সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জানিনা হবে কিনা ফেরা

আজকে যেখানে আমাকে দেখছো দাঁড়িয়ে আকাশ অথবা নদী অথবা চিলের ডানার তলে কোমল পালক কিংবা নরম আদর মাখা ছোট্ট ঢেউয়ে দুলতে থাকা কচুরিপানার ফুলের মাঝে একটা নৌকো অথবা মমতা মাখানো মাটির কোলে... কাল আমি বহুদুর কোনো শৃংখলে ঘেরা হবেনা জানিনা হবে কিনা ফেরা ফেরা ফের ভুলে থাকা বহুদুর অনেক জীবন পেড়িয়ে এভাবেই এখানে তোমরা সকলে আবার ব্যস্ত কোলাহল বুকে জীবনের পথে পথ ভুলে মন হিসেবে ন্যস্ত। দাড়ি কমা হীন জীবন জগতে ভাগ শেষ কিবা রয়ে গেলো মোর? চেয়েছিতো ভোর খুলেনি যে দোর আর কিবা আমি করতে পারতাম? কিবা ই বা আমার করার ছিলো? দৈনিক আমি সৈনিক হয়ে হেড়েছি কেবলি জিতিনি কোথাও ওপারেই যদি জিত থাকে মোর তাই থাক তবে তাই থাক

সবাই এমন ভাবে

ঘুমহীন রাত্রীরা এভাবেই কিভাবে যেনো চলে যায় অবসন্ন সময়ের দ্বারা কড়াঘাতে নেই কোনো সাড়া নেই কোদাল দিয়ে মাটি এবড়ো থেবড়ো রো সেই বীজ বুননে পারদর্শী শক্ত হাতে অতীত হয়ে যারা। এখানে গুনে চলা তারাগুলো মিটি মিটি সে হাসে অম্ল বদনে গ্রিবা উজ্জলে তবু আঁধারে ঝুলে ফাঁসে হীম হয়ে আসে রাত্রীর উপকূল আর সন্ধ্যারা যত শয়তান নিজে পশ্চিমাদের আরাধনায় আছে ব্রত। তবু রত্রী নিঃশেষ হয় পৃথিবীর হয় ভোরের দেখা মানবতা কূল খুঁজে ফিরে তবু পায়নি আলো রেখা।

এখনো কত বাকি

একটা আকাশ দেখতে গিয়েই ক্লান্ত হলে বন্ধু? এখনো কত বাকি... তবু তোমাদের মিলে আমাদের হয়ে একাই বুঝি থাকি। এই সবুজের হাহাকার আর নীলের বেদনা ক্রন্দন আবারো আমরা আমাদের হয়ে এসোনা এখানে আবার সাজাই সেই বলে যাওয়া অনেক কথার বিস্তর অনুভূতির সমুদ্র খুলে এসো বসে পরি আবার কোমলে বলে জনে জনে আগামী আগলে এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিষন্নতার পর্ণো বুকে এঁকে দেই কিছু চিহ্ন।

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ৪

অদ্ভুত... পুরো জগতটাই অদ্ভুত। আজ একজন ভালোবাসছে তো কালই মুখ গোমরা করে উল্টোদিকে ফিরিয়ে নিচ্ছে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচাল্যে নিত্য কম্পমান এই দোলনা থেকে শিশু পৃথিবী কবে যে বড় হবে সেটাই মনে হয় জগদ্বিখ্যাত মানুষদের ভাবনার একটা বিশাল অঞ্চল দখল করে বসে আছে। ভাবতে ভাবতে সব শেষ হয়... পেঁকে যায় চুল... যৌবন রঙ ফুড়িয়ে বার্ধক্যের ফোকলা দাত জীবনের ক্ষুদ্রতা দেখে হাসে তার বুড়ো হাসি...। নিজের আর প্রিয়ার দুজনেরই বেড়ে যায় চামরার টান টান অহংকারের উপহাস। এক সময়ের উদ্ভ্রান্ত শক্তিধর প্রাণীটাই বয়সের হাতুরীর কাছে অসহায় ভাবে নিজেকে ছেড়ে দিয়ে ক্লান্ত হয়ে বসে পরে। নিষ্ঠুর করাত কেটে চলে জীবনের ঘুনে ধরা ফার্ণীচার। ফেলে আসা দিন খুঁজে পেতে বৃদ্ধার মুখে চেয়ে থাকা... অথবা স্মৃতি উলটে কোথাও কখনো কোন মজার ঘটনা আজো মনে আছে... হাতড়ে হাতড়ে চেটেপুটে যাওয়া অতীতের গন্ধ। সারা জীবনের অবাধ্যতাগুলো ভুলে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা... আর স্রস্টার কোলে মাথা রেখে ঘুমানোর একটু নিশুথি নিঃশ্বাস। এমন করেই হঠাৎ কবে একটা অপরিচিত জগতের ডাক এসে যায়। যারা বিশ্বাসী আছে তারা কিছুটা জানে কেমন হবে... আর যারা অবিশ্বাসী ... পুরোটাই একটা আত

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে)৩

শুক্রবারে দিনটা বেশ তেজদিপ্ত হয়। এটা হচ্ছে অবচেতন মনের একটা ধারনা। এখন যদি খুঁজতে যাই যে এই অবচেতন মনটা আবার কে? কোত্থেকে আগমন? ক্যামনেই বা আমার মতের সাথে ভিন্ন মত পোষন করে?? সেই ক্ষমতাই বা পেলো কোথায়? অবচেতনের উপর বিশাল বিশাল মোটা বই আছে। কত আজগুবি আর হাবিজাবি কথা লেখা আছে... অনেক রহস্যময় বিষয়েরও উল্লেখ আছে যার সমাধান মানুষ আজকের দুনিয়ায় ও দিতে পারেনাই... ভবিষয়তে কতোটাই পারে সে ব্যাপারেও ভয়াল সন্দেহের বলি রেখা আমাকে অতিক্রম করে চলে যায়নি। কারন বিজ্ঞান আলোচনা করে দেখা জিনিষ নিয়ে। একসময় সাইকোলোজী প্রাচিন ফিলোসফির এক মহা মূল্যবান শাখা ছিলো। ফিলোসফি ই যখন আসছে আসুন একটু নড়ে চড়ে বসি। কারন এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে মাথার চুলগুলো নারীহরি হয়ে যায় তা টের পাওয়া প্রায় দূঃস্বাধ্য ই বলা চলে। ততকালিন সময়ে থেলেস পানি বিষয়ক ভাবনা দেয়ার ও ৫৫০ বছর পর আমাদের ইসা আসলেন। এর পর তো ফিলোসফি আর তার নিজের স্বয়ংক্রিয় ধারা বজায় রাখতে পারেনি। ডগমাটিক আবরনে হাড়িয়ে যায় ফ্রি থিংকিঙ্গের সকল উপায় উপকরন। বেঁচারা ফিলোসফির আগমন অবশ্য মানুষ নামক অবাক এই বুদ্ধিমান জন্তুটির অসন্তুষ্ট থাকার প্রবনতা থেকে। কেননা খেয়ে

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে)২

ক্ষত আর বিক্ষত যাই আমি হইনা কেনো সারাক্ষন মাথার নিউরোন গুলো অক্ষত থাকার ভাবনাই ভেবে যায়। এই ভাবনা থেকেই মরিয়া হয়ে দরিয়া পার হওয়ার চিন্তা করি। কি করবো? আমি যে একজন শক্তিমান ভয়াবহ অসহায় মানুষ। যাকে বলা হয়েছে শ্রেষ্ঠ কিন্তু শ্রেষ্ঠত্তের কতটুকু গুন বা বেগুন আছে তা পরিমাপ করাই আজ দূঃস্বাধ্য। পরিমাপ কে করবে? পরিমাপকেও যে ভ্যাজাল লেগে ক্যাচাল হয়ে গেছে। জীবনটার অশরীরি রুপটা দিনে দিনে প্রকট আকার ধারন করে বিকট হতে শুরু করছে। ভাবনার গাড়ি ষ্টেশন খুঁজে পায়না । আমাকে যদি এত কিছু সহ্যই করতে হয় তাহলে অসহ্য হওয়ার মত মহৎ বিষাক্ত রিপু কেন তাড়িয়ে বেড়ায়? আর কেই বা খোঁজ নেয় সভ্যতার আবরণে লুকানো পিশাচের ভিরে? আমরা সবাই পিশাচ। পিশাচ পিশাচিনি একে অপরকে ভালো বেসে যাই। নিজেদের রুপ আয়নায় দেখলে একটা সুন্দর পিশাচ ছাড়া নিজেকে অন্য বনের অধিবাসী বলে মনে হয়না। কেনো হবে? যেই ব্যাটা কদিন পড়েই ইংল্যান্ড যাচ্ছে সর্বোচ্চ ডিগ্রি আনতে সেই ব্যাটার শিক্ষা অথবা নৈতীকতার বাহার দেখে মনে হয় সমাজে সব যদি বিধর্মী হয়ে যেতো তাহলেও হয়তো মুসলিমদের চেয়ে ভালো ভাবে সমাজ বহন করতে পারতো। কারন ঐব্যাটার দোষ তো তখন সাধুবাদের ব্যাবহা

