বাহিরে আকাশ অনেকটা মেঘলা। কছুটা গুমোট ভাবে তাকিয়ে আছে পৃথিবীর পতিত জীবনের ধারক মানুষগুলোর দিকে। আজ ক্যামন হবে? ভিখারি বুড়ো পথে বেরুতে পারছেনা। ঠান্ডাটা জোঁকের মতো শুষে খাবে জীবনীশক্তির অবশিষ্টাংশ। হাতের কুঁকড়ে যাওয়া চামড়াগুলো ভেঁজা টিস্যু পেপারের মতো পাতলা আর থুরথুরে জড়াজীর্ণ হয়ে যাবে। মাথার খুলিটার কিছুটা নিচে যে মগজ আছে তাতে শীতলতা ভয়াবহ কোনো মরন ব্যারাম নিয়ে থামিয়ে দিবে নিভু নিভু করা শেষ প্রদীপালো। তাই বের হতে পারছেনা। তাহলে কি খাবে সাড়াটাদিন? পেটের পরজীবিরা কিছু না পেয়ে নাড়িভুড়ি খেয়ে চেটেপিটে তৃপ্তির ডেকুর তুলবে।
এজমার টানে শাব্দিক নিঃশ্বাসের রিক্সাওয়ালা আজ কাজে যেতে পারবেনা। চার বর্গফুটের ভেঁজা আবাসনের এক কোনায় চুপ করে বসে থেকে ঝুপড়ির ফুটো হয়ে যাওয়া ছাউনির পথে গড়িয়ে ঢোকা বৃষ্টির পানির স্রোতে দুচোখের অব্যাক্ত বিন্যাসে মনোআলাপন কিংবা দূঃখ কথন। পুরোনো চিটচিট পঁচা কাঁঠের মতো সুবাস বেরুতে থাকা কাঁথাটাই এই শীতে সম্বল। দু বছরের পিচ্চি বাচ্চাটার আধো আধো বুলিতে বৌয়ের ফেরার পথে তাকিয়ে—
হালিম ভাই ওদিকে ব্যাস্ত সংকেতের বিজয় উদজাপন আর স্মারক নিয়ে। আমার এ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা হচ্ছেনা। সবাই ফ্রিতে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। তবে যেগুলো করিয়ে নিচ্ছে এর সবকটিই পৃথিবীবাসীর সার্বিক কল্যানের জন্য। ভালো। আমি এখনো ফ্রি আছি বলে করে দিচ্ছি। যখন ফ্রি থাকবোনা তখন বিনিময়েও কাজ হবেনা। হয়তো সবাই মন খারাপ করবে। কিংবা বলবে আপনার সাথে কথা নেই। এটা করে দেননি ওটা করে দেননি। নিরব একটা ভাবলেশহীন চোখে তাকিয়ে থেকে দেখবো। কি করার আছে আমার?
