সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আত্মার ক্রন্দন


কতো আকাশে এখনো ভোর আসেনি...
আমার এখানে আজ ভোর এসেছে তাই আমি সুকরিয়া আদায় করি...
তবু কোথাও এক আকাশ দূঃখ নিয়ে বসবাস আমার আমিটার সাথে।
ও অনেক বেয়াড়া... দুঃখ এলে আর টিকতে পারেনা...
একদম একা হয়ে যায়।

তখন আমাকেও সঙ্গে নিতে চায়না। আমি
বসে থাকি আন্ধকারকে সাথী করেঃ সময়ের অবসন্ন আশংকায়
ভীত দুটি পা আগামির সংকল্পে দ্বীধা দ্বন্দে ভোগে
কাঁপে বিষন্ন বিকেলের আশংকায়...
বুক ভরা আশংকা... একাকীত্ত্বের।

কোনো এক দিনে অনেক অনেক দূরে যখন একা আমি...
আমার কথা কে ভাববে?
এখন সবাই ভাবে...
কতজন আপন করে পায় আবার পেতে চায়।
কত ব্যাস্ততা জীবনের কোলাহলে...

অনেক বছর পরে কোনোদিন... কারো হৃদয়ের শিশিরে
ঝিলিকের তালে ... অথবা নীরবে ডাহুকের ডাকে
ঝিলের শাপলার তলে যেখানে মৃদু তরঙ্গে পানি টলমল...
অথবা হৈচৈ ভরা লোকারন্যের কোনো অডিটোরিয়ামে
লাখোমানুষের ভীরের পল্টন...
অথবা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিষ্টিটিউট...

ধিরে ত্যাগ করি আমি...
একদিন যদি ছেড়ে যেতেই হয় তবে এখনো কেনো??
কিসের আশায় আমি জড়ায়ে থাকি এই সব??
মিছে এই মায়ায় পরে আত্মার ক্রন্দন শুনে ক্লান্ত আমি...
অথবা কখনোই ক্লান্ত হইনা... শুধু চুপ হয়ে যাই বহুদিন পরে পরে।

যাবোই যখন তোমাদের হৃদয়ের উষ্ণতার এক বিবর্ণ প্রোলেপের একটু নিচে
তাহলে আজ আর অপেক্ষা নয়... আমি আজই যাই...
দূরে কোথাও সবুজের ভিরে আমার মা অপেক্ষায়...
আমার বাবা... আমার ভাই বোন...
আমার প্রবাহিত রক্তের অন্যান্য বহতা স্রোতের খোঁজে
শুধু উড়ে যেতে চাই...

তবু বাঁধা পড়ে থাকি... কিশোর প্রেমের মতো একাই ঘুরে ফিরে আসি...
বার বার... হাসি... পাগলামি...অথবা ভনীতা...।
পড়েছি গলায় অবিনাশী কোনো সর্বনাশের ফাঁসি।
তবু বুঝি এই ফাঁসিই ভালোবাসি...
বুঝিনা মন কেনো এতো নির্বোধ??

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুদুর চোখে সমুদ্র

প্রায় প্রতিদিনের মতই আজো ত্রস্তপায় সন্ধ্যারা ভীত ক্লান্ত গার্মেন্ট শ্রমিক হাছিনার ব্যাথায় কাতর হাটুর উপর ভর করে পৃথিবীর বুকে নেমে এলো। পৃথিবীর কি আসলে বুক আছে? উহু!! তাতো থাকার কথা নয়। সবটাই পিঠ। বলা উচিৎ পৃথিবীর পিঠে নেমে এলো। সাধারনত আমরা পিঠটাকে আবার কোল বলতে পছন্দ করি। সাহিত্যিক একটা ভাব নিয়ে বলা যায় ক্লান্তিকর বিরক্তভরা অন্ধকার তার গাঢ় নীল রঙএ লাশের গায় জড়ানো শেষ কাপড়গুলোর মত পৃথিবীর কোলকে আবৃত কছে। এইসব উলটাপালটা ভাবতে ভাবতে জানালা দিয়ে রাত্রীর ভয়াবহ আগমনে পলায়নপর সূর্যের শেষ উঁকিঝুকি দেখে জীবন সায়াহ্নে অলস দিনগুলো কাটাচ্ছে মাহমুদ। ধিরে পরিচিত সব বিদায় নিচ্ছে। কিছুদিন হলো ঘাসফরিং উড়ে গেছে, তার আগে বৃষ্টিরদাগ ধুয়ে মুছে গেছে পৃথিবীর কোল থেকে। বিদ্রোহী প্রাণ নিভু নিভু করে খুব নিচু স্বরে তার নাতনীর সাহায্যে মোবাইলে বিড়বিড় করে অস্পষ্ট স্বরে। ওদিকে নষ্টালজিকের চুল পেঁকে বুড়ো। তারিক, শিহান সবার বুঝি সন্ধ্যা ঘনালো। একসময় এই রঙ্গীন জগতের সব রঙই চোখে ধুসর হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু তখন আসলে কোন চশমা লাগিয়েও জগতের রঙ গুলোকে ফ্যাকাশে হওয়া থেকে নিস্তার দেয়া যায় না। ওটাই আসলে ধারিত্রীর র

নামাজি কাজ ফেলিয়া

আজ নামাজি কাজ ফেলিয়া ছুটিছে দেখ সিজদাতে, এমনি করে জগত ভরে হোক জমায়েত রোজ রাতে। খোদার ঘরে দরুদ পরে হাজার হাজার মুসলমান; দোর খোলা দিল পথ ভোলা দিল সবমিলে আজ উজাড় প্রাণ। হয় মুসাফির বছর ভুলে আজ কেবলি ঝুকলো শির। কেমন করে আঙ্গুল তোল? তুমিই কে বা মহান পীর? খোদার কাছে কাঁদল অবুঝ কাঁদল পাপী, কদরদান। কান্নাটা তো আসল ছিল, হোক না সে খুব অচলপ্রাণ! এইচ আল বান্না © 2017

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু?? জীবনকি এভাবেই তোমাকে বহমান স্রোতধারায় ভাসিয়ে নিজ়ে যাবে?? আজ কোনো কঠিন শব্দ গুচ্ছ আমাকে আক্রমন করেনা... আমি নিজেই আপন ব্যাথায় আহত... বুকের কোথাও খেজুর কাঁটার খোঁচার মতো তীক্ষ্ণ ব্যাথা ধীরে প্রশস্ত অবয়ব নেয়... নিয়ে নেয় একাই পর্যদুস্ত... পরাজিত হয়ে গেলে তুমি?? তুমি না বিজয় শেখাও??? তুমি না আকাশকে পকেটে পুরে মেঘের হাওয়াই মিঠাই আপন মুখে আপন সুখে সুখ মেলাও!! দেখবে কোথায় আকাশ লুকায় কান্না ঝড়ায় পাহাড় গায়ে নয়তো কোথাও বিষন্নতাও ডুকরে কাঁদে মাঝির নায়ে একটু ধারে জীবন পারে কোন বেহালা বাদক বসে... ভেজায় তাহার আপন সুরে এক অবেলার দূঃখ রসে? উত্থান পতনের ক্রমাগত আঘাতে বেসামাল জীবন তোমার... আমিও ভাবি... হয়তো বেশী দিন নেই, আমার দুখের পাপড়ি ভাঙ্গার... অনেক সুখেই কাটছে আমার দিন প্রতিক্ষন সন্ধ্যা লগন... একজনাকেই সব শপেছি... প্রার্থনাতে তাই জপেছি... অনেক কষ্ট আর বেদনা নিয়ে তুমি পালিয়ে যাবে?? তিনিকি এর চেয়েও বেশী কষ্ট কাউকে দেননি?? পরীক্ষা করেননি?? হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??