটায়। একজোড়া ধুসর চোখকে অনুসরন করে এগিয়ে যাই। উঁকি দিয়ে দেখি। ধোয়া ওঠা চুলোয় কিশোরী রান্না চরাচ্ছে। আমাকে দেখে লাজে মুখ ঢাকলো।
কি রান্না হচ্ছে গো আজ?
কদু দিয়া পুইশাঁক দিয়া। বলতে বলতে কাটা পুইশাঁকের থালাটিকে হাতে তুলে ঢেলে দিলো তিন খুঁটির চুলোয় বসানো খেলনা পাতিলের মতো ক্ষুদ্র একটি পাতিলে।
পাশের ফ্ল্যাটে (খুপরিতে যা আয়াতনে ৮ বর্গফুটের বেশী কোনোরকমে হবেনা) সুমি (৬ বছর) মুখে অদ্ভুত ভো ভো শব্দে একটি প্লাস্টিকের ভাঙ্গা কুড়িয়ে পাওয়া গাড়ির পিঠে বড় সর কয়েকটুকরা ইট বসিয়ে ঠেলছে। ভেতর থেকে একটি মধ্যবয়ষ্ক নারীমুখ উঁকি দিয়ে দেখে কে এলো তার আঙ্গীনায়।
মোট আটটি ফ্যামেলির বসবাস। কথা বলে গেলাম প্রিয় শহরের উপেক্ষিত এই সব প্রাণের সাথে। যারা অট্টালিকার ঠিক নিচেই আছে তবু আকাশ ছোঁয়া মানুষদের চোখে কখনোই পরেনা। তাদের কোলাহলে নিজেকে বেশ নতুন করে দেখতে লাগলাম।
আবার আসবো বলে যেই ফিরতে চলেছি অমনি একজন মহিলা তার বিশুদ্ধ মায়ায় পূর্ণ চোখে তাকিয়ে বলেনঃ আপনি আর না আইলেও আমাগো সুখ। চাইর বছর ধইরা এইখানে থাকি, একটা মানুষ জিজ্ঞেস করলোনা “কি গো কি রান্না হচ্ছে? কেউ একবারের লাইগ্যা জানতে চাইলোনা আমার পোলাপাইন স্কুলে যায় কিনা? ” আপনে যে এটা জিগাইসেন এতেই আমাগো মনটা ভইরা গেছে। বুকের ভেতরটায় অদ্ভুত একটা কষ্টের অনূভূতির আনাগোনা। চোখে নোনা জলের আগমন টের পেয়ে তারাতারি তাদের সামনে থেকে সরে আসি।
আসলে চাইলেই আমরা পারি তাদের দূখগুলো মুছে দিয়ে সুখের কোমল পরশে উন্নত করে গড়ে দিতে এই সব ছিন্ন মানব জীবন। আমাদেরই দ্বায়ীত্ত্ব ছিলো।
ফিরে এলাম। তবে একা নয়। sos নামে একটি সামাজিক সঙ্গঠনের দীপ্ত প্রাণের কিছু বন্ধুদের সাথে নিয়ে। তারা বহুদিন থেকেই ভাবছিলো কারো সাথে আগামী ঈদের আনন্দগুলো শেয়ার করবে। আমিও মওকা পেয়ে ছুড়ে দিলাম প্রস্তাব। আমার সৌভাগ্য যে গ্রুপের প্রেসিডেন্ট আমার প্রস্তাব সানন্দে গ্রহন করলেন। এবং আমরা ঈদের কাপর ও সেমাই, চিনি, পলাউয়ের চাল দিয়ে তাদের সাথে ঈদের আনন্দকে পরস্পর বিনিময় করে নেই।
হয়তো এভাবেই প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠবে নতুন নতুন SOS। বদলে দেবে দূঃখী সমাজের বিবর্ণ চেহারা। এনে দেবে স্বদেশের বুকে নতুন সোনালী ভোর।
SOS এর ফেসবুক গ্রুপ http://www.facebook.com/group.php?gid=107988172591642&v=wall&ref=ts
কি অবাস্তব বা আকাশ কুসুম? মোটেও নয়। এমন মানুষগুলো দিকে দিকে তৈরী হচ্ছে। সেই দিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন রাতের আবরনে ছদ্মবেশে আমাদের তরুন তরুনীরা দূঃখী মানুষের খোঁজে বের হবে। আর কতকাল সোনালী অতীত পড়ে কাঁদবে? এখন আর অতীত নিয়ে স্বপ্ন দেখার সময় নেই। লক্ষ অবহেলিত প্রাণের অপেক্ষায় জেগে উঠেছে সাহসের ফুলকিরা। তাদের কিছু কথাই আজ বলবো।
এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময়ই চোখে পরে বিশাল দালানের ঠিক নিচেই একটি প্লটে কিছু মানুষ তাদের ব্যাস্ততা বুকে ছোট্ট ছোট্ট ছাউনিতে জীবন কাটায়। একজোড়া ধুসর চোখকে অনুসরন করে এগিয়ে যাই। উঁকি দিয়ে দেখি। ধোয়া ওঠা চুলোয় কিশোরী রান্না চরাচ্ছে। আমাকে দেখে লাজে মুখ ঢাকলো।
কি রান্না হচ্ছে গো আজ?