আমি তো আর আমার মাঝে নেই।
বুড়ি বাজারের ব্যাগ হাতে দ্রুত সরে যাচ্ছে দূর থেকে দূরে। জীবন এখন সঙ্গীতময়। একদিন নিরব নিরস নৈঃশ্বব্দের আড়ালে মুখ টিপে হাসবে আর আমাকে দেখে দেখে বলবে কি দৌড়টাই না দিয়েছিলে সকালের সময়গুলোতে। এখন দুপুর হয়েছে। অনেক ক্লান্ত তুমি। ক্লান্ত হয়ে যাবেই। এটাই নিয়ম বাপু। কিচ্ছু করার নেই। আমি কি থেমে থাকবো তখন?? নাকি তার সাথে তর্ক বাঁধিয়ে বলবো- নাহ আমি বৃষ্টির মতো আজীবন তাজা থাকবো। তাজা থাকতে চাই। আমাকে ঠেকাতে পারবেনা। চিরযৌবনের দৃঢ় খোলসে ভেতরে তো আমি ঠিকই বার্ধক্যের রঙ্গে রঙ্গীন হবো। কিন্তু উপরে খেজাব দেয়া রূপে সবাইকে দেখিয়ে বেড়াবোঃ দেখো আমি তরুন।
তারিক ষ্ট্যাটাসে লিখে বাবা মায়েরা কেনো বুড়ো হয়? ঘুরতে চাইলে তাদের সাথে- তারা বলে- আজ কি আর আমাদের সেই শক্তি আছে যে তোদের সাথে এখানে সেখানে অক্লান্ত ভাবে উৎফুল্ল হয়ে ঘুরে বেরাবো? প্রিয়জনদের সাথে উচ্ছল সময়ের অভাবে গুমড়ে মরে ভেতরের ভালোবাসার অনুগুলো। প্রচন্ড বিক্ষোভে আমিও উচ্চারণ করি বাবা মায়েরা কেনো বুড়ো হয়ে যায়? তারা আমাদের মতো যুবক যুবতি থাকতে পারেনা?আ মরা তাদের নিয়ে দাপিয়ে বেড়াতাম বিশ্বময়। কিন্তু হতভাগা বৃষ্টি স্মরণ করিয়ে দেয় যে সময় ঠিক আমার মতোই একটি কিছু। যা ঝরে যায়। স্থির হয়ে কোনোদিনই রয়না।
শহুরে ইদুরেরা বাইরে বেরুতে পারছেনা। পথঘাট সব পানিতে ভরা। ছাতা মাথায় নাগরীক অফিসে যায় আবার ফিরে আসে। কেননা বৃষ্টি এখন প্রচন্ড নয়। কিছুটা ভালোবাসার মতো করেই ঝরছে। কিন্তু কেউ কি বুঝতে পারছে বৃষ্টি আসলে কি কারনে আসে? সে আসে ধুয়ে দিতে সকল জরা, ক্লান্তি আর অপরিচ্ছন্ন প্রান্তর। মানব হৃদয় খুব কমই শিক্ষা গ্রহণ করে। নয়তো বৃষ্টির এই অপরুপ কাজকে কাজে লাগিয়ে আমাদের মহৎ হতে হয়তো বেশি প্রহর গুনতে হতোনা। দেখতে হতোনা আবর্জনায় ভরা এই ময়লার স্তুপ। বৃষ্টিতেও এ ময়লার স্তুপে আমরা স্বর্ণ খুঁজে যাই অচেনা টোকাইয়ের মতো।
আমি? বেশ মজায় আছি। এক্ষুনি বেরুচ্ছি। বৃষ্টি শীত? কুছ পরওয়া নেহী। ভিজবো আজ।
এজমার টানে শাব্দিক নিঃশ্বাসের রিক্সাওয়ালা আজ কাজে যেতে পারবেনা। চার বর্গফুটের ভেঁজা আবাসনের এক কোনায় চুপ করে বসে থেকে ঝুপড়ির ফুটো হয়ে যাওয়া ছাউনির পথে গড়িয়ে ঢোকা বৃষ্টির পানির স্রোতে দুচোখের অব্যাক্ত বিন্যাসে মনোআলাপন কিংবা দূঃখ কথন। পুরোনো চিটচিট পঁচা কাঁঠের মতো সুবাস বেরুতে থাকা কাঁথাটাই এই শীতে সম্বল। দু বছরের পিচ্চি বাচ্চাটার আধো আধো বুলিতে বৌয়ের ফেরার পথে তাকিয়ে—
হালিম ভাই ওদিকে ব্যাস্ত সংকেতের বিজয় উদজাপন আর স্মারক নিয়ে। আমার এ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা হচ্ছেনা। সবাই ফ্রিতে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। তবে যেগুলো করিয়ে নিচ্ছে এর সবকটিই পৃথিবীবাসীর সার্বিক কল্যানের জন্য। ভালো। আমি এখনো ফ্রি আছি বলে করে দিচ্ছি। যখন ফ্রি থাকবোনা তখন বিনিময়েও কাজ হবেনা। হয়তো সবাই মন খারাপ করবে। কিংবা বলবে আপনার সাথে কথা নেই। এটা করে দেননি ওটা করে দেননি। নিরব একটা ভাবলেশহীন চোখে তাকিয়ে থেকে দেখবো। কি করার আছে আমার?
