সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যা থামলেই শেষ (এ কারনে চলবে) ৫

মানষ নিয়েই তো লিখে চলছি। এখনো শেষ হয়নি। আপনার কি মনে হয় শেষ হবে? না হওয়ার ই সম্ভাবনার ভয় আছে। যাকগে ... আসুন শুরু করি...

উন্নত এই প্রজাতির প্রাণীরা নিজেদের মাথা খাটাতে পারে বলেই এক এক জন আলাদা করে নিজের কথা ভাবে... ভাবে সামষ্টিক ভাবনা গুলো ও।তবু কখনো কখনো এই সব ভাবনায় থাকে বিস্তর ফারাক। পার্থক্য থাকে মতে ও পথে। এক এক জনের এক এক মতাদর্শ। এরপরও মিলে মিশে থাকার একটা আদিম প্রবনতা এদের মধ্যে অতিমাত্রায় কাজ করে ... এজন্যই হয়তো ডায়নোসরের মতো এরা বিলুপ্ত হয়ে যায়নি।

মাঝে মাঝে মনে হয় ভীন গ্রহের প্রানীরা যদি মানুষ নিয়ে গবেষনা করতে নামে তাহলে আমাদের কত লজ্জাজনক অধ্যায় দেখে তারা হাসবে। হাসবে নিজেদেরকে নিজেরা কত সহজে ধ্বংস করার ফন্দি করি সেই প্রকার প্রকরন দেখে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবেই এমন এক প্রকৃতির যে অন্যার সাথে মতের মিল না হলে ১০০ হাত দূরে থাকুন নামক অদৃশ্য সাঈনবোর্ডে চোখ লাগিয়ে চলি। এটা অনেক ভয়ানক একটা দোষ। যে দোষটা কবে আমার আমিটাকে মুক্তি দেবে সেই অপেক্ষায় আছি। কটু কথা কম শোনা হয়নি আজতক। প্রিয় মানুষদের দেয়া কষ্টের বোঝাটা কাঁধে নিয়ে শহরের অলিতে গলিতে হাটি আর ভাবি ... নিশ্চই আমার আচরন তাদেরকে অনেক কষ্ট দিয়েছে যে কারনে আমাকে তা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। মানুষ তাই অর্জন করে যা সে প্রদান করে।

একা হয়ে যাই। বড়ই একা ... কোথাও যদি একা একটা সংসার গড়তে পারতাম। যেখানে কেউ কিছু বলার চেয়ে নিজেকে নিয়েই থাকার অগ্রাধিকার থাকতো ... । এই সব ভাবনা থেকেই বৈরাগ্যবাদের আগমন। দেখেন কি অদ্ভুত!! মানুষের কারনেই মানূষের মত বা পথ পরিবর্তিত হচ্ছে।(চলবে)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুদুর চোখে সমুদ্র

প্রায় প্রতিদিনের মতই আজো ত্রস্তপায় সন্ধ্যারা ভীত ক্লান্ত গার্মেন্ট শ্রমিক হাছিনার ব্যাথায় কাতর হাটুর উপর ভর করে পৃথিবীর বুকে নেমে এলো। পৃথিবীর কি আসলে বুক আছে? উহু!! তাতো থাকার কথা নয়। সবটাই পিঠ। বলা উচিৎ পৃথিবীর পিঠে নেমে এলো। সাধারনত আমরা পিঠটাকে আবার কোল বলতে পছন্দ করি। সাহিত্যিক একটা ভাব নিয়ে বলা যায় ক্লান্তিকর বিরক্তভরা অন্ধকার তার গাঢ় নীল রঙএ লাশের গায় জড়ানো শেষ কাপড়গুলোর মত পৃথিবীর কোলকে আবৃত কছে। এইসব উলটাপালটা ভাবতে ভাবতে জানালা দিয়ে রাত্রীর ভয়াবহ আগমনে পলায়নপর সূর্যের শেষ উঁকিঝুকি দেখে জীবন সায়াহ্নে অলস দিনগুলো কাটাচ্ছে মাহমুদ। ধিরে পরিচিত সব বিদায় নিচ্ছে। কিছুদিন হলো ঘাসফরিং উড়ে গেছে, তার আগে বৃষ্টিরদাগ ধুয়ে মুছে গেছে পৃথিবীর কোল থেকে। বিদ্রোহী প্রাণ নিভু নিভু করে খুব নিচু স্বরে তার নাতনীর সাহায্যে মোবাইলে বিড়বিড় করে অস্পষ্ট স্বরে। ওদিকে নষ্টালজিকের চুল পেঁকে বুড়ো। তারিক, শিহান সবার বুঝি সন্ধ্যা ঘনালো। একসময় এই রঙ্গীন জগতের সব রঙই চোখে ধুসর হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু তখন আসলে কোন চশমা লাগিয়েও জগতের রঙ গুলোকে ফ্যাকাশে হওয়া থেকে নিস্তার দেয়া যায় না। ওটাই আসলে ধারিত্রীর র

নামাজি কাজ ফেলিয়া

আজ নামাজি কাজ ফেলিয়া ছুটিছে দেখ সিজদাতে, এমনি করে জগত ভরে হোক জমায়েত রোজ রাতে। খোদার ঘরে দরুদ পরে হাজার হাজার মুসলমান; দোর খোলা দিল পথ ভোলা দিল সবমিলে আজ উজাড় প্রাণ। হয় মুসাফির বছর ভুলে আজ কেবলি ঝুকলো শির। কেমন করে আঙ্গুল তোল? তুমিই কে বা মহান পীর? খোদার কাছে কাঁদল অবুঝ কাঁদল পাপী, কদরদান। কান্নাটা তো আসল ছিল, হোক না সে খুব অচলপ্রাণ! এইচ আল বান্না © 2017

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু?? জীবনকি এভাবেই তোমাকে বহমান স্রোতধারায় ভাসিয়ে নিজ়ে যাবে?? আজ কোনো কঠিন শব্দ গুচ্ছ আমাকে আক্রমন করেনা... আমি নিজেই আপন ব্যাথায় আহত... বুকের কোথাও খেজুর কাঁটার খোঁচার মতো তীক্ষ্ণ ব্যাথা ধীরে প্রশস্ত অবয়ব নেয়... নিয়ে নেয় একাই পর্যদুস্ত... পরাজিত হয়ে গেলে তুমি?? তুমি না বিজয় শেখাও??? তুমি না আকাশকে পকেটে পুরে মেঘের হাওয়াই মিঠাই আপন মুখে আপন সুখে সুখ মেলাও!! দেখবে কোথায় আকাশ লুকায় কান্না ঝড়ায় পাহাড় গায়ে নয়তো কোথাও বিষন্নতাও ডুকরে কাঁদে মাঝির নায়ে একটু ধারে জীবন পারে কোন বেহালা বাদক বসে... ভেজায় তাহার আপন সুরে এক অবেলার দূঃখ রসে? উত্থান পতনের ক্রমাগত আঘাতে বেসামাল জীবন তোমার... আমিও ভাবি... হয়তো বেশী দিন নেই, আমার দুখের পাপড়ি ভাঙ্গার... অনেক সুখেই কাটছে আমার দিন প্রতিক্ষন সন্ধ্যা লগন... একজনাকেই সব শপেছি... প্রার্থনাতে তাই জপেছি... অনেক কষ্ট আর বেদনা নিয়ে তুমি পালিয়ে যাবে?? তিনিকি এর চেয়েও বেশী কষ্ট কাউকে দেননি?? পরীক্ষা করেননি?? হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??