কদু দিয়া পুইশাঁক দিয়া। বলতে বলতে কাটা পুইশাঁকের থালাটিকে হাতে তুলে ঢেলে দিলো তিন খুঁটির চুলোয় বসানো খেলনা পাতিলের মতো ক্ষুদ্র একটি পাতিলে।
পাশের ফ্ল্যাটে (খুপরিতে যা আয়াতনে ৮ বর্গফুটের বেশী কোনোরকমে হবেনা) সুমি (৬ বছর) মুখে অদ্ভুত ভো ভো শব্দে একটি প্লাস্টিকের ভাঙ্গা কুড়িয়ে পাওয়া গাড়ির পিঠে বড় সর কয়েকটুকরা ইট বসিয়ে ঠেলছে। ভেতর থেকে একটি মধ্যবয়ষ্ক নারীমুখ উঁকি দিয়ে দেখে কে এলো তার আঙ্গীনায়।
মোট আটটি ফ্যামেলির বসবাস। কথা বলে গেলাম প্রিয় শহরের উপেক্ষিত এই সব প্রাণের সাথে। যারা অট্টালিকার ঠিক নিচেই আছে তবু আকাশ ছোঁয়া মানুষদের চোখে কখনোই পরেনা। তাদের কোলাহলে নিজেকে বেশ নতুন করে দেখতে লাগলাম।
আবার আসবো বলে যেই ফিরতে চলেছি অমনি একজন মহিলা তার বিশুদ্ধ মায়ায় পূর্ণ চোখে তাকিয়ে বলেনঃ আপনি আর না আইলেও আমাগো সুখ। চাইর বছর ধইরা এইখানে থাকি, একটা মানুষ জিজ্ঞেস করলোনা “কি গো কি রান্না হচ্ছে? কেউ একবারের লাইগ্যা জানতে চাইলোনা আমার পোলাপাইন স্কুলে যায় কিনা? ” আপনে যে এটা জিগাইসেন এতেই আমাগো মনটা ভইরা গেছে। বুকের ভেতরটায় অদ্ভুত একটা কষ্টের অনূভূতির আনাগোনা। চোখে নোনা জলের আগমন টের পেয়ে তারাতারি তাদের সামনে থেকে সরে আসি।
আসলে চাইলেই আমরা পারি তাদের দূখগুলো মুছে দিয়ে সুখের কোমল পরশে উন্নত করে গড়ে দিতে এই সব ছিন্ন মানব জীবন। আমাদেরই দ্বায়ীত্ত্ব ছিলো।
ফিরে এলাম। তবে একা নয়। sos নামে একটি সামাজিক সঙ্গঠনের দীপ্ত প্রাণের কিছু বন্ধুদের সাথে নিয়ে। তারা বহুদিন থেকেই ভাবছিলো কারো সাথে আগামী ঈদের আনন্দগুলো শেয়ার করবে। আমিও মওকা পেয়ে ছুড়ে দিলাম প্রস্তাব। আমার সৌভাগ্য যে গ্রুপের প্রেসিডেন্ট আমার প্রস্তাব সানন্দে গ্রহন করলেন। এবং আমরা ঈদের কাপর ও সেমাই, চিনি, পলাউয়ের চাল দিয়ে তাদের সাথে ঈদের আনন্দকে পরস্পর বিনিময় করে নেই।
হয়তো এভাবেই প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠবে নতুন নতুন SOS। বদলে দেবে দূঃখী সমাজের বিবর্ণ চেহারা। এনে দেবে স্বদেশের বুকে নতুন সোনালী ভোর।
SOS এর ফেসবুক গ্রুপ http://www.facebook.com/group.php?gid=107988172591642&v=wall&ref=ts
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন