সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2011 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুদুর চোখে সমুদ্র

প্রায় প্রতিদিনের মতই আজো ত্রস্তপায় সন্ধ্যারা ভীত ক্লান্ত গার্মেন্ট শ্রমিক হাছিনার ব্যাথায় কাতর হাটুর উপর ভর করে পৃথিবীর বুকে নেমে এলো। পৃথিবীর কি আসলে বুক আছে? উহু!! তাতো থাকার কথা নয়। সবটাই পিঠ। বলা উচিৎ পৃথিবীর পিঠে নেমে এলো। সাধারনত আমরা পিঠটাকে আবার কোল বলতে পছন্দ করি। সাহিত্যিক একটা ভাব নিয়ে বলা যায় ক্লান্তিকর বিরক্তভরা অন্ধকার তার গাঢ় নীল রঙএ লাশের গায় জড়ানো শেষ কাপড়গুলোর মত পৃথিবীর কোলকে আবৃত কছে। এইসব উলটাপালটা ভাবতে ভাবতে জানালা দিয়ে রাত্রীর ভয়াবহ আগমনে পলায়নপর সূর্যের শেষ উঁকিঝুকি দেখে জীবন সায়াহ্নে অলস দিনগুলো কাটাচ্ছে মাহমুদ। ধিরে পরিচিত সব বিদায় নিচ্ছে। কিছুদিন হলো ঘাসফরিং উড়ে গেছে, তার আগে বৃষ্টিরদাগ ধুয়ে মুছে গেছে পৃথিবীর কোল থেকে। বিদ্রোহী প্রাণ নিভু নিভু করে খুব নিচু স্বরে তার নাতনীর সাহায্যে মোবাইলে বিড়বিড় করে অস্পষ্ট স্বরে। ওদিকে নষ্টালজিকের চুল পেঁকে বুড়ো। তারিক, শিহান সবার বুঝি সন্ধ্যা ঘনালো। একসময় এই রঙ্গীন জগতের সব রঙই চোখে ধুসর হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু তখন আসলে কোন চশমা লাগিয়েও জগতের রঙ গুলোকে ফ্যাকাশে হওয়া থেকে নিস্তার দেয়া যায় না। ওটাই আসলে ধারিত্রীর র

একটাই নির্ভরতা, খুব নিরাপদ

তোমার জায়নামাজের মখমলে বসে জল ঢেলে দিতে দিতে খুব অন্যায় করে ফেলেছি। পুরো জগ খালি করে দিয়েছি। আমি জানি জানি তুমি প্রচন্ড রাগে চোখ বড় বড় করে আমায় শাষাবে। তবুও আমি নির্বিকার। অন্যান্য ছেলেমেয়েদের মত অত কষ্ট দেইনি তোমায়- কেবল একদিন ঘুম থেকে উঠে প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে কি যেনো কি বলেছিলাম তুমি কষ্ট পেয়েছিলে। কাল মনে হয়েছিলো তাই ফোন করে বলেছিলাম--- সেই শৈশবে সুদুর দেশে যখন আমি পরবাসী হবার পথে- আমায় জড়িয়ে ধরে সেকি কান্না!! অদ্ভুত সুন্দর লাগছিলো তখন। আমারও ঢোক গেলার যায়গায় ক্রিকেট বলের মত একটা প্রকান্ড ব্যাথা জমে ছিলো। নিয়ম মত তোমার চিঠি এলে বাউন্ডারীর লাগোয়া ডাকঘরের শুকনো লোকটা হাঁক ছেড়ে বলতো- হাসান আল বান্না, ৭ম শ্রেণী। বুকটা টিপ টিপ করতো। একটা চিঠিই ছিল তুমি ও তোমার সব ঘ্রাণ। হোষ্টেলের সবাই ঘুমিয়ে গেলে টেবিল লাইটের হালকা নরম আলোয় তোমার স্বচ্ছ স্ফটিকের মত চকচকে হাতের লেখাগুলো মুক্তোর মত জ্বলজ্বলে যেনো আকাশের তারকারা ঠাঁই নিয়েছে মর্তের এক মায়াবীনীর চিঠিতে, আমার কলিজার টুকরা, সোনা মানিক--- মনে হলো রুপকথা থেকে তুলে আনা শব্দমালা চোখের সামনে ভেসে বেরাচ্ছে। সেবার যখন তুমি আমায় দেখতে জেলখানার গেইটে গেলে