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে)

হাজার বছর ধরে মানুষ বিরামহীন ভাবে খুঁজে যাচ্ছে তার নিজের আগমনের কারন। এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেলো। কারন মানুষ নিজে আবিষ্কার করতে পারলো না কেনো আসলে সে আসলো। কেনো তার আসা... আবার হঠাত করেই চলে যাওয়া। অনিচ্ছাকৃত এই যাওয়া আসার সাথে থাকছে একটা ইচ্ছাকৃত জীবন। আচ্ছা, যদি এতোই ইচ্ছার জীবন হয় তাহলে আমাকে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিতেই হবে এটা কেনো বাধ্য করা হচ্ছে? কেনো আমাকে হলের মধ্যে জোর করে ঢুকিয়ে দেয়া? এবং প্রশ্ন পত্র হাতে তুলে দিয়ে সাদা কাগজে পরীক্ষা দিতে বলা হচ্ছে? মানে আমি দুনিয়ায় আসবো কি আসবো না এব্যাপারে আমার কোনো ইচ্ছাই নেই... আবার আমি যাবো কি যাবোনা তাও ঐচ্ছিক নয়... এমন একটা গোলেমেলে পরীক্ষা ক্ষেত্রে পরিক্ষা দেয়াটা আসলেই কেমন অদ্ভুত। এখন এসে যখন পরেছি ই তাহলে আর কি ইবা করার... যতটা পারা যায় ভালো ফলাফলের প্রত্যাশায় কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ কি করবে? সে এতোটা অসহায় একটা প্রাণী যে তাকে শেখানো হয়েছে মেনে যাও... যা ঘটে মেনে চলো... যা কিছু খারাপ ও ভালো তাকদিরে লেখা সব মেনে চলো। এখন তাকদির বা ভাগ্যকে মেনে নিলেই মানুষ মানুষ হয়ে যাবে... এমনটা ভাবার কি যথা যোগ্য কোনো কারন রয়েছে? যেখানে ভাগ্

অগ্নিকান্ডে মৃতদের নয়; রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ঐ সব পাপীদের তরে যাদের পাপে নিরপরাধীরাও গজবাক্রান্ত হচ্ছে।

পথ দিয়ে হাটতে গেলেই মনে হয় এই তো দম শেষ। পড়লো বুঝি আমার পাপের বোঝাটাই আমার ঘাঁড়ে। আর মর মর করে ভেঙ্গে গেলো পুরো মেরু দন্ডটাই। অবসর প্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ারের মুখে কখনো ধর্ম কথন শুনি নাই। আজ হঠাত শুনে অবাক না হওয়ার উপযুক্ত কোনো উপায় খুজে পেলুম না। বলেন কিনাঃ এই সব কথা কুরানে লিখা আছে। কোরানে বলা আছে যখন কোনো যাতি নিজেদের অহংকার আর লোভের চরম সিমানায় পৌছে যায় তখনই তার ঢিলে করে দেয়া রশিতে টান মারেন তিনি... কথাটা বিশ্বাস না করার উপায় থাকলে বলুন? চারিদিকে শুধু লোভী মানুষের আহাজারী... না না কেউ মরলো বলে না। আর কটা টাকা উপার্জনের লোভ। বেঁধে দেয়া সীমা অতীক্রমের লোভ। রাজউক এর সিমানা অতিক্রম করার যতো মজা সব ই এখন ভোগ করছে এরা। শুনলুম কনকর্ডের টাওয়ার ও নাকি কাঁত হয়ে গেছে। কি লজ্জার কথা। এতো বিখ্যাত নির্মাতা কনকর্ড। থাক। আফসোস আর না ই বা করলাম!! কারখানার রাসায়নীক পদার্থের সাথে মানুষ একই সাথে বসবাস করবে কেনো?? মানুষের আবাসিক এলাকায় এই সব কারখানা থাকবেই বা কেনো? যুক্তি দিয়ে আমাকে একটু বুঝানতো... আমি কানা না। মেনে নেবো। এখন কি করা যায় তা ভাবলাম। ভেবে বুঝলাম করার একটাই আছে। তা হলো দু তিনদিন পরে এই সব মর্মান