সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নামাজি কাজ ফেলিয়া

আজ নামাজি কাজ ফেলিয়া ছুটিছে দেখ সিজদাতে, এমনি করে জগত ভরে হোক জমায়েত রোজ রাতে। খোদার ঘরে দরুদ পরে হাজার হাজার মুসলমান; দোর খোলা দিল পথ ভোলা দিল সবমিলে আজ উজাড় প্রাণ। হয় মুসাফির বছর ভুলে আজ কেবলি ঝুকলো শির। কেমন করে আঙ্গুল তোল? তুমিই কে বা মহান পীর? খোদার কাছে কাঁদল অবুঝ কাঁদল পাপী, কদরদান। কান্নাটা তো আসল ছিল, হোক না সে খুব অচলপ্রাণ! এইচ আল বান্না © 2017
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

৬ বছর পর

আগের মত আর লিখিনা বহুদিন। এই যায়গাটা আমার ডায়রির মত। মন যা চায় তা ই লিখতাম। একসময় ব্লগে অনেক কথা হত কত মানুষের সাথে। বাংলা ব্লগোস্ফেয়ারে এপক্ষ ওপক্ষ হয়ে তুলোধুনো করে সবাই সবার ফাঁসি চেয়ে এখন বন্ধ। আমরা যারা লেখালেখি করতাম তারাও তাদের নিজনিজ বিশ্বাস সম্মান ও চেতনা বজায় রাখতে সবাই নিজেদের মত মানুষ খুঁজে একজোট হয়ে হয়ত আজো আছে। কিন্তু আমি এবং আমার মত আরও কিছু মানুষ যারা মানবের ঐক্যে এবং সর্বচিন্তার মানুষের সহাবস্থানে বিশ্বাস করতাম তাদের আর বোধহয় কোথাও যায়গা হল না। আমরা এখানে ওখানে ঘুরেফিরে দিন কাটালাম। অনেকদিন পড় হটাত আজ এই ব্লগের ঠিকানা টা কি মনে হতে টাইপ করলাম। ঘুরে ঘুরে দেখলাম, বাহ! একসময় তো ভালই লিখেছি। যদিও শতশত লেখার মধ্যে হয়ত এই কটি লেখাকেই বাঁচাতে পেরেছি। তবে ফেইসবুকে আজো লিখি। কদিন হল ফেইসবুক কি একটা কারিগরি শুরু করেছে, অল্প লিখলে লেখা বড় করে দেখা যায়, সেই থেকে সবাই অল্প লিখতে চায়। আর যেহেতু অল্প লিখতে অভ্যাস তাই অল্প পরার একটা অভ্যাসও অলরেডি তৈরি হয়ে গেছে। খেয়াল করে দেখলাম কেউই কোনকিছু বিস্তারিত শুনতে চায় না, দেখতে চায় না, নিজের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান দ

সুদুর চোখে সমুদ্র

প্রায় প্রতিদিনের মতই আজো ত্রস্তপায় সন্ধ্যারা ভীত ক্লান্ত গার্মেন্ট শ্রমিক হাছিনার ব্যাথায় কাতর হাটুর উপর ভর করে পৃথিবীর বুকে নেমে এলো। পৃথিবীর কি আসলে বুক আছে? উহু!! তাতো থাকার কথা নয়। সবটাই পিঠ। বলা উচিৎ পৃথিবীর পিঠে নেমে এলো। সাধারনত আমরা পিঠটাকে আবার কোল বলতে পছন্দ করি। সাহিত্যিক একটা ভাব নিয়ে বলা যায় ক্লান্তিকর বিরক্তভরা অন্ধকার তার গাঢ় নীল রঙএ লাশের গায় জড়ানো শেষ কাপড়গুলোর মত পৃথিবীর কোলকে আবৃত কছে। এইসব উলটাপালটা ভাবতে ভাবতে জানালা দিয়ে রাত্রীর ভয়াবহ আগমনে পলায়নপর সূর্যের শেষ উঁকিঝুকি দেখে জীবন সায়াহ্নে অলস দিনগুলো কাটাচ্ছে মাহমুদ। ধিরে পরিচিত সব বিদায় নিচ্ছে। কিছুদিন হলো ঘাসফরিং উড়ে গেছে, তার আগে বৃষ্টিরদাগ ধুয়ে মুছে গেছে পৃথিবীর কোল থেকে। বিদ্রোহী প্রাণ নিভু নিভু করে খুব নিচু স্বরে তার নাতনীর সাহায্যে মোবাইলে বিড়বিড় করে অস্পষ্ট স্বরে। ওদিকে নষ্টালজিকের চুল পেঁকে বুড়ো। তারিক, শিহান সবার বুঝি সন্ধ্যা ঘনালো। একসময় এই রঙ্গীন জগতের সব রঙই চোখে ধুসর হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু তখন আসলে কোন চশমা লাগিয়েও জগতের রঙ গুলোকে ফ্যাকাশে হওয়া থেকে নিস্তার দেয়া যায় না। ওটাই আসলে ধারিত্রীর র

একটাই নির্ভরতা, খুব নিরাপদ

তোমার জায়নামাজের মখমলে বসে জল ঢেলে দিতে দিতে খুব অন্যায় করে ফেলেছি। পুরো জগ খালি করে দিয়েছি। আমি জানি জানি তুমি প্রচন্ড রাগে চোখ বড় বড় করে আমায় শাষাবে। তবুও আমি নির্বিকার। অন্যান্য ছেলেমেয়েদের মত অত কষ্ট দেইনি তোমায়- কেবল একদিন ঘুম থেকে উঠে প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে কি যেনো কি বলেছিলাম তুমি কষ্ট পেয়েছিলে। কাল মনে হয়েছিলো তাই ফোন করে বলেছিলাম--- সেই শৈশবে সুদুর দেশে যখন আমি পরবাসী হবার পথে- আমায় জড়িয়ে ধরে সেকি কান্না!! অদ্ভুত সুন্দর লাগছিলো তখন। আমারও ঢোক গেলার যায়গায় ক্রিকেট বলের মত একটা প্রকান্ড ব্যাথা জমে ছিলো। নিয়ম মত তোমার চিঠি এলে বাউন্ডারীর লাগোয়া ডাকঘরের শুকনো লোকটা হাঁক ছেড়ে বলতো- হাসান আল বান্না, ৭ম শ্রেণী। বুকটা টিপ টিপ করতো। একটা চিঠিই ছিল তুমি ও তোমার সব ঘ্রাণ। হোষ্টেলের সবাই ঘুমিয়ে গেলে টেবিল লাইটের হালকা নরম আলোয় তোমার স্বচ্ছ স্ফটিকের মত চকচকে হাতের লেখাগুলো মুক্তোর মত জ্বলজ্বলে যেনো আকাশের তারকারা ঠাঁই নিয়েছে মর্তের এক মায়াবীনীর চিঠিতে, আমার কলিজার টুকরা, সোনা মানিক--- মনে হলো রুপকথা থেকে তুলে আনা শব্দমালা চোখের সামনে ভেসে বেরাচ্ছে। সেবার যখন তুমি আমায় দেখতে জেলখানার গেইটে গেলে

বৃষ্টি শীত? কুছ পরওয়া নেহী। ভিজবো আজ

বাহিরে আকাশ অনেকটা মেঘলা। কছুটা গুমোট ভাবে তাকিয়ে আছে পৃথিবীর পতিত জীবনের ধারক মানুষগুলোর দিকে। আজ ক্যামন হবে? ভিখারি বুড়ো পথে বেরুতে পারছেনা। ঠান্ডাটা জোঁকের মতো শুষে খাবে জীবনীশক্তির অবশিষ্টাংশ। হাতের কুঁকড়ে যাওয়া চামড়াগুলো ভেঁজা টিস্যু পেপারের মতো পাতলা আর থুরথুরে জড়াজীর্ণ হয়ে যাবে। মাথার খুলিটার কিছুটা নিচে যে মগজ আছে তাতে শীতলতা ভয়াবহ কোনো মরন ব্যারাম নিয়ে থামিয়ে দিবে নিভু নিভু করা শেষ প্রদীপালো। তাই বের হতে পারছেনা। তাহলে কি খাবে সাড়াটাদিন? পেটের পরজীবিরা কিছু না পেয়ে নাড়িভুড়ি খেয়ে চেটেপিটে তৃপ্তির ডেকুর তুলবে। এজমার টানে শাব্দিক নিঃশ্বাসের রিক্সাওয়ালা আজ কাজে যেতে পারবেনা। চার বর্গফুটের ভেঁজা আবাসনের এক কোনায় চুপ করে বসে থেকে ঝুপড়ির ফুটো হয়ে যাওয়া ছাউনির পথে গড়িয়ে ঢোকা বৃষ্টির পানির স্রোতে দুচোখের অব্যাক্ত বিন্যাসে মনোআলাপন কিংবা দূঃখ কথন। পুরোনো চিটচিট পঁচা কাঁঠের মতো সুবাস বেরুতে থাকা কাঁথাটাই এই শীতে সম্বল। দু বছরের পিচ্চি বাচ্চাটার আধো আধো বুলিতে বৌয়ের ফেরার পথে তাকিয়ে— হালিম ভাই ওদিকে ব্যাস্ত সংকেতের বিজয় উদজাপন আর স্মারক নিয়ে। আমার এ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা

শীতের ডানা

বেশ কিছুদিন হলো- ভালোই ঠান্ডা পড়ছে। সবাই ওয়াড্রবে নেপথালিন না কি জেনো বলে গোল গোল সাদা সাদা ওগুলোর গন্ধমাখা মোটা কাপড়গুলো বের করছে। আম্মুও নিশ্চই এতোদিনে খাটের নিচের ট্রাংটায় ভরে রাখা কম্বল আর লেপগুলোকে টেনে বের করেছেন। অনেক যখন ছোট ছিলাম তখন শীতকালটাকে মনে হতো উৎসবের কাল। নানুবাড়ি যাওয়া ঈদ আর বার্ষিক পরিক্ষা শেষে ছুটি কাটানো মানেই শীত শীত দিন। বোনের কানে যে সোনালী কালারের দুল ঠিক ঐ রঙের রোদ পিঠে গাঁয়ের বুড়ো মানুষদেরকে তাদের ক্ষয়ে যাওয়া মেরুদন্ডের উচু হয়ে থাকা হাড়গুলো নিয়ে বসে থাকতে দেখতাম। ভোর মানেই যেনো সবার মধ্যে একটা জাগরণী প্রবাহ। পিচ্চিপাচ্চা সব হাতে হোগলা (বিছান) নিয়ে মক্তবে ছুটে যেতো। হুজুর সুর করে সব দোয়া শেখাতেন যা একদম পাথরে খোদাইয়ের মতো মৃত্যুবধী কলজেতে লেগে থাকতো। মাটিতে ভেজা শিশিরমাখা পাতাগুলো পরে থাকতো। খালাদের চকচকে রমনীয় ত্বকে ভোরের আলো মাখিয়ে উঠোন ঝাড়ু দেয়ার শব্দ এখনো কানে বাজে। রোদটাও ছিলো ঝকঝকে নতুন। চারিদিকে প্রাণের মহা আয়োজনে পুরো গ্রামটা যেনো ঝংকৃত হতো। খালাতো দস্যি ভাইদের সাথে ধানের ক্ষেতে গিয়ে আইলের আড়ে কিংবা প্রতি দু ক্ষেতের মাঝের উঁচু ঘাসে ভরা

হলুদের গন্ধ ছিলো নাকে লাগার মত

মাথাটা ভিষণ জ্যাম হয়ে আছে বুঝেছিস কিছু? নাকি হাবাগোবার মতো ফ্যাল করে এখনো সময়ের ডানা ছিঁড়ে কয়েকটা পালক দে- তোর গলায় পড়িয়ে দি। পাখিগুলো এখানে এখনো উঁটের কূঁজের মতো ডানা গুটিয়ে গুম মেরে বসে বসে ধান খুটে খাওয়া শালিকদের সাথে গল্প রত। কত দিন পর আজ এই বুকে মাথা রেখে কথা বলছি-- জানিস?? সেই যে বহুদিন আগের রোদ জ্বলা এক দুপুর ক্লান্তি নিয়ে মাটির চুলোয় ছোট্ট পাতিলে সংসার সংসার খেলেছিলাম। ওখানে কেউ বউ ছিলোনা... ছিলোনা শাশুড়ী কিংবা শশুড় তবু একদল রাঁধতো আরেকদল বাগানে হেঁটে হেঁটে পাতা ছিঁড়ে বাজার করার মিছে অভিনয় করতাম। মায়ের চালের ড্রাম থেকে চাল চুরি করে, ডাল চুরি করে সাথে পেঁয়াজ, তেল, হলুদ মরিচ। রোদের সাথে এক বসাতেই রান্না খারাপ হতোনা। তবে হলুদের গন্ধ ছিলো নাকে লাগার মত। কি খেতাম জানিনা-- জানিনা-- আজো কি খাই-- কি দেখি-- চোখের পর্দায় ধিরে ধুসর আবরণ পড়ে যাচ্ছে তোরা কেউ টের পাস?? হয়তো কাল হয়েছে অনেক- তোদের কোলে বাচ্চা এসেছে- আচল ধরে টানাটানি করার মতো- বুড়িয়ে গেছিস বোধহয়- অনেকটা দাদীর মতো- এইসব ছেড়ে কত দূর পথে আজো হেটে যাওয়ারাই কেবল সঙ্গী। ঝিঝিদের ডাকে একটানা ছায়াছবি ভাসে- চোখ খুলেও বন্ধ করে