সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছিলো এবং যা থাকবে

আমাদের অনেক দিন ছিলো সবুজের ভিরে গেছো পকাদের খোলসে কতো কিচিরমিচির কতো আকাশের এক বুক নীল ছিলো। গাঁয়ের নয়ন পানি টলমল অনেক বিশাল বিল ছিলো। ছিলো দিন গোনা কিছু শালিক ময়না স্বপন অথবা গোপন ব্যথা কিংবা কাঠের ঠোকরার ঠোটে জীবনের গান সুখ, দুঃখ- কথা অবিরাম কখনোবা মাথার উপর দিয়ে আকাশ জাহাজ অবোধ সুবোধ দিন ক্ষণগুলো বিউগল বাঁজায় বাঁজায় আবার কোন ব্যথাতূর বেদন চেতন কাঁদন জ্বলায়। কিছুই জানিনা এইটুকু জানি, দিন বেলা শেষে রাত্রী আবেশে আবেগে ভূভাগে প্রাণপন লড়ী। তোমাতে আমাতে আর কোনোদিন দেখা বুঝি ফের হবেনা গো নীরব কবির নীরব শক্তি বেশী দিন বুঝি রবেনা গো । সকাল ১০টা ২৮/০৭/ ২০১০

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ১১ আমি

লাল বৃত্ত নিজেই কিছুদিন বৃত্ত বন্দী ছিলো। যার ফলে চিন্তার খোলসে নতুন কোনো আস্তরন পরার সুজোগ হয়ে উঠেনি। এখনো অনেকটা সেই অবস্থার আবর্তে ঘুর্ণায়মান। কি হলো বুঝলামনা। তবে টের পাচ্ছি কেউ কারো প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে। নিজেকে মনে হয় জাহান্নামের কোনো কীট। অনেক ঘেন্না করা কোনো বস্তু। যেন ঘৃন্য কোনো পাড়ার নেড়ী কুকুরদের সাথে বসে ওদের চামড়া উঠে যাওয়া বিশ্রী পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়া বিষন্ন কোনো ভ্যাগাবণ্ড। যার সকল কাজেই সমাজের নাক সিঁটকানো। গায় চাঁপানো হাজার বছরের পাপে মোড়ানো কালো চাদর। পায় ছেঁড়া কেডস। গোড়ালীতে ঘাঁ হয়ে লাল দগ দগ করছে। হাতে কালো অথবা খয়েরী হয়ে যাওয়া বড় বড় নখের অস্তিত্ত। তখন জন মানুষের ভিরে রাস্তায় সবার সামনে নিজেকে এমনই কোনো একটা কিছু মনে হচ্ছিলো যখন কানে তপ্ত লাভার গলে পড়া টের পাচ্ছিলাম। এখনো নিজের দিকে তাকিয়ে খুঁজে ফিরি- আমি কি এমনই আসলে? আমি নিজেকে ভুল করা অথবা ভুলে যাওয়া একটা মানুষ মনে করতে বেশি পছন্দ করি। আমি কোনো ফেরেশতা নই। তবু ভয় পাই। আমি মানুষ নই...আমি ঐ হলুদ দাতের লোকটাই কিনা!!

যা থামলেই শেষ (একারনে চলবে)১০ ভাতের হোটেল

বাহ! কি চমৎকার। ওভার ব্রীজে উঠতে গিয়ে দেখি এক ভদ্রছেলে সুন্দর সিঁড়ির হাতলের উপর পা তুলে বসে হেসে হেসে ফোনে কথা বলেই চলছে। আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে? কাজে কামে থাকবেনা কথা শুধু কবে। সেই ছেলেদের জোয়ারে ভাসছে যে দেশ। রাত্রীর এই প্রাথমিক অংশটা সকালের মতোই ব্যাস্ত। সবাই সাড়াদিনের কর্ম সমাপ্ত করে দ্রুত পায় আপন নিবাসে পৌছুতে মরিয়া। সেখানে অপেক্ষা করছে আপন প্রিয়ার চকিত চাহনি। সন্তান বুঝি লুকিয়ে। দরজা খুলে ঢুকলেই অজানা আবস্থান থেকে বলে উঠবে আব্বু আমি কোথায় বলতো? নাহ্‌! হয়তো ভুল বললাম। পেপারে তাকালে বিশ্বস্ততায় পরিপূর্ণ অভাবের রূপ দেখে আহত হই। থাক যা হয় হোক। চাইনিজ প্রযুক্তির মেইড ইন জিঞ্জিরা চার্জার লাইটগুলোর পসরা সাজিয়ে ব্রীজের উপর বসে আছে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী। কয়েকটি নেইল কাটার আছে বেশ সুন্দর সুন্দর। অনেক ছোট এবং কিউট। বহুদিন হলো নখের সাথে আমার লেনদেন হয়না। বিশটাকায় একটা পকেটে পুরলাম। ওপারে নেমে হোটেলগুলোর সামনে রাস্তায় জমে থাকা কালো কালো পিচ্ছিল কাঁদা জুতোর তলায় জড়িয়ে গিয়ে বসলাম ঝুপরিতে। বাহিরে বৃষ্টির ফের আগমনি সংকেত। বাতাসে ভেজা গন্ধ। কাঠের চেয়ার আর টেবিলগুলো খদ্দেরের অপেক্ষা

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে)৯ (ভাবনার পোষ্টমর্টম)

অনেক ভাবনা করে দেখলাম ভেবে কোনো লাভ নাই। তাই ভাবনা ছাড়াই যা মাথায় আসে তা লিখতে বসে গেলাম। কথা হচ্ছিলো মানব সভ্যতার অবনতির বিষয়ে। যুগে যুগে বহু মানুষ এই পতন ঠেকাতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিষয়গুলো এমন ভাবে পরিবর্তনশীল যে গুটিকতক মানুষ ছাড়া বাকি সবাই ই পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। আর সঠিক ভাবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছেনা আমাদের চিরন্তন নৈতিক বিষয়গুলো। বদলে যাচ্ছে সময়ের ধারাবাহিকতায় সকল কর্মকান্ডের পূর্ব সংজ্ঞা। তাহলে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে কি লাভ? কই? কেউ কি পেরেছে পতন রোধ করতে? হয়তো নির্ধারিত কিছু মানুষ সেই সব রিফর্মারদের অনুসরন করেছে। কিন্তু একসময় তারাও পরিবর্তিত হয়ে গেছে। আসলে এই গতিটি পতন কিনা সেটা নিয়েও অনেকে ভাবনার পাটি বিছিয়ে বসেছেন... নাকি এটা কেবলই গতি। একটা রিক্সা দশনম্বর থেকে তেরো নম্বর যাবেই। এটা তার স্বাভাবিক গতি। বিলুপ্ত হয়েছে পেগান দর্শন। বিফলে গিয়েছে বনি ইসরাইলিয় সভ্যতা। টিকে থাকেনি মিশরীয় সংস্কৃতি। মুসলমানদের অবহেলায় মুসলিম দর্শনেরও পতন হয়েছে অনেকদিন আগে। সমাজতান্ত্রের বিবর্ণ কান্না এখনো রাশিয়ার পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হয়।এখন মুসলমানদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন ও সকল প্রকার

যা থামলেই শেষ ( এ কারনে চলবে) ৮ (জুয়া)

খবরদার!! জুয়া খেলবেননা কিন্তু বলে দিলাম। কেউ আপনাকে নিয়ে খেলুক আর না খেলুক আপনি কিন্তু খেলবেননা। কেননা এটা যেমন আপনাকে শতভাগ জিতিয়ে দিতে পারে অনেক অনেক সাফল্য দিয়ে তেমনি ভাবে হারিয়ে দেয়ার ও সম্ভাবনা শতভাগ। তবে আপনি আপনাতেই যে জুয়ার ময়দানে নেমেছেন এটা বেশ নিশ্চিত আমার কাছে। আমাকে নিয়েও কেউ খেলছে এটা আমি ভালো করেই জানি। আমি সেই মাঠে ফুটবলের মতো খেলে যাই জীবনের গোল নিয়ে। বিশ্বকাপ নিয়ে বিরাট জুয়ার আসর বসে বিশ্বের নামিদামী শহরগুলোতে। তেমনি আমার বা আপনার জীবনটাতেও এমন একটি ছায়া পরিলক্ষিত হয়। মানুষের একটা বদ অভ্যাস হলো সে সকল সময়ই স্রষ্টার কাছা কাছি পৌছুতে চায়। নাহ ভালোবাসায় নয়। তার ঐদ্ধ্যত্য, শক্তি ও সামর্থের দিক দিয়ে। কখনো কখনো নিজেকেই স্রষ্টা দাবি করে বসে। বুদ্ধি লোপ পেতে এবং ফিরে পেতে এদের মুহুর্তের বেশী সময় লাগেনা। আবার কেউ কেউ শত বছরেও পথ প্রাপ্ত হয়না। যাকগে, ফিরে আসি জুয়ার আসরে। সন্তান জন্ম দেয়াটা হচ্ছে একটা মানব জীবনের প্রথম অভিষেক জুয়ার আসরে। কেননা এখানেও সন্তানের জীবনের সমৃদ্ধি ও ধ্বংস দুটোই সমান ভাবে খেলা করে পিতা মাতার চোখে। একটু অসাবধান চালই ঐ সম্ভাবনাকে সাফল্যের সাথ

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ৭

হাসি নামক একটা আজব ভঙ্গি আমাদেরকে করতে হয় বা নিজেদের অনুভুতির ধাক্কায় ই আমরা করে থাকি এটা আসলেই হাসি কিনা এই নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দের যথেষ্ট অবকাশ আমার রয়েছে। এতো অবকাশ যে কোথায় পাই! মানুষের তো অবকাশেরই অবকাশ নেই। আবার হাসি নিয়ে গবেষনার সময় কোথায়? এই মেটেরিয়ালিষ্টিক লাইফের একজন সুযোগ্য ধারক হিসেবে আমরা জ্যামিতিক হারে যান্ত্রীক হয়ে যাচ্ছি। নিজেরা নিজেদেরকে মানুষ বলে দাবী করলেও রাতে ঘুমানোর আগে একলা শুয়ে শুয়ে মনটার লাগাম ছেড়ে দিলে ও একাই ভেবে যায় সে আসলে মানুষ কিনা। নাকি পুরোপুরি অমানুষ? নাকি মানুষ অমানুষের মাঝে অন্য কোনো কিছু? যদি মানুষ হই তাহলে ... অননুমোদিত পাশবিক কাজের কথা নাহয় বাদ ই দিলাম... অনুমোদিত পশু সংক্রান্ত কাজ গুলো কেনো করে যাই? কেনো অন্যান্য পশুর মতোই জৈবীক সন্তরনে অতিক্রান্ত করি মানবীক এই জীবনটাকে? তার মানে কি? আমি একটা অনুমোদিত পশু যে নিজেকে মানুষ বলে দাবী করলেও সেই দাবীর সত্যতায় নিজেই ভীত? হেসে যাই কত সুন্দর করে। কিন্তু কতটুকু সত্য এই হাসি? মুখটাকে দু দিকে টেনে সাদা চমকানো দাতগুলো বেড় করে চোখের পাপড়ীগুলোকে একটু চেপে ধরলে মুখের যে অবস্থটা হয় তাকেই সাধারনত হাসি ব

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ৬

অন্যকে আমি যেভাবে চালাতে চাই সেই ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অন্যের ইচ্ছার দ্বারা আমাকেও পরিচালিত হতে হয়। এখন সমস্যাটা হচ্ছে যখন আমি চলাতে যাই সব ঠিক... কিন্তু আমার উপর পণ্ডিতি করলে মানা যাবেনা... এটা আমি সহ অনেকের মধ্যেই আছে। এতে করে কখনো কখনো অনেক বেশী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমি হয়তো এমন বিষয় আছে যে বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ। সে বিষয়ে অন্তত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দেখতে পারি বিষয়টা কেমন হয়। সহনশীলতা ভেবেছিলাম আমার ই বুঝি খুব বেশী। কিন্তু কখনো কখনো মনে হলো নাহ আসলে আমার যা আছে তা নেহায়াত ই অনেক কম। আমার চারপাশের মানুষের কাছে হয়তো আমি এতোটা সহনশীল কিন্তু আমার চেয়েও বেশী সহনশীলতা সমৃদ্ধ মানুষের কাছে গেলে নিজেকে বড়ই ক্ষুদ্র মনে হয়। এবার এই ক্ষুদ্র হওয়ার বিষয়ে কিছু বলবো বলে মনস্থির করলাম। আমি আসলে মানুষ হিসেবে কতটুকু শক্তির অধিকারী? কতটুকু বিরত্ত্ব আমি দেখাতে পারি? কতটুকু মহান? এই সব কিছু নির্ণয় করে দেয় আমি আসলে কতটা ক্ষুদ্র। নিজের শক্তিকে যদি পৃথিবীর সকল শক্তির একটি ধরা হয় তাহলেই বুঝা যায় মানুষের কাছে পিপড়ের শক্তি অবস্থান যেখানে সমগ্র বিশ্বের সকল শক্তির সামনে আমার বা মানুষের শক্তি

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ৫

মানষ নিয়েই তো লিখে চলছি। এখনো শেষ হয়নি। আপনার কি মনে হয় শেষ হবে? না হওয়ার ই সম্ভাবনার ভয় আছে। যাকগে ... আসুন শুরু করি... উন্নত এই প্রজাতির প্রাণীরা নিজেদের মাথা খাটাতে পারে বলেই এক এক জন আলাদা করে নিজের কথা ভাবে... ভাবে সামষ্টিক ভাবনা গুলো ও।তবু কখনো কখনো এই সব ভাবনায় থাকে বিস্তর ফারাক। পার্থক্য থাকে মতে ও পথে। এক এক জনের এক এক মতাদর্শ। এরপরও মিলে মিশে থাকার একটা আদিম প্রবনতা এদের মধ্যে অতিমাত্রায় কাজ করে ... এজন্যই হয়তো ডায়নোসরের মতো এরা বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। মাঝে মাঝে মনে হয় ভীন গ্রহের প্রানীরা যদি মানুষ নিয়ে গবেষনা করতে নামে তাহলে আমাদের কত লজ্জাজনক অধ্যায় দেখে তারা হাসবে। হাসবে নিজেদেরকে নিজেরা কত সহজে ধ্বংস করার ফন্দি করি সেই প্রকার প্রকরন দেখে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবেই এমন এক প্রকৃতির যে অন্যার সাথে মতের মিল না হলে ১০০ হাত দূরে থাকুন নামক অদৃশ্য সাঈনবোর্ডে চোখ লাগিয়ে চলি। এটা অনেক ভয়ানক একটা দোষ। যে দোষটা কবে আমার আমিটাকে মুক্তি দেবে সেই অপেক্ষায় আছি। কটু কথা কম শোনা হয়নি আজতক। প্রিয় মানুষদের দেয়া কষ্টের বোঝাটা কাঁধে নিয়ে শহরের অলিতে গলিতে হাটি আর ভাবি ... নিশ্চই আমার আচরন ত