আমি তো আর আমার মাঝে নেই।
বুড়ি বাজারের ব্যাগ হাতে দ্রুত সরে যাচ্ছে দূর থেকে দূরে। জীবন এখন সঙ্গীতময়। একদিন নিরব নিরস নৈঃশ্বব্দের আড়ালে মুখ টিপে হাসবে আর আমাকে দেখে দেখে বলবে কি দৌড়টাই না দিয়েছিলে সকালের সময়গুলোতে। এখন দুপুর হয়েছে। অনেক ক্লান্ত তুমি। ক্লান্ত হয়ে যাবেই। এটাই নিয়ম বাপু। কিচ্ছু করার নেই। আমি কি থেমে থাকবো তখন?? নাকি তার সাথে তর্ক বাঁধিয়ে বলবো- নাহ আমি বৃষ্টির মতো আজীবন তাজা থাকবো। তাজা থাকতে চাই। আমাকে ঠেকাতে পারবেনা। চিরযৌবনের দৃঢ় খোলসে ভেতরে তো আমি ঠিকই বার্ধক্যের রঙ্গে রঙ্গীন হবো। কিন্তু উপরে খেজাব দেয়া রূপে সবাইকে দেখিয়ে বেড়াবোঃ দেখো আমি তরুন।
তারিক ষ্ট্যাটাসে লিখে বাবা মায়েরা কেনো বুড়ো হয়? ঘুরতে চাইলে তাদের সাথে- তারা বলে- আজ কি আর আমাদের সেই শক্তি আছে যে তোদের সাথে এখানে সেখানে অক্লান্ত ভাবে উৎফুল্ল হয়ে ঘুরে বেরাবো? প্রিয়জনদের সাথে উচ্ছল সময়ের অভাবে গুমড়ে মরে ভেতরের ভালোবাসার অনুগুলো। প্রচন্ড বিক্ষোভে আমিও উচ্চারণ করি বাবা মায়েরা কেনো বুড়ো হয়ে যায়? তারা আমাদের মতো যুবক যুবতি থাকতে পারেনা?আ মরা তাদের নিয়ে দাপিয়ে বেড়াতাম বিশ্বময়। কিন্তু হতভাগা বৃষ্টি স্মরণ করিয়ে দেয় যে সময় ঠিক আমার মতোই একটি কিছু। যা ঝরে যায়। স্থির হয়ে কোনোদিনই রয়না।
শহুরে ইদুরেরা বাইরে বেরুতে পারছেনা। পথঘাট সব পানিতে ভরা। ছাতা মাথায় নাগরীক অফিসে যায় আবার ফিরে আসে। কেননা বৃষ্টি এখন প্রচন্ড নয়। কিছুটা ভালোবাসার মতো করেই ঝরছে। কিন্তু কেউ কি বুঝতে পারছে বৃষ্টি আসলে কি কারনে আসে? সে আসে ধুয়ে দিতে সকল জরা, ক্লান্তি আর অপরিচ্ছন্ন প্রান্তর। মানব হৃদয় খুব কমই শিক্ষা গ্রহণ করে। নয়তো বৃষ্টির এই অপরুপ কাজকে কাজে লাগিয়ে আমাদের মহৎ হতে হয়তো বেশি প্রহর গুনতে হতোনা। দেখতে হতোনা আবর্জনায় ভরা এই ময়লার স্তুপ। বৃষ্টিতেও এ ময়লার স্তুপে আমরা স্বর্ণ খুঁজে যাই অচেনা টোকাইয়ের মতো।
আমি? বেশ মজায় আছি। এক্ষুনি বেরুচ্ছি। বৃষ্টি শীত? কুছ পরওয়া নেহী। ভিজবো আজ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন