লঞ্চের এই লৌহ প্রান্তরে প্রাণের কোলাহলে মুখরিত একটি ছোট্ট কেবিনে আমি আর আমরা আমাদের তৈজস নিয়ে আস্তানা সাজাই একটি রাতের জন্য। ছোট দুটি খাট সাদা ধবধবে চাদরে জড়ানো। একটা কাঠের টেবিল- দুটি ব্যাবহৃত ফ্রেশ পানির বোতলে রাখা পান করার পানি। দুটো গ্লাস।
আমরা চাইলেও হয়তো অনেক কিছু জানতে পারিনা। মানুষ অনেক সিমাবদ্ধ শক্তি নিয়েই নিজেকে অনেক শক্তিধর একটি প্রাণী মনে করে। কিন্তু সে নিজেও জানে সে আসলে কোনো শক্তি ই রাখেনা। কেবল বৃথা আস্ফালনে কাঁপায় পৃথিবীর সকল প্রান্তর।
একই কেবিনে তিনটা লেপটপ থাকায় দরজায় আর জানালায় উৎসুক দর্শকের কোনোই অভাব হলোনা। জানালায় নারী শিশু মুখ উঁকি দিচ্ছে বার বার। দরজায় মধ্য বয়ষ্ক ভদরলোক ও লুঙ্গি শক্ত করে বাধতে গিয়ে হালকা চোখে শরু পাতায় দেখে উঁকি দিয়ে-- কি করছে? কি দেখছে ছেলেগুলো?
আমাদের অহংকার আমাদেরকে কতটা উচ্চতায় নিতে পারে জানিনা তবে নিচের দিকে যে ভয়াবহ গতীতে আমরা পতিত হচ্ছি তার স্পিড জানতে আজ আর কোনো মিটারের প্রয়োজন হয়না। প্রবাহমান খরস্রোতা মেঘনার মতো আমরাও ঢেলে দেই নিজেদের সকল বুদ্ধি বিবেক।
বারান্দায় অনেক বাতাস থাকলেও শহর মুখো মানুষগুলোর প্রচন্ড আনাগোনায় বসার কোনো সুযোগ হচ্ছেনা। অবশেষে এখন রাত। একটা বেঁজে চল্লিশ মিনিট। বিকেলে র্যাবের ঝারিতে লঞ্চ ছেড়ে দেয়। তবুও অনেক মানুষ, মানুষ। কেবল মানুষ।
নদীর সাথে মানুষের জীবনের অদ্ভুত মিল। সবাই এটা বলে। নদী অনেক সিমাবদ্ধ। নিরহংকার। তবু বয়ে যায়। মানষের সাথে এই বিষয়ে নদীর অনেক বেশী অমিল। তবুও নদী অনেক সুন্দর। সেই সৌন্দর্য সবটাই কি মানুষের আছে? নেই- অথবা আছে- অথাবা--
আমি বারান্দায় লাল রঙের প্লাষ্টিকের একটা চেয়ার পেতে বসে লিখছি। হয়তো থেমে যাবো-- আজই, অথবা ক'দিন পর--তবু বাতাস আমায় আদর করে- অসংখ্য কোলাহলে জীবনের ভিরে একটি চেয়ারের জন্য খুব হয়তো বেশী স্থান লাগেনা।
আমরা চাইলেও হয়তো অনেক কিছু জানতে পারিনা। মানুষ অনেক সিমাবদ্ধ শক্তি নিয়েই নিজেকে অনেক শক্তিধর একটি প্রাণী মনে করে। কিন্তু সে নিজেও জানে সে আসলে কোনো শক্তি ই রাখেনা। কেবল বৃথা আস্ফালনে কাঁপায় পৃথিবীর সকল প্রান্তর।
একই কেবিনে তিনটা লেপটপ থাকায় দরজায় আর জানালায় উৎসুক দর্শকের কোনোই অভাব হলোনা। জানালায় নারী শিশু মুখ উঁকি দিচ্ছে বার বার। দরজায় মধ্য বয়ষ্ক ভদরলোক ও লুঙ্গি শক্ত করে বাধতে গিয়ে হালকা চোখে শরু পাতায় দেখে উঁকি দিয়ে-- কি করছে? কি দেখছে ছেলেগুলো?
আমাদের অহংকার আমাদেরকে কতটা উচ্চতায় নিতে পারে জানিনা তবে নিচের দিকে যে ভয়াবহ গতীতে আমরা পতিত হচ্ছি তার স্পিড জানতে আজ আর কোনো মিটারের প্রয়োজন হয়না। প্রবাহমান খরস্রোতা মেঘনার মতো আমরাও ঢেলে দেই নিজেদের সকল বুদ্ধি বিবেক।
বারান্দায় অনেক বাতাস থাকলেও শহর মুখো মানুষগুলোর প্রচন্ড আনাগোনায় বসার কোনো সুযোগ হচ্ছেনা। অবশেষে এখন রাত। একটা বেঁজে চল্লিশ মিনিট। বিকেলে র্যাবের ঝারিতে লঞ্চ ছেড়ে দেয়। তবুও অনেক মানুষ, মানুষ। কেবল মানুষ।
নদীর সাথে মানুষের জীবনের অদ্ভুত মিল। সবাই এটা বলে। নদী অনেক সিমাবদ্ধ। নিরহংকার। তবু বয়ে যায়। মানষের সাথে এই বিষয়ে নদীর অনেক বেশী অমিল। তবুও নদী অনেক সুন্দর। সেই সৌন্দর্য সবটাই কি মানুষের আছে? নেই- অথবা আছে- অথাবা--
আমি বারান্দায় লাল রঙের প্লাষ্টিকের একটা চেয়ার পেতে বসে লিখছি। হয়তো থেমে যাবো-- আজই, অথবা ক'দিন পর--তবু বাতাস আমায় আদর করে- অসংখ্য কোলাহলে জীবনের ভিরে একটি চেয়ারের জন্য খুব হয়তো বেশী স্থান লাগেনা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন