সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মে দিবস এবং আমাদের বোধোদয়ের প্রত্যাশা

যখন পথের পাশে শিশু সন্তান শুয়ে পা নেড়ে নেড়ে একলা নিজের সাথে নিজেই খেলা করে ধুলো আর বালিতে গড়াগড়ি দিয়ে, তখন মায়ের সন্ধান করতে গিয়ে চোখ চলে যায় ইটের ঢিবির উপর হাতের আঙ্গুলগুলোতে চাকার ভেতরের টিউবের রাবারের আবরণ লাগিয়ে কালো পাথরের উপর আস্ত ইটগুলোকে খন্ডিত করতে থাকা কংকালসার মহিলার দিকে। এই মা ও শিশু যেন চিৎকার করে সবাইকে মনে করিয়ে দেয় মে দিবসের আবেদন আর আন্দোলনের কথা।

১ মে। অবিরাম অমানবিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার শ্রম থেকে কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনার আকাংখা তখন প্রতিটা শ্রমিকের দাবী। এই আকাংখাই একদল শ্রমিককে ১৮৮৬ সালে শিকাগোয় নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলিত করে। ৮ ঘণ্টাই হোক কাজের সময়। এই ছিলো তাদের চাওয়া। তারা সময় বেঁধে দিয়েছিলো ১ মে এর মধ্যে তাদের দাবি মেনে নিতে হবে। কিন্তু কারখানার মালিকরা তা মেনে নেয়নি। ৪ মে ১৮৮৬ সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। “অগাস্ট স্পীজ” নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছিলেন। হঠাৎ দূরে দাড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে, এতে এক পুলিশ নিহত হয়। পুলিশবাহিনী তৎক্ষনাত শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে যা রায়টের রূপ নেয়। রায়টে ১১ জন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায় অগাস্ট স্পীজ সহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর ১৮৮৭ সালের ১১ই নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে জনসমক্ষে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ছয় বছর পর ২৬শে জুন ১৮৯৩, ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন এবং বিচারে রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।

অগাস্ট স্পীজ সহ নিহত শ্রমিকদের রক্ত বৃথা যায়নি। তাদের সেই আত্মত্যাগের ফলেই যুক্তরাস্ট্রের শিল্প মালিকেরা শেষ পর্য্ন্ত শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা শ্রমের দাবী মেনে নিয়েছিলেন। তখন থেকে পুঁজিবাদী বিশ্বে এই দিনটি নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য না হলেও সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে ঘটা করে পালন করা হয় মহান মে দিবস। উন্নত দেশগুলো শ্রমিকের ন্যূনতম মর্যাদা দেয়ার ক্ষেত্রে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে গেলেও বাংলাদেশ সহ বিশ্বের তৃতীয় দেশগুলোতে শ্রমিকেরা এখনো অমানবিক খেটেও তাদের প্রাপ্য বেতন পায়না। পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকেরা আরো মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছে। মালিক পক্ষ নারী শ্রমীককে কাজে নেয়ই এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যে, এদেরকে কম টাকা দিয়ে যত্নশীল ভাবে কাজ আদায় করে নেয়া যায় এবং এরা নরম প্রকৃতির হওয়ায় যখন তখন যে কোনো কিছুর জন্য চাপ দেয়া যায়। বাংলাদেশে গ্রাম থেকে হাজার হাজার মেয়েরা ঢাকায় চলে আসছে গার্মেন্টসে কাজ করার জন্য এবং তারা হয়তো কিছুটা স্বাবলম্বিও হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও নানান ধরনের নির্যাতনের শিকার হতেও দেখা যায় এই সব নারী শ্রমিকদের। কখনো ভেবে দেখা হয় না এরা মানুষ। এদেরও স্বাদ-আহ্লাদ আছে... আছে কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশের মুক্ত আকাশটাকে দেখার সদিচ্ছা।

এদেশে ৫০ লক্ষেরও বেশি নারী ও শিশু অন্যের বাসায় কাজ করে জীবিকা উদযাপন করে। শিশু শ্রম অবৈধ হলেও বাসার কাজে কর্মে শিশুদেরই নিয়োগ দেয়া হয় সবচেয়ে বেশী। কারণ এদেরকে ধমক দিলেও এদের প্রতিবাদ করার সাহস থাকেনা। শুধুমাত্র শিশুশ্রমই নয়, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভুলের জন্যে খুন্তি দিয়ে শরীরের নরম চামড়ায় ছ্যাকা দেয়া, চুলের মুঠি ধরে ঝাকানো এবং ঘরের পুরুষের হাতে ইজ্জত খোয়ানো আজ নিত্য মেয়ে শিশু শ্রমিকদের জন্যে নৈমেত্তিক ঘটনা।

শুধুমাত্র শিশু শ্রমিকরাই নয়, স্বপ্নপুরির স্বপ্নে বিভোর বিদেশ যাওয়ার জন্য সহায় সম্বল সব বিকিয়ে এক বুক আশা নিয়ে দুখিনি মায়ের মুখে এক ফোঁটা তৃপ্তির হাসি আর ব্যাকুল বধুর আরো একটু বেশ ভালোবাসা পাওয়ার অধীরাতায় আমাদের দেশের যে সব যুবক শ্রম দিতে বিদেশের পথে যাচ্ছে তাদেরই’বা অধিকার কতটুকু আদায় হচ্ছে? কিছুদিন পর মোহভংগ হয়ে বিধ্বস্ত জীবন নিয়ে ফেরত আসতে হয় বেশীরভাগকেই। এই সব শ্রমিকদের দুর্ভাগ্যের জন্য এরা নিজেরা যেমন দ্বায়ী তেমন ভাবে দ্বায়ী সরকার ও দালালচক্র। সকল সরকারের আমলেই বৈদেশিক শ্রমিকরা রয়ে যায় উপেক্ষিত অথচ বড়ই লজ্জার বিষয় যে, এই সব শ্রমিকদের ঘাম ঝড়ানো টাকার উপরেই দেশের অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভরশীল।

দালাল চক্রের হাতে পরে বিদেশ যাওয়ার পথে কেউ রোমের সীমান্তবর্তী নদীগুলোর ঠান্ডা পানিতে নিথর হয়ে ওপারে পারি জমায়, কেউবা জীবন্ত কংকাল হয়ে কোনোমতে আজরাইলকে ফাঁকি দিয়ে পৌছে যায় মঞ্জিলে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায় প্রতিশ্রুত চাকরিতে যাওয়া তাদের ভাগ্যে থাকেনা। অথবা কোম্পানি দেখে যে এই লোকগুলো অতটা দক্ষ নয় তাই নামমাত্র বেতনে তাদেরকে কাজ দেয়। এই সব সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট দেশে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূতদের উদাসিনতায় দিনে দিনে বেড়েই চলে অন্তহীন সমস্যার প্রসারতা। এতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ভাংচুর করে আমাদের অশিক্ষিত জনগোষ্ঠি। এরা ভাবে ওটাও বুঝি বাংলাদেশ। কোনো দাবি আদায় করতে হলে এখানের মত ওখানেও বুঝি ভেঙ্গেচুরে দেখিয়ে দিতে হয় কত গমে কত আটা। এর পর তারা সহ আমাদের দেশ হয়ে পড়ে ঐ দেশের শাসকগোষ্ঠীর বিরাগভাজন। এতে করে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সেখানে অবস্থানরত শ্রমিকদের কাজের নিশ্চয়তা ও আগামী দিনে আরো শ্রমিক নেয়ার চুক্তি পত্রগুলোর সফলতা।

বছর ঘুরে আবার এসেছে ১ মে। আবার সময় এসেছে পর্যালোচনা করার- আসলেই কতটুকু ভাল আছে আমাদের দেশের শ্রমিক সমাজ। তাদের অধিকার এবং দাবী আদায়ে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের চরম দাবী। শুধু একদিন এই ১লা মে’ই নয়, বছরের সেই সব নিয়মিত দিনে যেসব সময় আমরা তাদের সাথে সম্পর্কিত থাকি অথবা থাকিনা সকল সময়েই আমাদের মানবিক বোধের সর্বোচ্চ অনুভূতিগুলো জেগে উঠুক এবং সমাজ রাষ্ট্র পৃথিবী হোক সংকটহীন আবাসযোগ্য একটি বাসস্থান।

হাসান আল বান্না
২৫/০৪/১০

মন্তব্যসমূহ

  1. মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন তাৎপর্যপূর্ণ একটা দিন। এই দিন ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার আন্দোলনরত শ্রমিক শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে দিনটি পালিত হয়।
    শ্রমিকদের প্রতি সঠিক দায়িত্ব শুধু মানবিকতা নয় ধর্মীয় নির্দেশনাও। শ্রমিকদের প্রতি সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ধর্ম ইসলাম। ইসলাম শ্রমের প্রতি যেমন মানুষকে উৎসাহিত করেছে (জুম‘আহ ১০), তেমনি শ্রমিকের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পূর্ণ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (স:) শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষকে অত্যন্ত সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন। কারণ যারা মানুষের সুখের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজেদেরকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়, তারাতো মহান আল্লাহর কাছেও মর্যাদার অধিকারী।

    এজন্য রাসূলুল্লাহ (স:) এরশাদ করেন,
    أُعْطُوا الْأََجِيْرَ أَجْرَهُ قَبْلَ أَنْ يَّجِفَّ عَرقُهُ
    ‘তোমরা শ্রমিককে তার শরীরের ঘাম শুকানোর পূর্বেই পারিশ্রমিক দিয়ে দাও’। [ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৯৮৭, ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়।]
    ইসলামে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক হবে পিতা-সন্তানের ন্যায়। শ্রমিককে তার প্রাপ্য পূর্ণভাবে যথাসময়ে প্রদান করাও মালিকের একটি প্রধান দায়িত্ব। শ্রমিকরা যেন অধিকার বঞ্চিত না হয় এজন্য রাসূলুল্লাহ (স.) এরশাদ করেন, ‘মহান আল্লাহ বলেন, কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে। তাদের মধ্যে একজন হ’ল :
    وَ رَجُلٌ أسْتَأْجَرَ أَجِيْرًا فَاسْتَوْفَى مِنْهُ وَلَمْ يُعْطِهِ أَجْرَهُ
    ‘যে শ্রমিকের নিকট থেকে পূর্ণ শ্রম গ্রহণ করে অথচ তার পূর্ণ মজুরী প্রদান করে না’। [৩. বুখারী, মিশকাত হা/২৯৮৪।]

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুদুর চোখে সমুদ্র

প্রায় প্রতিদিনের মতই আজো ত্রস্তপায় সন্ধ্যারা ভীত ক্লান্ত গার্মেন্ট শ্রমিক হাছিনার ব্যাথায় কাতর হাটুর উপর ভর করে পৃথিবীর বুকে নেমে এলো। পৃথিবীর কি আসলে বুক আছে? উহু!! তাতো থাকার কথা নয়। সবটাই পিঠ। বলা উচিৎ পৃথিবীর পিঠে নেমে এলো। সাধারনত আমরা পিঠটাকে আবার কোল বলতে পছন্দ করি। সাহিত্যিক একটা ভাব নিয়ে বলা যায় ক্লান্তিকর বিরক্তভরা অন্ধকার তার গাঢ় নীল রঙএ লাশের গায় জড়ানো শেষ কাপড়গুলোর মত পৃথিবীর কোলকে আবৃত কছে। এইসব উলটাপালটা ভাবতে ভাবতে জানালা দিয়ে রাত্রীর ভয়াবহ আগমনে পলায়নপর সূর্যের শেষ উঁকিঝুকি দেখে জীবন সায়াহ্নে অলস দিনগুলো কাটাচ্ছে মাহমুদ। ধিরে পরিচিত সব বিদায় নিচ্ছে। কিছুদিন হলো ঘাসফরিং উড়ে গেছে, তার আগে বৃষ্টিরদাগ ধুয়ে মুছে গেছে পৃথিবীর কোল থেকে। বিদ্রোহী প্রাণ নিভু নিভু করে খুব নিচু স্বরে তার নাতনীর সাহায্যে মোবাইলে বিড়বিড় করে অস্পষ্ট স্বরে। ওদিকে নষ্টালজিকের চুল পেঁকে বুড়ো। তারিক, শিহান সবার বুঝি সন্ধ্যা ঘনালো। একসময় এই রঙ্গীন জগতের সব রঙই চোখে ধুসর হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু তখন আসলে কোন চশমা লাগিয়েও জগতের রঙ গুলোকে ফ্যাকাশে হওয়া থেকে নিস্তার দেয়া যায় না। ওটাই আসলে ধারিত্রীর র

নামাজি কাজ ফেলিয়া

আজ নামাজি কাজ ফেলিয়া ছুটিছে দেখ সিজদাতে, এমনি করে জগত ভরে হোক জমায়েত রোজ রাতে। খোদার ঘরে দরুদ পরে হাজার হাজার মুসলমান; দোর খোলা দিল পথ ভোলা দিল সবমিলে আজ উজাড় প্রাণ। হয় মুসাফির বছর ভুলে আজ কেবলি ঝুকলো শির। কেমন করে আঙ্গুল তোল? তুমিই কে বা মহান পীর? খোদার কাছে কাঁদল অবুঝ কাঁদল পাপী, কদরদান। কান্নাটা তো আসল ছিল, হোক না সে খুব অচলপ্রাণ! এইচ আল বান্না © 2017

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??

হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু?? জীবনকি এভাবেই তোমাকে বহমান স্রোতধারায় ভাসিয়ে নিজ়ে যাবে?? আজ কোনো কঠিন শব্দ গুচ্ছ আমাকে আক্রমন করেনা... আমি নিজেই আপন ব্যাথায় আহত... বুকের কোথাও খেজুর কাঁটার খোঁচার মতো তীক্ষ্ণ ব্যাথা ধীরে প্রশস্ত অবয়ব নেয়... নিয়ে নেয় একাই পর্যদুস্ত... পরাজিত হয়ে গেলে তুমি?? তুমি না বিজয় শেখাও??? তুমি না আকাশকে পকেটে পুরে মেঘের হাওয়াই মিঠাই আপন মুখে আপন সুখে সুখ মেলাও!! দেখবে কোথায় আকাশ লুকায় কান্না ঝড়ায় পাহাড় গায়ে নয়তো কোথাও বিষন্নতাও ডুকরে কাঁদে মাঝির নায়ে একটু ধারে জীবন পারে কোন বেহালা বাদক বসে... ভেজায় তাহার আপন সুরে এক অবেলার দূঃখ রসে? উত্থান পতনের ক্রমাগত আঘাতে বেসামাল জীবন তোমার... আমিও ভাবি... হয়তো বেশী দিন নেই, আমার দুখের পাপড়ি ভাঙ্গার... অনেক সুখেই কাটছে আমার দিন প্রতিক্ষন সন্ধ্যা লগন... একজনাকেই সব শপেছি... প্রার্থনাতে তাই জপেছি... অনেক কষ্ট আর বেদনা নিয়ে তুমি পালিয়ে যাবে?? তিনিকি এর চেয়েও বেশী কষ্ট কাউকে দেননি?? পরীক্ষা করেননি?? হাল ছেড়ে দিলে বন্ধু??