সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৃষ্টি শীত? কুছ পরওয়া নেহী। ভিজবো আজ

বাহিরে আকাশ অনেকটা মেঘলা। কছুটা গুমোট ভাবে তাকিয়ে আছে পৃথিবীর পতিত জীবনের ধারক মানুষগুলোর দিকে। আজ ক্যামন হবে? ভিখারি বুড়ো পথে বেরুতে পারছেনা। ঠান্ডাটা জোঁকের মতো শুষে খাবে জীবনীশক্তির অবশিষ্টাংশ। হাতের কুঁকড়ে যাওয়া চামড়াগুলো ভেঁজা টিস্যু পেপারের মতো পাতলা আর থুরথুরে জড়াজীর্ণ হয়ে যাবে। মাথার খুলিটার কিছুটা নিচে যে মগজ আছে তাতে শীতলতা ভয়াবহ কোনো মরন ব্যারাম নিয়ে থামিয়ে দিবে নিভু নিভু করা শেষ প্রদীপালো। তাই বের হতে পারছেনা। তাহলে কি খাবে সাড়াটাদিন? পেটের পরজীবিরা কিছু না পেয়ে নাড়িভুড়ি খেয়ে চেটেপিটে তৃপ্তির ডেকুর তুলবে। এজমার টানে শাব্দিক নিঃশ্বাসের রিক্সাওয়ালা আজ কাজে যেতে পারবেনা। চার বর্গফুটের ভেঁজা আবাসনের এক কোনায় চুপ করে বসে থেকে ঝুপড়ির ফুটো হয়ে যাওয়া ছাউনির পথে গড়িয়ে ঢোকা বৃষ্টির পানির স্রোতে দুচোখের অব্যাক্ত বিন্যাসে মনোআলাপন কিংবা দূঃখ কথন। পুরোনো চিটচিট পঁচা কাঁঠের মতো সুবাস বেরুতে থাকা কাঁথাটাই এই শীতে সম্বল। দু বছরের পিচ্চি বাচ্চাটার আধো আধো বুলিতে বৌয়ের ফেরার পথে তাকিয়ে— হালিম ভাই ওদিকে ব্যাস্ত সংকেতের বিজয় উদজাপন আর স্মারক নিয়ে। আমার এ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা

শীতের ডানা

বেশ কিছুদিন হলো- ভালোই ঠান্ডা পড়ছে। সবাই ওয়াড্রবে নেপথালিন না কি জেনো বলে গোল গোল সাদা সাদা ওগুলোর গন্ধমাখা মোটা কাপড়গুলো বের করছে। আম্মুও নিশ্চই এতোদিনে খাটের নিচের ট্রাংটায় ভরে রাখা কম্বল আর লেপগুলোকে টেনে বের করেছেন। অনেক যখন ছোট ছিলাম তখন শীতকালটাকে মনে হতো উৎসবের কাল। নানুবাড়ি যাওয়া ঈদ আর বার্ষিক পরিক্ষা শেষে ছুটি কাটানো মানেই শীত শীত দিন। বোনের কানে যে সোনালী কালারের দুল ঠিক ঐ রঙের রোদ পিঠে গাঁয়ের বুড়ো মানুষদেরকে তাদের ক্ষয়ে যাওয়া মেরুদন্ডের উচু হয়ে থাকা হাড়গুলো নিয়ে বসে থাকতে দেখতাম। ভোর মানেই যেনো সবার মধ্যে একটা জাগরণী প্রবাহ। পিচ্চিপাচ্চা সব হাতে হোগলা (বিছান) নিয়ে মক্তবে ছুটে যেতো। হুজুর সুর করে সব দোয়া শেখাতেন যা একদম পাথরে খোদাইয়ের মতো মৃত্যুবধী কলজেতে লেগে থাকতো। মাটিতে ভেজা শিশিরমাখা পাতাগুলো পরে থাকতো। খালাদের চকচকে রমনীয় ত্বকে ভোরের আলো মাখিয়ে উঠোন ঝাড়ু দেয়ার শব্দ এখনো কানে বাজে। রোদটাও ছিলো ঝকঝকে নতুন। চারিদিকে প্রাণের মহা আয়োজনে পুরো গ্রামটা যেনো ঝংকৃত হতো। খালাতো দস্যি ভাইদের সাথে ধানের ক্ষেতে গিয়ে আইলের আড়ে কিংবা প্রতি দু ক্ষেতের মাঝের উঁচু ঘাসে ভরা